বাংলারজমিন
খানসামায় চিনা বাদামের ফলন ও দামে চাষিরা খুশি
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:২৮ পূর্বাহ্ন
বিশ্বব্যাপী পরিচিত, অধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় মুখরোচক স্ন্যাক্স ফসল চিনা বাদাম। চিনা বাদাম চাষ করে অধিকতর লাভবান হওয়া যায়। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষকৃত চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দামে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। তবে কয়েক সপ্তাহ যাবত প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাদাম প্রক্রিয়াজাত করে ঘরে নিতে হাঁপিয়ে উঠেছে চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে, চলতি বছর ৩ হেক্টর জমিতে দেশি ও হাইব্রীড জাতের চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছের গোড়ায় শেকড়সহ আধা শুকনা বাদাম ডালি আর বস্তা ভরে ঘরে তুলছেন ক’জন চাষি। আবার কেউ বাদামসহ গাছ তুলে জমিতে শুকাতে দিচ্ছেন। ওই গ্রামের ঝগুরুপাড়ার বাদাম চাষি আব্দুল মান্নান জানান, এক যুগ আগে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বীজ এনে প্রথম পরী¶ামূলকভাবে বাদাম চাষ করেন। সে বছর তিনি নিজ জমিতে চিনা বাদামের ফলন ও লোকমুখে নতুন ফসলের প্রশংসা শুনে বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ শুরু করেন। তিনি আরো জানান, এখন এলাকার অনেকেই চিনা বাদাম চাষ করছেন। তিনি এবার ২৫ শতক জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছেন। বীজ ক্রয়, হালচাষ, বপন, সার, নিড়ানী, সেচ ও উত্তোলন খরচ হয়েছে অন্তত ৭ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ৬ মণ। বর্তমান বাজার মূল্যে কাঁচা বাদাম ৫০ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকা এবং শুকনা হলে ১৮-২০ হাজার টাকা হতে পারে। একই এলাকার বাদাম চাষী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি নতুন চাষী। মাত্র দু’বার বাদাম চাষ করছি। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চিন্তা করছি প্রতিবছর বাদাম চাষ করব। এতে খানসামার চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশি¶ণ, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ, সংর¶ণাগার ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা চালু করতে কর্তৃপ¶ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন বাদাম চাষি ও এলাকাবাসী।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আফজাল হোসেন জানান, চিনা বাদামের উৎপত্তি মূলত আমেরিকায়। চিনা বাদাম মানব শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী এবং অর্থকরি ফসল। এটি লেগাম গোত্রের একটি প্রজাতি। উঁচু জমিতে চিনা সারা বছর বাদাম চাষ করা যায়। বেলে দো-আঁশ ও এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। উপজেলায় এ ধরণের অনেক জমি আছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো ছিলো। যারা চাষ করেছেন তাদের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ভালো বাজার দর পেয়ে চাষিরাও খুশি হয়েছেন। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে বাদাম চাষ হবে বলে আশা রাখি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে, চলতি বছর ৩ হেক্টর জমিতে দেশি ও হাইব্রীড জাতের চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছের গোড়ায় শেকড়সহ আধা শুকনা বাদাম ডালি আর বস্তা ভরে ঘরে তুলছেন ক’জন চাষি। আবার কেউ বাদামসহ গাছ তুলে জমিতে শুকাতে দিচ্ছেন। ওই গ্রামের ঝগুরুপাড়ার বাদাম চাষি আব্দুল মান্নান জানান, এক যুগ আগে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বীজ এনে প্রথম পরী¶ামূলকভাবে বাদাম চাষ করেন। সে বছর তিনি নিজ জমিতে চিনা বাদামের ফলন ও লোকমুখে নতুন ফসলের প্রশংসা শুনে বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ শুরু করেন। তিনি আরো জানান, এখন এলাকার অনেকেই চিনা বাদাম চাষ করছেন। তিনি এবার ২৫ শতক জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছেন। বীজ ক্রয়, হালচাষ, বপন, সার, নিড়ানী, সেচ ও উত্তোলন খরচ হয়েছে অন্তত ৭ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ৬ মণ। বর্তমান বাজার মূল্যে কাঁচা বাদাম ৫০ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকা এবং শুকনা হলে ১৮-২০ হাজার টাকা হতে পারে। একই এলাকার বাদাম চাষী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি নতুন চাষী। মাত্র দু’বার বাদাম চাষ করছি। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চিন্তা করছি প্রতিবছর বাদাম চাষ করব। এতে খানসামার চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশি¶ণ, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ, সংর¶ণাগার ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা চালু করতে কর্তৃপ¶ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন বাদাম চাষি ও এলাকাবাসী।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আফজাল হোসেন জানান, চিনা বাদামের উৎপত্তি মূলত আমেরিকায়। চিনা বাদাম মানব শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী এবং অর্থকরি ফসল। এটি লেগাম গোত্রের একটি প্রজাতি। উঁচু জমিতে চিনা সারা বছর বাদাম চাষ করা যায়। বেলে দো-আঁশ ও এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। উপজেলায় এ ধরণের অনেক জমি আছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো ছিলো। যারা চাষ করেছেন তাদের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ভালো বাজার দর পেয়ে চাষিরাও খুশি হয়েছেন। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে বাদাম চাষ হবে বলে আশা রাখি।