বিনোদন

দুই সন্তান এলে শেষকৃত্য হবে এন্ড্রু কিশোরের

স্টাফ রিপোর্টার

৮ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গন তথা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোক অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। এন্ড্রু কিশোরের অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাও শোকের সাগরে ভাসছেন। এদিকে এন্ড্রু কিশোরকে শেষ বিদায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন ভক্ত থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। তবে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে সময় লাগবে বলে জানা গেছে। কারণ তার দুই সন্তান সপ্তক ও সংজ্ঞা এখন অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন। তারা দেশে না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তক ও সংজ্ঞার দেশে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এন্ড্রু কিশোরের পরিবার। শিল্পীর মরদেহ এখন রাখা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এন্ড্রু কিশোরের ভগ্নিপতি জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৫ই জুলাই এন্ড্রু কিশোরকে সমাহিত করা হবে। তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর বলে গিয়েছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছানুযায়ী মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে। এন্ড্রু কিশোরের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি ভালোবাসা গড়ে ওঠে তার। সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনায় পড়লেও গানই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রাজশাহী  বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। একসময় এন্ড্রু কিশোর ছুটে আসেন রাজধানী ঢাকায়। চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’-এ আলম খানের সুরে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৯ সালে প্রতিজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গান গাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অসংখ্য জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দেন। নিজেকে চলচ্চিত্রের অত্যাবশ্যক শিল্পীতে পরিণত করেন। শূন্য দশক পর্যন্ত চলচ্চিত্রের গানে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তার। এমনকি বাংলাদেশে প্লে-ব্যাকে শীর্ষে থাকা অবস্থায় বলিউডের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মণের ডাকেও এন্ড্রু কিশোর ভারতে যাননি। ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। সিঙ্গাপুরে ১০ মাস চিকিৎসা নিয়ে গত ১১ই জুন দেশে ফিরেন তিনি। জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি রাজশাহীতে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছেন। সে কারণে ঢাকা থেকে চলে যান রাজশাহী। নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন শিখা বিশ্বাসের ক্লিনিকে ভগ্নিপতি ও চিকিৎসক প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এখানেই গত সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, গেল বছরের  সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status