অনলাইন
একটি মানবজমিন অনুসন্ধান
আনন্দবাজার সম্পাদকের পদত্যাগের নেপথ্যে
মানবজমিন কলকাতা ব্যুরো
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন
আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় সুনামি উঠে গেছে। তবে কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই? সরকারের সামান্যতম বিরোধিতা করলেই কি পুলিশ পাঠিয়ে হেনস্থা এবং অবশেষে চাকরি যাবে? এ কথা অনস্বীকার্য যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে একচক্ষু হরিণের নীতিতে চলে। চাটুকার, পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশনে উৎসাহীরা আলাদা কদর পেয়ে থাকে সরকারে। বিজ্ঞাপনের বদান্যতা তাদের দিকেই বর্ষিত হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রণও এরাই পেয়ে থাকে। তবু একথা বলেও মানবজমিনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অমোঘ তথ্য । আনন্দবাজারের সম্পাদকের পদ থেকে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পেছনে কোন রাজনৈতিক চাপ নেই। একান্ত ব্যাক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন সুভদ্র, সুপন্ডিত চার বছর আগে অভিক সরকারের স্থলাভিষিক্ত এই সাংবাদিক। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা অনির্বাণকে সমন পাঠিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে অনির্বাণ যাননি। সুতরাং ছ’ ঘণ্টা জেরা করে তাকে মানসিক চাপে ফেলার অভিযোগের সত্যতা নেই। স্বয়ং অনির্বাণ এবং তাঁর স্ত্রী মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়, যিনি আনন্দবাজার গ্রুপের সানন্দা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন অনির্বাণের ইস্তফার সঙ্গে রাজনৈতিক চাপের কোন সম্পর্ক নেই। একবছর ধরেই অনির্বাণ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছিলেন একাডেমিকসের জগতে যাবেন বলে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংবাদ কর্মীদের ছাঁটাই নিয়ে তাঁর মতপার্থক্যের কথা জানিয়েও সেটা তার পদত্যাগের কারণ নয় বলে জানিয়েছেন অনির্বাণ-মধুমিতা । ব্যাক্তিগত যে দিকটাতে কেউ আলোকপাত করেনি, মানবজমিনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সেই কথাও। যাদবপুর থানায় একটি এফ আই আর কি সুপণ্ডিত, যথার্থ ইন্টেলেকচুয়াল অনির্বাণের আত্মাভিমানকে আঘাত করেছিল? যে বিষয়টির তদন্ত যৌথভাবে করছে কেন্দ্র ও রাজ্য। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগে কি কিছু অভিধান বহির্ভূত কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন যথার্থ সুভদ্র এই সাংবাদিকের কোন নিকটজন। যে কারণে নৈতিকভাবে অনির্বাণ সরে দাঁড়ালেন তার পদ থেকে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলছে না। রাজ্য সরকারও নিশ্চুপ কারণ এটি একটি সংবাদপত্রের অভ্যন্তরীণ ঘটনা বলে। নীরবতার এই হিরণময়তা না কাটলে ধোঁয়াশা পরিষ্কার হবে না।
ওদিকে সিনিয়র সাংবাদিক ঈশানী দত্ত রায়কে সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। এর আগে দক্ষতার সঙ্গে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঈশানী সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেন। প্রায় ২০০ সাংবাদিক, অসাংবাদিক ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, ১৯২২ সনের ১৩ই মার্চ আনন্দবাজার প্রথম প্রকাশিত হয়।
ওদিকে সিনিয়র সাংবাদিক ঈশানী দত্ত রায়কে সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। এর আগে দক্ষতার সঙ্গে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঈশানী সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেন। প্রায় ২০০ সাংবাদিক, অসাংবাদিক ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, ১৯২২ সনের ১৩ই মার্চ আনন্দবাজার প্রথম প্রকাশিত হয়।