বিশ্বজমিন
সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘বেআইনি’ ছিল: জাতিসংঘ
মানবজমিন ডেস্ক
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:০১ পূর্বাহ্ন
ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে বেআইনিভাবে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টার অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে, ৩রা জানুয়ারি ইরাকে এক ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। তিনি ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। ড্রোন হামলায় তার সঙ্গে ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও মারা যান। সেসময় সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, আরো আগেই তাকে হত্যা করা উচিত ছিল। তবে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্যালামার্ড উপসংহার টেনেছেন যে, এটি একটি বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল। এতে জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে।
ক্যালামার্ড বলেন, আজ অবধি যুক্তরাষ্ট্র যে প্রমাণ সরবরাহ করেছে, তার আলোকে জেনারেল সোলাইমানি ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যু একটি বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডকে আত্মরক্ষা হিসেবে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ এনেছিল, ওই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন বাহিনীর ওপর তাৎক্ষণিক হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। তবে ক্যালামার্ড জানান, নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এখন অবধি কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে লিখেন, জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ইরাকে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন এমন কোনো প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার তার প্রতিবেদনে লিখেন, মেজর জেনারেল সোলাইমানি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের সামরিক কৌশল ও কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তার কার্যক্রমে প্রাণনাশের তাৎক্ষণিক কোনো সত্যিকারের হুমকি না থাকায়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ বেআইনি ছিল।
প্রসঙ্গত, ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনটি আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সামনে উপস্থাপনের কথা রয়েছে। ২০১৮ সালে এই পরিষদ থেকে বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে, ৩রা জানুয়ারি ইরাকে এক ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। তিনি ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। ড্রোন হামলায় তার সঙ্গে ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও মারা যান। সেসময় সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, আরো আগেই তাকে হত্যা করা উচিত ছিল। তবে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্যালামার্ড উপসংহার টেনেছেন যে, এটি একটি বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল। এতে জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে।
ক্যালামার্ড বলেন, আজ অবধি যুক্তরাষ্ট্র যে প্রমাণ সরবরাহ করেছে, তার আলোকে জেনারেল সোলাইমানি ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যু একটি বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডকে আত্মরক্ষা হিসেবে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ এনেছিল, ওই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন বাহিনীর ওপর তাৎক্ষণিক হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। তবে ক্যালামার্ড জানান, নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এখন অবধি কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে লিখেন, জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ইরাকে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন এমন কোনো প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার তার প্রতিবেদনে লিখেন, মেজর জেনারেল সোলাইমানি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের সামরিক কৌশল ও কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তার কার্যক্রমে প্রাণনাশের তাৎক্ষণিক কোনো সত্যিকারের হুমকি না থাকায়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ বেআইনি ছিল।
প্রসঙ্গত, ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনটি আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সামনে উপস্থাপনের কথা রয়েছে। ২০১৮ সালে এই পরিষদ থেকে বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।