বাংলারজমিন

চিলমারীতে বানভাসিদের আশ্রয় বাঁধে, মেলেনি সাহায্য

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

১ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন

ব্রহ্মপুত্র কখনো ভাঙে কখনো নিয়ে আসে বন্যা। ভাঙা গড়া আর পানিতে ভাসা যেন সঙ্গী হয়ে গেছে নদীর তীরবর্তী মানুষের। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সর্ব প্রথম তলিয়ে যায় তাদের বাড়িঘর আবার পানি কমতে শুরু করলেও সব শেষে রক্ষা পায় তারা। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসিরা কয়েকদিন থেকে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও মেলেনি কোনো সাহায্য। দুঃখ কষ্ট যেন চেপে ধরছে তাদের তবুও নেই কারো নজর।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি আর উজারের ঢলে বৃদ্ধি পায় ব্রহ্মপুত্রের পানি। তলিয়ে যায় নদীর তীরবর্তী মানুষ। তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী ও বাঁধের নিচে বসবাসকারীরা আশ্রয় নেয় ওয়াপদা বাঁধে। রমনা বাঁধে আশ্রয় নেয়া জোলেখা জানান, তার বাড়িতে বুক পানি উপায় না থাকায় আশ্রয় নিয়েছে বাঁধে। নেই খাবার ব্যবস্থা কষ্টে দিন কাটছে তার। একই এলাকার কছভান, মনোয়ারা, মিনারা, মনতাজ আলীসহ বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় দ্রুত তলিয়ে যায় তাদের বাড়িঘর কারো বাড়িতে গলা পানি আবার কারো বাড়িতে কোমর পানি তাই তারা বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধে। বেশ কয়েকদিন থেকে তারা বাঁধে আশ্রয় নিলেও এখন পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোনো সাহায্য। একই অবস্থা রাজাভিটা বাঁধে আশ্রয় নেয়া হাসান, গোলেনুর, হানিফার। শুধু রমনা ও রাজাভিটা এলাকা নয় তাদের মতো শতশত পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ষাটোর্ধ্ব মল্লিকা বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজারভিটা বাঁধে তিনি জানান, বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে রোজগারও নেই ব্যবস্থাও নেই আছি বড় বিপদে। সদ্য বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসিরা জানান, একে তো করোনার ভয় এর ওপর বন্যার হানা এছাড়াও হাতে কোনো কাজ নেই বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে বন্যার কারণে। তারা আরো জানান, করোনায় ঘরে থাকতে বললেও বন্যা তো বাহির করে দিলো তাই বাধ্য হয়েই ঘরবাড়ি ছেড়ে কষ্ট হলেও খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে বাঁধের রাস্তায়। ৫ দিন থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও কোনো সাহায্য পায়নি শামছুল হক। তিনি দুঃখের সঙ্গে জানান, করোনার সময় হাতে কাজ ছিল না তবুও কেউ সাহায্য করতে আসেনি, এখন বন্যা এবারে হয়তো কেউ আসবে না কারণ আমাদের কেউ খোঁজ রাখে না। তারা খোঁজ নেয় যাদের সব আছে তাদের। এ সময় বাঁধে আশ্রয় নেয়া অনেকে জানান, সকলে খালি চরে যায় কিন্তু বাঁধের নিচে বসবাসকারীরা যে কত কষ্টে থাকে তা কেউ খেয়াল করে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্‌ বলেন, বানভাসি বাঁধে আশ্রয় নেয়াদের জন্য দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status