বাংলারজমিন
দ্য ডিপ্লোম্যাটের রিপোর্ট
বাংলাদেশ এবং চীন-ভারত উত্তেজনা
মোজাম্মিল আহমদ
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। তখন তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, আফগানিন্তান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানদের তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের টার্গেট ধরে মোদি ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ পররাষ্ট্রনীতি ধরে আগাতে থাকলেন। তার এমন পররাষ্ট্রনীতি সে সময় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
বর্তমানে চীন ও ভারতের মধ্যে চলছে বড় ধরনের উত্তেজনা। এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে, অঞ্চলটির দেশগুলোর মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরির ঝোঁক সৃষ্টি করতে পারে। চীন ও ভারতের মধ্যকার উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ দুই দেশের সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে সবার আগ্রহ বেশি। বাংলাদেশের কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, জনসংখ্যা, বড় বাজার ও উৎপাদন সক্ষমতার কারণে ভারত-চীন উত্তেজনা থেকে ঢাকা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে সক্ষম।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের ৫ম দীর্ঘতম সীমান্ত। তাই, নিরাপত্তা ও সীমান্ত প্রতিরক্ষার জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক স¤পর্ক রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে চীনের জন্যেও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বেশ প্রাসঙ্গিক। প্রথমত বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার জন্য। দ্বিতীয়ত ভারতের ওপর নজর রাখার জন্যেও।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম রাষ্ট্র ভারত। অপরদিকে বেইজিং বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ১৯৭৬ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তি বিনিময়।
ঐতিহাসিকভাবে, ভারত ও বাংলাদেশ অসাধারণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে এ সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। উভয় দেশের সরকারই নিজেদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিশ্চিতে কাজ করে গেছেন। উভয়েই বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন। ২০১৫ সালে মোদির ঢাকা সফরের সময় ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরমধ্যে রয়েছে সীমান্ত সিটমহল বিনিময় চুক্তি। এছাড়া, বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগেরও ঘোষণা দেয় ভারত। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বেসামরিক পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখবে ভারত। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে ৪টি প্রকল্পের ঘোষণা দেন।
অপরদিকে, বাংলাদেশের লুক ইস্ট নীতি গ্রহণের কারণে চীনের সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়ন হচ্ছে। ভারতের ওপর নির্ভরতা কমে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করেছে ঢাকা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সবথেকে বেশি বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে ছাড়িয়ে যায় চীন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিনপিং। তিনি এসে ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশ এর আগে যোগ দেয় চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রকল্পে। এর অংশ হিসেবে বেইজিং-এর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের। শি জিনপিং বাংলাদেশে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার দেশটিতে এনআরসি ঘোষণা করে। এতে দেশটির আসাম রাজ্য থেকে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। এনিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেরও। অক্টোবরে শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সে সময় তাকে আশ্বস্ত করে জানানো হয় যে, এনআরসি স¤পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বাংলাদেশের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সে সময় ভারতের সঙ্গে আরো ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের।
তবে, এখন যখন ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে তখন বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকেই লাভবান হতে পারে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সম্প্রতি, বেইজিং বাংলাদেশি ৯৭ ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের চীনা বিনিয়োগ নিয়েও কথা চলছে। মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশকে ক্রমাগত সাহায্য করে যাচ্ছে চীন। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ প্রথমেই তা পাবে বলে নিশ্চিত করেছে চীন।
এমতাবস্থায় ভারতও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে আশাবাদ শোনা গেছে উভয় পক্ষ থেকেই। চলমান এ সংকটের মধ্যে ভারত ও চীন উভয়ই চাইবে বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য চীনই সবথেকে বেশি লাভজনক কার্ড প্রস্তাব করেছে। একে ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যে খয়রাতি বলে কটাক্ষ করার চেষ্টা করেছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ধীরে ধীরে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দিয়ে ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ধরে রাখতে দুইগুণ বেশি চেষ্টা করে যাওয়া।
(মোজাম্মিল আহমদ একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। বর্তমানে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি নিয়ে পড়ছেন)
বর্তমানে চীন ও ভারতের মধ্যে চলছে বড় ধরনের উত্তেজনা। এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে, অঞ্চলটির দেশগুলোর মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরির ঝোঁক সৃষ্টি করতে পারে। চীন ও ভারতের মধ্যকার উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ দুই দেশের সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে সবার আগ্রহ বেশি। বাংলাদেশের কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, জনসংখ্যা, বড় বাজার ও উৎপাদন সক্ষমতার কারণে ভারত-চীন উত্তেজনা থেকে ঢাকা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে সক্ষম।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের ৫ম দীর্ঘতম সীমান্ত। তাই, নিরাপত্তা ও সীমান্ত প্রতিরক্ষার জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক স¤পর্ক রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে চীনের জন্যেও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বেশ প্রাসঙ্গিক। প্রথমত বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার জন্য। দ্বিতীয়ত ভারতের ওপর নজর রাখার জন্যেও।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম রাষ্ট্র ভারত। অপরদিকে বেইজিং বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ১৯৭৬ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তি বিনিময়।
ঐতিহাসিকভাবে, ভারত ও বাংলাদেশ অসাধারণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে এ সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। উভয় দেশের সরকারই নিজেদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিশ্চিতে কাজ করে গেছেন। উভয়েই বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন। ২০১৫ সালে মোদির ঢাকা সফরের সময় ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরমধ্যে রয়েছে সীমান্ত সিটমহল বিনিময় চুক্তি। এছাড়া, বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগেরও ঘোষণা দেয় ভারত। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বেসামরিক পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখবে ভারত। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে ৪টি প্রকল্পের ঘোষণা দেন।
অপরদিকে, বাংলাদেশের লুক ইস্ট নীতি গ্রহণের কারণে চীনের সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়ন হচ্ছে। ভারতের ওপর নির্ভরতা কমে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করেছে ঢাকা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সবথেকে বেশি বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে ছাড়িয়ে যায় চীন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিনপিং। তিনি এসে ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশ এর আগে যোগ দেয় চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রকল্পে। এর অংশ হিসেবে বেইজিং-এর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের। শি জিনপিং বাংলাদেশে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার দেশটিতে এনআরসি ঘোষণা করে। এতে দেশটির আসাম রাজ্য থেকে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। এনিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেরও। অক্টোবরে শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সে সময় তাকে আশ্বস্ত করে জানানো হয় যে, এনআরসি স¤পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বাংলাদেশের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সে সময় ভারতের সঙ্গে আরো ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের।
তবে, এখন যখন ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে তখন বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকেই লাভবান হতে পারে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সম্প্রতি, বেইজিং বাংলাদেশি ৯৭ ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের চীনা বিনিয়োগ নিয়েও কথা চলছে। মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশকে ক্রমাগত সাহায্য করে যাচ্ছে চীন। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ প্রথমেই তা পাবে বলে নিশ্চিত করেছে চীন।
এমতাবস্থায় ভারতও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে আশাবাদ শোনা গেছে উভয় পক্ষ থেকেই। চলমান এ সংকটের মধ্যে ভারত ও চীন উভয়ই চাইবে বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য চীনই সবথেকে বেশি লাভজনক কার্ড প্রস্তাব করেছে। একে ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যে খয়রাতি বলে কটাক্ষ করার চেষ্টা করেছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ধীরে ধীরে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দিয়ে ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ধরে রাখতে দুইগুণ বেশি চেষ্টা করে যাওয়া।
(মোজাম্মিল আহমদ একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। বর্তমানে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি নিয়ে পড়ছেন)