বাংলারজমিন
হালদা ভ্যালীতে ড্রাগন চাষে সাফল্য
মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে
২৮ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:১৯ পূর্বাহ্ন
বিদেশি ফল ড্রাগন। দেখতে লোভনীয়। খেতেও সুস্বাদু। ঔষধি গুণসম্পন্ন রসালো এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির অন্যতম চা বাগান হালদা ভ্যালীতে। বাগানের মালিক শিল্পপতি নাদের খান চা চাষাবাদের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের চাষ করে ইতোমধ্যে পেয়েছেন ইর্ষণীয় সাফল্যও।
চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, হালদা ভ্যালীতে চা চাষের সাফল্যের পর নতুন মাত্রায় সাফল্য পেয়েছেন পুষ্টি ও ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলের চাষে। হালদা ভ্যালীতে প্রায় ১৫ একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। গতবছর এই বাগানে উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার কেজি ড্রাগন। চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কেজি। এ বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বাগান থেকে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ টাকায়। বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে শখের বসে থাইল্যান্ড থেকে ড্রাগন ফলের চারা ক্রয় করে দেশে আনেন হালদা ভ্যালী চা বাগানের মালিক শিল্পপতি নাদের খান। চারা আনতে দিলেও মাটি আনতে না দেয়ায় শংকা ছিল এখানে ফল ফলানো যাবে কিনা। তবে পরির্চযার মাধ্যমে বেড়ে উঠা চারাগুলোতে এখন ফল ধরে সে শংকা দূর করেছে। এজন্য থাইল্যান্ড থেকে একজনকে ট্রেনিং দিয়ে আনা হয় গাছের পরিচর্যার জন্য। শুরতে ৮০০ চারাগাছ রোপণ করা হয় হালদা ভ্যালি চা বাগানের অনাবাদি জায়গায়। গাছ লাগানোর ৩-৪ বছর পর ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। প্রথমদিকে ফলন কম হলেও এখন প্রতি বছরই উৎপাদন বাড়ছে। বর্তমানে ১৫ একর সমতল ও পাহাড়ি ঢালুতে চাষ হয়েছে বহুগুণে ভরপুর এই ড্রাগন ফলের।
সম্প্রতি হালদা ভ্যালি চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সাজানো আছে ড্রাগনগাছ। সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফল। গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করছিলেন কর্মীরা। ড্রাগনের চাষ সম্পর্কে কথা হয় হালদা ভ্যালী ড্রাগন ফল বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবু বক্করের সাথে।
তিনি বলেন, ড্রাগনগাছের শাখা থেকে নতুন চারা হয়। সেই চারা কেটে মাটিতে লাগালে নতুন গাছ হয়। একেকটা খুঁটিতে চারটি করে গাছ লাগানো যায়। বছরের যেকোনো সময় চারা লাগানো যায়। এপ্রিলে ড্রাগনের ফুল আসে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। প্রথমবার ফল সংগ্রহ করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার এবং এভাবে প্রায় ছয় মাস ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। পর্যায়ক্রমে ফলনও বৃদ্ধি পায়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে দিনের সময় বৃদ্ধি করে সারা বছর এর ফলন পাওয়া সম্ভব।
ড্রাগন ফল নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। ফটিকছড়িতে ড্রাগনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। পুরো উপজেলা মিলে ২০ হেক্টর পাহাড়ী ও সমতল জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হালদা ছাড়াও উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে আরো অনেক বাগান গড়ে উঠেছে।
চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, হালদা ভ্যালীতে চা চাষের সাফল্যের পর নতুন মাত্রায় সাফল্য পেয়েছেন পুষ্টি ও ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলের চাষে। হালদা ভ্যালীতে প্রায় ১৫ একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। গতবছর এই বাগানে উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার কেজি ড্রাগন। চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কেজি। এ বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বাগান থেকে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ টাকায়। বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে শখের বসে থাইল্যান্ড থেকে ড্রাগন ফলের চারা ক্রয় করে দেশে আনেন হালদা ভ্যালী চা বাগানের মালিক শিল্পপতি নাদের খান। চারা আনতে দিলেও মাটি আনতে না দেয়ায় শংকা ছিল এখানে ফল ফলানো যাবে কিনা। তবে পরির্চযার মাধ্যমে বেড়ে উঠা চারাগুলোতে এখন ফল ধরে সে শংকা দূর করেছে। এজন্য থাইল্যান্ড থেকে একজনকে ট্রেনিং দিয়ে আনা হয় গাছের পরিচর্যার জন্য। শুরতে ৮০০ চারাগাছ রোপণ করা হয় হালদা ভ্যালি চা বাগানের অনাবাদি জায়গায়। গাছ লাগানোর ৩-৪ বছর পর ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। প্রথমদিকে ফলন কম হলেও এখন প্রতি বছরই উৎপাদন বাড়ছে। বর্তমানে ১৫ একর সমতল ও পাহাড়ি ঢালুতে চাষ হয়েছে বহুগুণে ভরপুর এই ড্রাগন ফলের।
সম্প্রতি হালদা ভ্যালি চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সাজানো আছে ড্রাগনগাছ। সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফল। গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করছিলেন কর্মীরা। ড্রাগনের চাষ সম্পর্কে কথা হয় হালদা ভ্যালী ড্রাগন ফল বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবু বক্করের সাথে।
তিনি বলেন, ড্রাগনগাছের শাখা থেকে নতুন চারা হয়। সেই চারা কেটে মাটিতে লাগালে নতুন গাছ হয়। একেকটা খুঁটিতে চারটি করে গাছ লাগানো যায়। বছরের যেকোনো সময় চারা লাগানো যায়। এপ্রিলে ড্রাগনের ফুল আসে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। প্রথমবার ফল সংগ্রহ করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার এবং এভাবে প্রায় ছয় মাস ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। পর্যায়ক্রমে ফলনও বৃদ্ধি পায়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে দিনের সময় বৃদ্ধি করে সারা বছর এর ফলন পাওয়া সম্ভব।
ড্রাগন ফল নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। ফটিকছড়িতে ড্রাগনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। পুরো উপজেলা মিলে ২০ হেক্টর পাহাড়ী ও সমতল জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হালদা ছাড়াও উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে আরো অনেক বাগান গড়ে উঠেছে।