খেলা
ক্রিকেট থেকে হঠাৎ বিদায়ের কারণ জানালেন ডি ভিলিয়ার্স
স্পোর্টস ডেস্ক
১ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে হঠাৎই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান এবি ডি ভিলিয়ার্স। অথচ ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ ফর্মে। সে সময় অবসরের কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি অনেক ক্লান্ত। আমার মনে হয় এখনই বিদায় নেয়ার সেরা সময়। আমি অনেক সময় ধরে ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ আজ (১লা জুলাই) এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের মূল কারণ। ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকবাজে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে আলাপচারিতায় ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছে ছিলাম আমরা। ইডেন পার্কে (নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনাল) সেদিনের সন্ধ্যায় ক্ষণেক্ষণে বদলাচ্ছিল ম্যাচর রঙ। সেই আসরের সেরা ম্যাচ ছিল এটা। আমরা জিততেও পারতাম ম্যাচটি। অবসরের সিদ্ধান্তে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাকে নতুন করে শুরু করতে হতো। সেটা করেছিলামও। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল আমি এই (ইংল্যান্ড) বিশ্বকাপে খেলতে পারবো না। আমার সামনে আগের বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে আসছিল। যেটা আমার অনুভূতি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রভাব ফেলছিল।’
সেই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বপ্নপূরণের পথে। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও (৪৮২) ছিলেন। শেষ চারে গিয়ে সেটার সমাপ্তি হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে। বিশ্বকাপের পরের পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলা ভিলিয়ার্স বলেন, ‘পরের ১২ মাস আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন একটা সময়। ওই সময়টাতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো খোলামেলা আলোচনা করতে পারতাম। বিশ্বকাপ পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত ছিল আমার। আমি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সবকিছু চালিয়ে নিচ্ছিলাম। ব্যাটিংয়েও সময়টা ভাল যাচ্ছিল। কিন্তু নিজের মধ্যে চলা ভাবনাগুলো কেন কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করিনি এটা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। পরে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি।’
নিজের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন বিশ্ব ক্রিকেটের নান্দনিক এই ব্যাটসম্যান। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ১১৪ টেস্টে ৮ হাজার ৭৬৫ এবং ২২৮ ওয়ানডেতে ৯৫৭৭ রান করেন তিনি।
সেই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বপ্নপূরণের পথে। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও (৪৮২) ছিলেন। শেষ চারে গিয়ে সেটার সমাপ্তি হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে। বিশ্বকাপের পরের পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলা ভিলিয়ার্স বলেন, ‘পরের ১২ মাস আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন একটা সময়। ওই সময়টাতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো খোলামেলা আলোচনা করতে পারতাম। বিশ্বকাপ পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত ছিল আমার। আমি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সবকিছু চালিয়ে নিচ্ছিলাম। ব্যাটিংয়েও সময়টা ভাল যাচ্ছিল। কিন্তু নিজের মধ্যে চলা ভাবনাগুলো কেন কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করিনি এটা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। পরে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি।’
নিজের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন বিশ্ব ক্রিকেটের নান্দনিক এই ব্যাটসম্যান। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ১১৪ টেস্টে ৮ হাজার ৭৬৫ এবং ২২৮ ওয়ানডেতে ৯৫৭৭ রান করেন তিনি।