শেষের পাতা
কারখানায় করোনা শনাক্তে ল্যাব স্থাপনের আহ্বান সালমান এফ রহমানের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
দেশের বড় বড় উদ্যোক্তাদের পর্যায়ক্রমে কারখানায় আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি একটি করে করোনাভাইরাস শনাক্তে ল্যাব স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ’র কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, অনেক কারখানায় শ্রমিকদের জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন স্থাপন করা হয়েছে। অনেক কারখানায় করোনা আইসোলেশন সেন্টারও স্থাপন করা হয়েছে। তাই আমার অনুরোধ তারা যেন একটি করে ল্যাবও স্থাপন করেন। সবাই হয়তো পারবেন না। তবে বড় বড় উদ্যোক্তা বা কোম্পানির মালিক যাদের জায়গা-জমি বেশি আছে ইচ্ছে করলে তারা এই ল্যাব স্থাপন করতে পারবেন।
করোনায় সুস্থ হওয়ার হার নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরছেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্থ হওয়ার যে তথ্য দেয়া হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে বেশি সুস্থ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, বিশেষ করে পুলিশ বিভাগের রিপোর্ট অনুসারে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ৮৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে গেছেন। তারা কাজেও যোগদান করেছেন। তাই বিজিএমইএসহ সব কারখানায় যেন পর্যায়ক্রমে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই ল্যাব চালুর মাধ্যমে বিজিএমইএ আবারও প্রমাণ করল যে, বিজিএমইএর সদস্যরা শুধু ব্যবসা করে না। মানবিকভাবে শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিকরা মিলে এই খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। করোনা এখনি চলে যাচ্ছে না। এই করোনাকে ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ?ওষুধ আবিষ্কার না হবে ততদিন পর্যন্ত করোনাকে আমাদের ম্যানেজ করে চলতে হবে। মেয়র আতিক করোনা পরীক্ষার কোনো ফলস (ভুয়া) রিপোর্ট তৈরি করা হবে না বলে প্রত্যাশা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, এই পিসিআর ল্যাব কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতার অংশ। এটি থেকে প্রতিদিন ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। শ্রমিক কল্যাণে এটি দক্ষতার সঙ্গে চালানোর আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, দরকার হলে বিজিএমইএ’র আরো ল্যাব স্থাপন করা উচিত। কারণ শ্রমিকের পর্যাপ্ত কোভিড পরীক্ষা এবং চিকিৎসা না হলে শিল্প চালানো কঠিন হয়ে যাবে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন ব?লেন, করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে অনেক উদ্যোক্তা পোশাক শিল্প খাত থেকে হারিয়ে যেতে পারেন। ফলে অনেক শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজমন্ত্রী টিপু মুন্শি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (বাডাস) সভাপতি প্রফেসর ডা. একে আজাদ খান, বস্ত্রকল-মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
এদিকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব মালিকপক্ষের পাশাপাশি তাদেরও রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি ল্যাব বসাচ্ছে বিজিএমইএ। এছাড়া নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইসোলেশন সেন্টারও করবে তারা। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে পোশাক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে ২৬৪ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকি কমাতে যত বেশি সম্ভব শ্রমিককে পরীক্ষার আওতায় আনতে চায় বিজিএমইএ।
বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ’র কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, অনেক কারখানায় শ্রমিকদের জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন স্থাপন করা হয়েছে। অনেক কারখানায় করোনা আইসোলেশন সেন্টারও স্থাপন করা হয়েছে। তাই আমার অনুরোধ তারা যেন একটি করে ল্যাবও স্থাপন করেন। সবাই হয়তো পারবেন না। তবে বড় বড় উদ্যোক্তা বা কোম্পানির মালিক যাদের জায়গা-জমি বেশি আছে ইচ্ছে করলে তারা এই ল্যাব স্থাপন করতে পারবেন।
করোনায় সুস্থ হওয়ার হার নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরছেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্থ হওয়ার যে তথ্য দেয়া হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে বেশি সুস্থ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, বিশেষ করে পুলিশ বিভাগের রিপোর্ট অনুসারে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ৮৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে গেছেন। তারা কাজেও যোগদান করেছেন। তাই বিজিএমইএসহ সব কারখানায় যেন পর্যায়ক্রমে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই ল্যাব চালুর মাধ্যমে বিজিএমইএ আবারও প্রমাণ করল যে, বিজিএমইএর সদস্যরা শুধু ব্যবসা করে না। মানবিকভাবে শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিকরা মিলে এই খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। করোনা এখনি চলে যাচ্ছে না। এই করোনাকে ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ?ওষুধ আবিষ্কার না হবে ততদিন পর্যন্ত করোনাকে আমাদের ম্যানেজ করে চলতে হবে। মেয়র আতিক করোনা পরীক্ষার কোনো ফলস (ভুয়া) রিপোর্ট তৈরি করা হবে না বলে প্রত্যাশা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, এই পিসিআর ল্যাব কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতার অংশ। এটি থেকে প্রতিদিন ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। শ্রমিক কল্যাণে এটি দক্ষতার সঙ্গে চালানোর আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, দরকার হলে বিজিএমইএ’র আরো ল্যাব স্থাপন করা উচিত। কারণ শ্রমিকের পর্যাপ্ত কোভিড পরীক্ষা এবং চিকিৎসা না হলে শিল্প চালানো কঠিন হয়ে যাবে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন ব?লেন, করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে অনেক উদ্যোক্তা পোশাক শিল্প খাত থেকে হারিয়ে যেতে পারেন। ফলে অনেক শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজমন্ত্রী টিপু মুন্শি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (বাডাস) সভাপতি প্রফেসর ডা. একে আজাদ খান, বস্ত্রকল-মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
এদিকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব মালিকপক্ষের পাশাপাশি তাদেরও রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি ল্যাব বসাচ্ছে বিজিএমইএ। এছাড়া নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইসোলেশন সেন্টারও করবে তারা। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে পোশাক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে ২৬৪ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকি কমাতে যত বেশি সম্ভব শ্রমিককে পরীক্ষার আওতায় আনতে চায় বিজিএমইএ।