শেষের পাতা
ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার কম বলে সন্তুষ্টির অবকাশ নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
ভারতে বুধবার করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন উনিশ হাজার ৬শ’ ৮৪ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ পাঁচ হাজার ৬৮ জন। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪শ’ ছাড়িয়েছে। তবু ভারত মনে করছে করোনায় মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতে সব থেকে কম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ ততটা মারাত্মক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এ কথা বলার পিছনে কারণ আছে। বৃটেনে প্রতি দশ লাখে করোনায় মৃতের সংখ্যা যখন ৬শ’ ৩৫ আমেরিকায় যখন ৩শ’ ৭৬, ভারতে তখন প্রতি ১০ লাখে মৃতের সংখ্যা মাত্র ১১। বিশেষজ্ঞদের এই পরিসংখ্যানেই আপত্তি।
তাদের সাফ বক্তব্য, ভারতে করোনার প্রসার এবং সংক্রমণ অন্য সব দেশের থেকে বেশি। করোনা সম্পর্কিত বিষয়ে ভারত সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভেলোরের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জয়প্রকাশ মুলিয়ালি মনে করেন, ভারতে ডেথ রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ বলে করোনায় মৃতের প্রকৃত পরিসংখ্যান মিলছে না। তাছাড়া তিনি মনে করেন, সৌভাগ্যক্রমে ভারতের জনসমষ্টির মধ্যে তরুণের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে মৃত্যুর হার কম। ডা. মুলিয়ালি করোনা প্রসারের জন্য অসচেতনতা এবং অপরিকল্পিত লকডাউনকে দায়ী করছেন। ডা. মুলিয়ালির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কলকাতার বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিনায়ক দেব। তিনি বলেন, আমি গত এপ্রিলের প্রথম দিকেই মানবজমিন পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম ৩০শে জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন পালন করা উচিত। সেদিন আমার কথা শুনে অনেকে হেসেছিলেন। কিন্তু দেখুন ভারতে লকডাউন পালন করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষদিন পর্যন্ত। কিন্তু এ কেমন লকডাউন? সব পরিষেবা খোলা রেখে সংক্রমণ বাড়ানো হচ্ছে। মৃতের হার কম বলে আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই। কলকাতার ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. শিবাজী বিষ্ণুর মতে, কলকাতায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন এক হাজার ৭শ’ ১৪ থেকে নেমে দেড় হাজারের কম হয়েছে বলে দু’হাত তুলে নাচার কিছু নেই। সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে এটাই ভাবনার।
মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করলেন ডা. বিষ্ণুও। বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত ভারতে করোনার প্রসার দেখে। সরকার কিংবা জনসাধারণ এ ব্যাপারটি মাথায় রাখছে তো?
তাদের সাফ বক্তব্য, ভারতে করোনার প্রসার এবং সংক্রমণ অন্য সব দেশের থেকে বেশি। করোনা সম্পর্কিত বিষয়ে ভারত সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভেলোরের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জয়প্রকাশ মুলিয়ালি মনে করেন, ভারতে ডেথ রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ বলে করোনায় মৃতের প্রকৃত পরিসংখ্যান মিলছে না। তাছাড়া তিনি মনে করেন, সৌভাগ্যক্রমে ভারতের জনসমষ্টির মধ্যে তরুণের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে মৃত্যুর হার কম। ডা. মুলিয়ালি করোনা প্রসারের জন্য অসচেতনতা এবং অপরিকল্পিত লকডাউনকে দায়ী করছেন। ডা. মুলিয়ালির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কলকাতার বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিনায়ক দেব। তিনি বলেন, আমি গত এপ্রিলের প্রথম দিকেই মানবজমিন পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম ৩০শে জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন পালন করা উচিত। সেদিন আমার কথা শুনে অনেকে হেসেছিলেন। কিন্তু দেখুন ভারতে লকডাউন পালন করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষদিন পর্যন্ত। কিন্তু এ কেমন লকডাউন? সব পরিষেবা খোলা রেখে সংক্রমণ বাড়ানো হচ্ছে। মৃতের হার কম বলে আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই। কলকাতার ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. শিবাজী বিষ্ণুর মতে, কলকাতায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন এক হাজার ৭শ’ ১৪ থেকে নেমে দেড় হাজারের কম হয়েছে বলে দু’হাত তুলে নাচার কিছু নেই। সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে এটাই ভাবনার।
মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করলেন ডা. বিষ্ণুও। বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত ভারতে করোনার প্রসার দেখে। সরকার কিংবা জনসাধারণ এ ব্যাপারটি মাথায় রাখছে তো?