শেষের পাতা
বান্দরবানে গুলিতে জনসংহতি সমিতির সংস্কার গ্রুপের ৬ সদস্য নিহত
বান্দরবান প্রতিনিধি
৮ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাগমারা বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সংস্কার) ৬ সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক নারীসহ ৩ জন। আহত নারীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার কিছু পর বাগমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে সংস্কার নেতাদের দাবি দুর্বৃত্তরা আর কেউ নয় পিসিজেএসএসের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। পিসিজেএসএসের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সংস্কারের জেলা কমিটির সদস্য উয়াইমং মারমা বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রান্না করছিলাম। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পরে উপরে জলপাই রঙের পোশাক ও নিচে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরিহিত দুইজন অস্ত্রধারী প্রথমে সংস্কারের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাকে বুকে গুলি করে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বিমল কান্তি চাকমাকে বুকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় তারা দুজনে বাইরে চেয়ারে বসে গল্প করছিলেন। তাদের হত্যা করার ঘটনা দেখে পাশের জমিনে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার পাশে থাকা ডিপেন চাকমাও গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহত সংস্কারের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রী মিনি মার্মা বলেন, সকালে বাগমারা বাজার থেকে তার স্বামী (রতন) রান্নার জন্য তরকারি নিয়ে আসে। বাজারগুলো বাইরের রান্নাঘরে রেখে উঠানে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে তারা দু’জনে বসে গল্প করছিল। এর কিছুক্ষণ পরে গুলির শব্দ শুনি। বাইরে বের হয়ে দেখি তার স্বামী চেয়ারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে অন্যজন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি না করে তার চোখের সামনে অন্যজনদের গুলি করে হত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাগমারা বাজার পাড়ার সংস্কারের সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারীরা কাছ থেকে গুলি করে সংস্কারের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সংস্কারের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা ওরফে প্রজিত (৬০), কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ডেবিট মার্মা (৪৮), সংস্কার দলের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা (৬০), জয়ত্রিপুরা (৪০), ডিপেন ত্রিপুরা (৪২), মিলন চাকমা (৫৫)। আহতরা হলেন নিরু চাকমা (৫০), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৭) ও এক মার্মা মহিলা। ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সংস্কারের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মার্মা বলেন, রতনের বাড়ির পাশের বাড়িটি আমার। বউ-বাচ্চা নিয়ে আমি তখনো বিছানায়। গুলির শব্দ শুনে বিছানায় পড়েছিলাম। আমার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রধারীরা মিলন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে। রুমে দরজা বন্ধ থাকায় আমিও কোনোমতে বেঁচে যায়। এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএসের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জড়িত। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সংস্কারের জেলা কমিটির সদস্য উয়াইমং মারমা বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রান্না করছিলাম। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পরে উপরে জলপাই রঙের পোশাক ও নিচে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরিহিত দুইজন অস্ত্রধারী প্রথমে সংস্কারের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাকে বুকে গুলি করে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বিমল কান্তি চাকমাকে বুকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় তারা দুজনে বাইরে চেয়ারে বসে গল্প করছিলেন। তাদের হত্যা করার ঘটনা দেখে পাশের জমিনে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার পাশে থাকা ডিপেন চাকমাও গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহত সংস্কারের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রী মিনি মার্মা বলেন, সকালে বাগমারা বাজার থেকে তার স্বামী (রতন) রান্নার জন্য তরকারি নিয়ে আসে। বাজারগুলো বাইরের রান্নাঘরে রেখে উঠানে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে তারা দু’জনে বসে গল্প করছিল। এর কিছুক্ষণ পরে গুলির শব্দ শুনি। বাইরে বের হয়ে দেখি তার স্বামী চেয়ারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে অন্যজন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি না করে তার চোখের সামনে অন্যজনদের গুলি করে হত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাগমারা বাজার পাড়ার সংস্কারের সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারীরা কাছ থেকে গুলি করে সংস্কারের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সংস্কারের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা ওরফে প্রজিত (৬০), কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ডেবিট মার্মা (৪৮), সংস্কার দলের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা (৬০), জয়ত্রিপুরা (৪০), ডিপেন ত্রিপুরা (৪২), মিলন চাকমা (৫৫)। আহতরা হলেন নিরু চাকমা (৫০), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৭) ও এক মার্মা মহিলা। ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সংস্কারের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মার্মা বলেন, রতনের বাড়ির পাশের বাড়িটি আমার। বউ-বাচ্চা নিয়ে আমি তখনো বিছানায়। গুলির শব্দ শুনে বিছানায় পড়েছিলাম। আমার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রধারীরা মিলন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে। রুমে দরজা বন্ধ থাকায় আমিও কোনোমতে বেঁচে যায়। এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএসের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জড়িত। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।