এক্সক্লুসিভ
সাফল্যের হাসি ওদের
সিলেটে সেরাদের সেরা ব্লু-বার্ড স্কুল
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১ জুন ২০২০, সোমবার, ৭:১৬ পূর্বাহ্ন
ফলাফল প্রকাশ হলে আনন্দের ঢেউ খেলে আঙ্গিনায়। নীল পাখিরা বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তারা আনন্দ উপভোগ করতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে নেই সেই দৃশ্যপট। সব যেনো বদলে গেছে। নীল পাখিরা আসেনি প্রিয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষকদের নেই ব্যস্ততা। মাইকে ঘোষণা নেই। সবকিছু নীরব নিস্তব্ধ। সিলেটের ব্লু-বার্ড। এক নামেই পরিচিত সিলেটের এই বিদ্যাপীঠ। এসএসসিতে বরাবরই ভালো ফলাফল করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এবারো তার ব্যতিক্রম হলো না। সেরাদের সেরা কৃতিত্ব ধরে রাখছে এই বিদ্যালয়টি। এসএসসি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান দখল করে রাখলো। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর একবারই উচ্ছ্বাসমুখর হয় ক্যাম্পাস। কিন্তু এবার তা হলো না। শিক্ষার্থীরা আসেনি। তারা বলেন, ব্লু-বার্ড কৃতিত্ব ধরে রাখতে সব সময়ই সচেষ্ট। এর কারণ শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের কঠোর মনিটরিং করেন। এবার শতভাগ পাস করা এই প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বোচ্চ ২১৪ জন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্লু-বার্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন সবাই। বোর্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২৬৬ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৭ জন। এই প্রতিষ্ঠানেরও শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৪৬ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬ জন। সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৩৬ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩২১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৯ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। হবিগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ের ২৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪৯ জন। পাসের হার ৯৮.০৩ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৫ জন। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ দশের তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৫ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৯.১৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ এবারও অক্ষুণ্ন রেখেছে শতভাগ পাসের রেকর্ড। ৫৪ জন পরীক্ষার্থী এখান থেকে অংশ নিয়ে পাস ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জনই। জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করে ২৫৮ জন। পাসের হার ৯৮.১০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ জন। সিলেট বোর্ডের মধ্যে সিলেট জেলায় পাস করেছে ৮০ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা বোর্ডে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে মেয়েদের হার ৮০ দশমিক ৪২ শতাংশ ও ছেলেদের হার ৮১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অপরদিকে মৌলভীবাজার জেলায় পাস করেছে ৮০ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছেলে ও ৭৯ দশমিক ৬১ শতাংশ মেয়ে। হবিগঞ্জ জেলায় পাস করেছে ৭২ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা সিলেট বোর্ডে সর্বনিম্ন। এদের মধ্যে ছেলে ৭২ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং মেয়ে ৭২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সিলেট জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ১৮০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫৩ জন ও মেয়ে ১ হাজার ১২৭ জন। হবিগঞ্জের ৬০৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ২৯০ জন ছেলে এবং ৩১৫ জন মেয়ে। মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৬৫ জন। এর মধ্যে ৫২৭ জন ছেলে এবং ৫৩৮ জন মেয়ে। সুনামগঞ্জ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৪১৩ জন। এর মধ্যে ২১১ জন ছেলে এবং ২০২ জন মেয়ে।
যশোর বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ ৫
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ২০২০ সালের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ কম। এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র দাবি করেন, গত বছরের তুলনায় পাসের হার কিছুটা কমলেও ফলাফল সন্তোষজনক।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর যশোর বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের দশ জেলার দুই হাজার ৫২১টি বিদ্যালয় থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গত বছরের তুলনায় ২১ হাজার কম। এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৮০ হাজার ৩০৯ ও ছাত্রী ৮০ হাজার ৩২৬ জন। যার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৪৬ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৯৬ হাজার ৭৮৮ জন, বাণিজ্য বিভাগ থেকে ২৬ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এ বছর পাস করেছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। যা গত বছরের তুলনায় তিন হাজার ৮১৬ জন বেশি। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় পাসের হার ৩ শতাংশ কমেছে পরীক্ষার্থী কম হওয়ার কারণে। সার্বিক ফলাফল সন্তোষজনক। অষ্টম শ্রেণি থেকে ‘প্রশ্নব্যাংকের’ মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ ও পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত করতে পারায় ফলাফল ভালো হয়েছে।
