এক্সক্লুসিভ

বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই অর্থ বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার

৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন

অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করা ছাড়া বাজেটে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি, তাই অর্থ বিলেও আসেনি কোনো পরিবর্তন। নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন বছর তা বাজারে রাখার যে শর্ত দেয়া হয়েছিল, তা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে অর্থবিল-২০২০ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
গতকাল সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দলের সদস্যদের দেয়া জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব আসলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ করা হয়। বিলটি পাসের আগে সমাপনী বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করেন, মানুষ বাজেট বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে। তিনি গত ১১ই জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের সঙ্গে অর্থবিল-২০২০ সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন। আজ মঙ্গলবার পাস হবে মূল বাজেট। পহেলা জুলাই বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

কঠোর সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে অর্থ বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাব এনে বক্তৃতা করেন সরকারি ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নুু এবং আওয়ামী লীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও আলী আশরাফের কয়েকটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করেন। পরে সেগুলো কণ্ঠভোটেও পাস হয়। তবে ওই সকল সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদে যে অর্থবিল পাস হয়েছে, তাতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের প্রস্তাব ছিল না। মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব প্রত্যাহারের যে দাবি ছিল, তাতেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে তার বাজেট প্রস্তাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ আরো বিস্তৃত করেন। কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, দালান নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ গত অর্থবছরেই ছিল। ২০২০-২১ সালের বাজেটে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। কোনো জরিমানা ছাড়া কেবল ১০ শতাংশ কর দিয়ে যে কেউ তার অবৈধভাবে অর্জিত অথবা কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে সঞ্চিত অর্থ এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ওই টাকার উৎস জানতে চাইবে না।
তবে কেউ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো শেয়ারে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলে তিন বছরের ‘লক ইন’ বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞার শর্ত দেয়া হয়, যা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাশাপাশি বালাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও ‘লক ইনের’ ওই শর্ত তুলে দেয়ার সুপারিশ করেছিল। এভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী সেদিন বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে এই ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন তিনি। তবে এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলে সৎ করদাতাদের প্রতি ‘অবিচার’ করা হয় বলে অনেকেই এর বিরোধিতা করেন। এমতাবস্থায় অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে কালো টাকা’র ‘লক ইন’ ৩ বছরের পরিবর্তে এক বছর করে তার সঙ্গে অন্যকিছু সংশোধনী এনে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অর্থবিল পাসের আগে বাজেটের ওপর নিজের সমাপনী বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। তার আগে বাজেট আলোচনায় অংশ নেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথা অনুযায়ী, অর্থবিলে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে অর্থমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্য এবং অর্থবিল পাসের আগে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীকে সে বিষয়ে অনুরোধ করেন। এরপর অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ আমলে নিয়ে সেসব বিষয়ে পরিবর্তন এনে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী কোনো পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেননি। বাজেটের উপর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন কিছু নয়। অতীতের সব বাজেটই বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবারের বাজেটও সরকার বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।

পরে বাজেটের উপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিকালে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বিশাল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরে আগামী অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে দেশের সব মানুষ এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আমরা বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, আমাদের প্রকৃত অর্জন প্রতি বছরই তার চাইতে বেশি ছিল। বিগত ১০ বছরে জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮৮ শতাংশ, যা বিশ্বে সকলের উপরে। আমাদের কাছাকাছি ছিল চায় না ১৭৭ শতাংশ নিয়ে এবং ভারত ১১৭ শতাংশ। গত ১১ বছরে আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে ৩ গুণ। দ্য ইকোনমিস্ট ২রা মে ২০২০ তারিখে গবেষণামূলক একটি প্রতিবেদনে ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশ রয়েছে নবম শক্তিশালী অবস্থানে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১১ই জুন এই মহান জাতীয় সংসদে আমরা বাজেট ২০২০-২০২১ উপস্থাপন করেছি, এর মাত্র সাতদিনের মাথায় গত ১৮ই জুন ২০২০ তারিখে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আগামী অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশের একেবারে কাছাকাছি। এতেই প্রতীয়মান হয় আমরা বাজেটটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যারা কাজ হারিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ কৃষক, শ্রমিক, মজুর, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী, বেদে, স্বাস্থ্যকর্মী, ভ্যানচালক, রিকশাওয়ালাসহ সকল পেশার মানুষ, পান দোকানি, চা দোকানি, মুদি দোকানি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র, কুটির ও ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ী, সকল শ্রেণি ও নৃ- গোষ্ঠীর মানুষ, যারা কষ্টে আছেন তাদের সকলের জন্য এবারের বাজেট। দেশের কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এ বাজেট থেকে বাদ দিতে পারিনি। কাউকে বাদ দিতে পারলে বাজেটের আকার অবশ্যই ছোট রাখা যেত, ছোট রাখা যেত বাজেট ঘাটতিও। কিন্তু সত্য যে বড় কঠিন, তাই সব জেনেশুনে আমরা এই কঠিনকেই ভালোবেসেছি। এই বাজেট বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে আমাদের দেশের সকল মানুষ, যারা আমাদের প্রাণশক্তি।
সারা বিশ্ব একটি ক্রান্তিকাল পার করছে মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, সেখান থেকে আমরাও পরিত্রাণ পাইনি। পৃথিবীর অর্থনৈতিক এলাকায় সময়টি একটি অস্বাভাবিক সময়। স্বাভাবিক সময় হলে মাননীয় সদস্যদের প্রস্তাব সমূহের অনেক কিছু বিবেচনা করতে পারতাম।

পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১১ই জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করেন, যা দেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। করোনাভাইরাস সংকটে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি না বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ০৪৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা নিয়ম অনুযায়ী আগেই অনুমোদন করা হয়েছে। এবার পরিচালন ব্যয় (ঋণ, অগ্রিম ও দেনা পরিশোধ, খাদ্য হিসাব ও কাঠামোগত সমন্বয় বাদে) ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৬ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। তার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। টাকার ওই অঙ্ক মোট বাজেটের ৫৮ শতাংশের বেশি। গতবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, এক লাখ ২৫ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল এক লাখ ২৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা এক লাখ ৯ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এবারের বাজেটে আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে এক লাখ ৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
এছাড়া নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৫৭ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৫৫ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৩ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে এক হাজার ৫৩০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বৈদেশিক অনুদান থেকে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এই বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশের মতো। সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা হলেও এবার তা সম্ভব হয়নি। এই ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রীর সহায় অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ।

অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, বিদেশ থেকে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ঋণ করে ওই ঘাটতি মেটানো যাবে। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে। বিদায়ী অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও কোভিড-১৯ দুর্যোগের মধ্যে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। সামনে গভীর অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status