বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবন
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় ধরে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর দিন কাটছে। গত চার মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলায় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল রয়েছে। এতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি করেন। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন দিয়েই পরিচালিত হয়। মাস শেষে ওই বেতনের টাকা থেকেই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের মাসিক বেতন দিয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে সরকারের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে গত চার মাস ধরে মানবেতর দিন কাটছে। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার বিকালে সারা দেশের ন্যায় পাকুন্দিয়া উপজেলায়ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক অনুদান ও সহজ শর্তে ঋণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের ব্যানারে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে ঘণ্টাব্যাপী পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি শেষে নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসানের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল হাই মাস্টার বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়েই এসব প্রতিষ্ঠান চলে। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গত চার মাস ধরে ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা না পেয়ে অর্থ সংকটে ভুগছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল হাই মাস্টার বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়েই এসব প্রতিষ্ঠান চলে। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গত চার মাস ধরে ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা না পেয়ে অর্থ সংকটে ভুগছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।