বিশ্বজমিন

জব্দ হওয়া এশিয়ার সবথেকে বড় মাদক চালানের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহীম জড়িত

মানবজমিন ডেস্ক

২ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

গত ১৮ মে মিয়ানমারে এশিয়ার ইতিহাসের সবথেকে বড় মাদক চালান আটকের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, এটির সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবথেকে বড় মাদকের সিন্ডিকেট জড়িত। এর সঙ্গে করাচিভিত্তিক আন্ডারওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক ডি-কো¤পানির যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এটির প্রধান ভারত থেকে পলাতক সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীম। তিনিই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ মাদক চালান নিয়ন্ত্রণ করেন। এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)।
মে মাসে মিয়ানমারে প্রায় ১৮ টন মাদক আটক করা হয়েছিলো। এগুলো চীন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চলছিলো। ভারতীয় গোয়েন্দারা এ জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। এর আগে মিয়ানমার পুলিশের মাদক বিরোধী শাখা ৫০০ কেজি ক্রিস্টার মেথ, ৩০০ কেজি হিরোইন ও ৩৭৫০ টি মিথাইল ফেন্টানাইল উদ্ধার করে। সূত্রমতে, ডি-কো¤পানির ঢাকা ও থাইল্যান্ডে শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এটি মিয়ানমার থেকে ফেন্টালাইনের মতো সিন্থেটিক মাদক ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও প্রবেশ করায়।
আইএএনএস সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ ধরণের আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের সঙ্গে মাফিয়া প্রধানরা সরাসরি যুক্ত থাকেন না। তবে এখনো এ নিয়ে জোর তদন্ত চলছে এবং ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, এর সঙ্গে আঞ্চলিক বড় মাফিয়াগুলো যুক্ত। এরমধ্যে অন্যতম ডি-কো¤পানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্টারপোল দাউদ ইব্রাহীমকে এশিয়ার সবথেকে বড় মাদক চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী সংস্থা ডিইএ দাউদ ইব্রাহীম ও তার ডান হাত জাবির মোতিকে নিয়ে দীর্ঘদিন তদন্ত করে আসছে। কয়েক বছর পূর্বে বৃটেনে আটক হন পাকিস্তান থেকে পলাতক মোতি। তার থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, দাউদ ইব্রাহীম তার হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে মাদক পাচার করে থাকে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, দাউদ ইব্রাহীম ও তার ভাই শেখ আনিস ইব্রাহীম হিরোইন, আফিমসহ বেশ কয়েকটি সিন্থেটিক মাদক চোরাচালান করে থাকে। তাদের সহযোগি আফগানিস্তানের আরেক মাদক মাফিয়া হাজি জান লাল ইশকযাই। এভাবে তারা তাদের মাদক সাম্রাজ্য বড় করে তুলছে প্রতিনিয়ত। এরইমধ্যে সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, তানজেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া ও ঘানাতে ডি-কো¤পানির ঘাঁটি স্থাপিত হয়েছে। সেখানে আরো কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে তারা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির তালিকায় নাম ছিলো ইশকযাইয়ের। ২০১২ সালে তাকে আটকেও সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সে স্থানীয় কর্মকর্তাদের ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়ে পলায়ন করে। এরপর তিনি আবারো তার মাদক চোরাচালানের ব্যবসায় ফিরে আসেন। আফগানিস্তানে বিশ্বের সবথেকে বেশি আফিম উৎপাদিত হয়। তালেবানের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস মাদক।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status