বাংলারজমিন

১০ লাখ টাকার ‘চিতা বাঘ’

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন

চিতা বাঘ নাম হলেও, এটা কিন্তু বাঘ নয়, এটি খুলনার তেরখাদার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাতের শখের তেজদীপ্ত ষাঁড়ের নাম। গায়ের রংয়ের কারণে ষাঁড়টির মালিক নাম রেখেছেন চিতা বাঘ। চার বছর আগে জন্ম নেয়া ষাঁড়টির আকৃতি এখন বিশাল। আসন্ন ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে এবার বাজারে তুলতে চাচ্ছেন চিতা বাঘকে। ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে তিনি গরুর দাম হেকেছেন ১০ লাখ টাকা। কায়নাত বলেন, ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ হাত, প্রস্থ সাড়ে ৩ হাতের বেশি। ওজন ৪০ মণ। কালো আর সাদা রঙের ষাঁড়টি ক্রস জাতের। দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে। ‘স্থানীয় কসাইরা বলেছে, গরুটির গোশত হতে পারে ১৮ মণ। চিতা বাঘকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। সবাই একনজর দেখতে চায় বিশাল আকৃতির গরুটিকে। রাস্তায় বা বাড়ির পাশে গোসল করাতে নিয়ে গেলে অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ গরুর সঙ্গে সেলফি তোলেন ও ভিডিও করেন।’
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি চিতা বাঘকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওর আকৃতি বেড়েছে। চেহারা ও স্বভাবে সে এখন সত্যিই চিতা বাঘ। এলাকার কোনো গরু তার সঙ্গে যুদ্ধে পারে না।
গরুর মালিক কায়নাত বলেন, এবার গরুর জন্য খড় সংকট ছিল। কষ্ট করে ৪ বছর ধরে গরুটি লালন পালন করে করোনার কারণে এবার দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
কায়নাতের ছেলে এসএম বায়েজিদ হোসেন বলেন, চিতা বাঘ প্রতিদিন খড়, ভুসি ও ঘাস খায়। চিতা বাঘ আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে বড় হয়েছে। গরুর মালিক কায়নাত জানান, শখের বশে তিনি দীর্ঘদিন গরু পালন করেন। চিতা বাঘ ছাড়াও তার আরো কয়েকটি গরু রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনায় মোট ৬ হাজার ৮৯০ জন গবাদিপশুর খামারি রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি খামার আছে ডুমুরিয়া, তেরখাদা ও বটিয়াঘাটা উপজেলায়। এসব খামারে মোট গবাদিপশু রয়েছে ৪৫ হাজার ১৪৮টি। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৯৬৮টি গরু ও ৪ হাজার ১৮০টি ছাগল ও ভেড়া। অনেকে বলছেন, করোনার কারণে সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব চলছে। বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যারা কয়েকজন মিলে (শেয়ার) কোরবানি দেন। করোনার কারণে এ শ্রেণি সবচেয়ে বিপাকে থাকায় অনেকেই চলতি বছর কোরবানি দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এতে  কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত খুলনার গবাদিপশুর খামার মালিকরা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর নির্ভর করে পশুগুলোকে কোরবানির উপযুক্ত করে গড়ে তুলছেন তারা।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আউয়াল হক বলেন, এদেশের ধর্মভীরু মানুষ ঠিকই কোরবানি দেবেন। যার কারণে কোরবানির পশুও বিক্রি হবে। খামারিদের খুব বেশি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এবার করোনার কারণে পশুরহাটে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা হবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি এখন ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরাও চেষ্টা করছি অনলাইনে খামারিদের গরু বিক্রিতে সহযোগিতার জন্য।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status