বিশ্বজমিন
হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের প্রস্তাব নিয়ে রুশ ধর্মনেতার উদ্বেগ
মানবজমিন ডেস্ক
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
ইস্তাম্বুলের হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ান অর্থডক্স চার্চের লিডার প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল। সোমবার তিনি বলেন, হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানদের জন্য বড় হুমকি। স¤প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের জন্য নির্মিত এ গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরের প্রস্তাব তোলেন। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে তুমুল নিন্দার মুখে পরেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
হাজিয়া সোফিয়া তৈরি করা হয়েছে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে। ১২০৪ সাল পর্যন্ত এখানে অর্থোডক্সরা প্রার্থনা করতেন। এরপর এটিকে ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তর করা হয়। ১২৬১ সালে এটি আবারও অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের গির্জায় পরিণত হয়। সর্বশেষ স্থাপনাতিটিকে যাদুঘরে পরিণত করেন তুরস্কের জাতির জনক ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক। তবে একে ওসমানীয় সাম্রাজ্যকালীন সময়ের মতো মসজিদে রূপান্তর করার প্রস্তাব তুলেছেন এরদোগান।
এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বায়জেন্টাইন ও ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সবথেকে গৌরবময় স্থাপনার একটি ছিল। তবে এমন প্রস্তাবের জন্য এরদোগানকে স্বীকার হতে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার। ইস্তাম্বুলের ধর্মীয় নেতারা একে বড় হুমকি হিসেবে বর্ননা করেছেন। এছাড়া, গ্রীস, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও এখন রাশিয়ার ধর্মীয় নেতারাও এমন প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছেন। প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল বলেন, হাজিয়া সোফিয়ার ওপর যে কোনো ধরণের আঘাত খ্রিষ্টীয় সভ্যতার ওপর আঘাত, আমাদের ধর্ম ও এর ইতিহাসের ওপর আঘাত। এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এতে কিরিল বলেন, হাজিয়া সোফিয়াকে নিয়ে এমন প্রস্তাব রাশিয়ার জনগণের মধ্যে তীব্র ব্যাথার সৃষ্টি করেছে।
এর আগে গত সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাজিয়া সোফিয়া নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেছে তুরস্ককে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, হাজিয়া সোফিয়া রাশিয়াসহ সমগ্র বিশ্ব থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য ভালোবাসার এক নাম। এর যেমন পর্যটনের দিক থেকে গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি ধর্মীয় দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ন।
হাজিয়া সোফিয়া তৈরি করা হয়েছে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে। ১২০৪ সাল পর্যন্ত এখানে অর্থোডক্সরা প্রার্থনা করতেন। এরপর এটিকে ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তর করা হয়। ১২৬১ সালে এটি আবারও অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের গির্জায় পরিণত হয়। সর্বশেষ স্থাপনাতিটিকে যাদুঘরে পরিণত করেন তুরস্কের জাতির জনক ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক। তবে একে ওসমানীয় সাম্রাজ্যকালীন সময়ের মতো মসজিদে রূপান্তর করার প্রস্তাব তুলেছেন এরদোগান।
এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বায়জেন্টাইন ও ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সবথেকে গৌরবময় স্থাপনার একটি ছিল। তবে এমন প্রস্তাবের জন্য এরদোগানকে স্বীকার হতে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার। ইস্তাম্বুলের ধর্মীয় নেতারা একে বড় হুমকি হিসেবে বর্ননা করেছেন। এছাড়া, গ্রীস, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও এখন রাশিয়ার ধর্মীয় নেতারাও এমন প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছেন। প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল বলেন, হাজিয়া সোফিয়ার ওপর যে কোনো ধরণের আঘাত খ্রিষ্টীয় সভ্যতার ওপর আঘাত, আমাদের ধর্ম ও এর ইতিহাসের ওপর আঘাত। এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এতে কিরিল বলেন, হাজিয়া সোফিয়াকে নিয়ে এমন প্রস্তাব রাশিয়ার জনগণের মধ্যে তীব্র ব্যাথার সৃষ্টি করেছে।
এর আগে গত সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাজিয়া সোফিয়া নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেছে তুরস্ককে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, হাজিয়া সোফিয়া রাশিয়াসহ সমগ্র বিশ্ব থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য ভালোবাসার এক নাম। এর যেমন পর্যটনের দিক থেকে গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি ধর্মীয় দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ন।