বাংলারজমিন
ইসলামপুরে ঘরবাড়ি ভাংচুর, অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট
ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাংচুর করাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর নতুন শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে একইভাবে বসতবাড়িতে ঢুকে গবাদি পশুসহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটতরাজ করার অভিযোগও করা হয় ভূক্তভোগিদের তরফ থেকে।
জানা যায়, নাপিতেরচর নতুন শাহপাড়া গ্রামের দুলাল, ফুলু মিয়া, হাইবর, হুজুর আলী গংরা সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে অন্যত্র আত্মগোপন করে আসছে। এ সুযোগে তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায় কুচক্রি মহল। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পাশ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামের কুচক্রি মহল গণহারে তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে গবাদি পশুসহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করেছে মর্মে অভিযোগ উঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলু মিয়ার দুইটি টিনসেড ঘর, দুলাল মিয়ার দুইটি টিনসেড ঘর, আব্দুস সাত্তারের দুইটি টিনসেড ঘর, ইজ্জত আলীর দুইটি টিনসেড ঘর এবং শুকর আলীর বাড়ির টিনের প্রাচীর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। ফুলু মিয়া তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপনে থাকায় প্রতিপক্ষরা তার বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ ঘরের টিনের বেড়া পর্যন্ত খোলে নিয়ে যায়। ফলে এখন আর ওই বাড়িতে বসবাস করা মোটেও সম্ভব নয়। এছাড়া দেখা যায়, প্রতিপক্ষরা বাড়িতে প্রবেশ পথের সবগুলো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিজের বসতবাড়িতেও ঢুকতে পারছেন না ভূক্তভোগিরা।
ভূক্তভোগি ফুলু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের থাকার ঘরের বেড়া পর্যন্তও খুলে নিয়ে গেছে। আমাদের আবাদি ইরি ধান কাটতে দেয়া হয়নি। পাট ক্ষেতও দখল করা হয়েছে।এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পাশ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামে মোশাররফের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত লোকের একটি দল দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার গোয়াল ঘর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মূল্যের ৬টি গরু নিয়ে গেছে। এছাড়া ২০ মণ শুকনা মরিচ, ৫ মণ গম, ৫মণ সরিষা নিয়ে যায়।
দুলাল মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের প্রায় ৪ লাখ টাকার মূল্যে ৪টি গরু নিয়েছে।’ এছাড়া সফি মিয়ার ৩টি ছগল, ১টি ফ্রিজ, বাবুল মিয়ার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু, রফিক মিয়ার সোয়া লাখ টাকা মুল্যের গাভী ও বাছুর, হাইবর মিয়ার ৩টি গরু নিয়েছে।
ভূক্তভোগি ফুলু মিয়ার মেয়ে ফুলেরানী জানায়, ‘লুটতরাজের বিষয়ে আমি বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
ইসলামপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে পুলিশের ইসলামপুর সার্কেলের এএসপি মো. সুমন মিয়া জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জানা যায়, নাপিতেরচর নতুন শাহপাড়া গ্রামের দুলাল, ফুলু মিয়া, হাইবর, হুজুর আলী গংরা সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে অন্যত্র আত্মগোপন করে আসছে। এ সুযোগে তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায় কুচক্রি মহল। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পাশ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামের কুচক্রি মহল গণহারে তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে গবাদি পশুসহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করেছে মর্মে অভিযোগ উঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলু মিয়ার দুইটি টিনসেড ঘর, দুলাল মিয়ার দুইটি টিনসেড ঘর, আব্দুস সাত্তারের দুইটি টিনসেড ঘর, ইজ্জত আলীর দুইটি টিনসেড ঘর এবং শুকর আলীর বাড়ির টিনের প্রাচীর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। ফুলু মিয়া তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপনে থাকায় প্রতিপক্ষরা তার বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ ঘরের টিনের বেড়া পর্যন্ত খোলে নিয়ে যায়। ফলে এখন আর ওই বাড়িতে বসবাস করা মোটেও সম্ভব নয়। এছাড়া দেখা যায়, প্রতিপক্ষরা বাড়িতে প্রবেশ পথের সবগুলো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিজের বসতবাড়িতেও ঢুকতে পারছেন না ভূক্তভোগিরা।
ভূক্তভোগি ফুলু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের থাকার ঘরের বেড়া পর্যন্তও খুলে নিয়ে গেছে। আমাদের আবাদি ইরি ধান কাটতে দেয়া হয়নি। পাট ক্ষেতও দখল করা হয়েছে।এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পাশ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামে মোশাররফের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত লোকের একটি দল দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার গোয়াল ঘর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মূল্যের ৬টি গরু নিয়ে গেছে। এছাড়া ২০ মণ শুকনা মরিচ, ৫ মণ গম, ৫মণ সরিষা নিয়ে যায়।
দুলাল মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের প্রায় ৪ লাখ টাকার মূল্যে ৪টি গরু নিয়েছে।’ এছাড়া সফি মিয়ার ৩টি ছগল, ১টি ফ্রিজ, বাবুল মিয়ার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু, রফিক মিয়ার সোয়া লাখ টাকা মুল্যের গাভী ও বাছুর, হাইবর মিয়ার ৩টি গরু নিয়েছে।
ভূক্তভোগি ফুলু মিয়ার মেয়ে ফুলেরানী জানায়, ‘লুটতরাজের বিষয়ে আমি বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
ইসলামপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে পুলিশের ইসলামপুর সার্কেলের এএসপি মো. সুমন মিয়া জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’