ফলাফল যাতে আগামীতে আরো ভালো হয়, সে বিষয়ে বোর্ডের তদারকি অব্যাহত থাকবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, যশোর বোর্ডে এ বছর ২৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
তবে একজনও পাস করেনি- এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সাতক্ষীরার কলারোয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় ও দেবহাটা ধাপুখালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কন্ট্রোলার বলেন, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
চট্টগ্রামে এগিয়ে ছাত্রীরা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এবার ৯ হাজার ৮ জন। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ১ হাজার ২২ জন বেশি। আর এরা সবাই ছাত্রী। একইভাবে এবার ৮৪.৭৫ শতাংশের মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ২৪৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৭৬৩ জন। যেখানে ৫১৮ জন ছাত্রী বেশি। রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে ছাত্রীরা। তাদের জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ২২টি। যাকে মেয়ে শিক্ষার অভাবনীয় সাফল্য বলা যেতে পারে। ফলাফল ভালো হওয়ার প্রথম কারণ- সরকারের গৃহীত শিক্ষামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে চট্টগ্রামে সেরা ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ৪৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬৯ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৮ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.২২ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তিনটি বিভাগে গড় পাসের হার ৮৫.২২ শতাংশ। এ বছর ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬০ জন। ৩টি বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে পাসের হার, কিন্তু বেড়েছে জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ বিভাগে ৪৪ হাজার ৭১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৩ হাজার ২৬৪ জন। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৭৬.৩৩ শতাংশ। এ বিভাগে ৫৫ হাজার ৪২৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪২ হাজার ৩০৪ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ বিভাগে ৫৮ হাজার ৯৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৯ হাজার ৯৯২ জন। এ বোর্ডে এবার ফলাফলে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৮৬.৩১ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ বছর ১ হাজার ৭৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য নেই। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৭.১৬ শতাংশ এবং জিপিএ পেয়েছিল ৮ হাজার ৭৬৪ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১.৯৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ বেড়েছে ১ হাজার ৪৮১ জন। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, গণিতে গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৭৭ শতাংশ এবং এবার পাস করেছে ৮৮.৯৩ শতাংশ। অন্য বিষয়ে ধারাবাহিকতা থাকলেও গণিতে তুলনামূলক পাসের হার কিছুটা কমেছে, তবে এটাকে খারাপ বলা যাবে না।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪৩৪ জন
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে: এসএসসি ২০২০ পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩। এই বোর্ডের অধীনে এবার ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১ লাখ ১২৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৭ হাজার ৪৩৪ জন। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ২৪০ জন মানবিক শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬৭ জন ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪টি জেলার মধ্যে শেরপুর জেলায় পাসের হার সর্বোচ্চ ৮৩.১৭। ময়মনসিংহ জেলা ৮০.০৫। নেত্রকোনা জেলায় ৭৯.৭৪। ও সর্বনিম্ন পাসের হার জামালপুর জেলা ৭৮.৯৯। জিপিএ-৫ পাওয়া ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ২৩ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে: এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ দশমিক ২১ ভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। সংখ্যায় ২৩ হাজারের ও বেশি। গাণিতিক নিয়মে মোট পরীক্ষার্থীর এক-পঞ্চমাংশ ফেল। মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের চেয়ে ২৯৬টি বেশি। গতকাল সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবারের এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণমাধ্যমে পাঠানো বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন স্বাক্ষরিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৬ হাজার ৪৬৭ জন এবং ছাত্রী ৫৬ হাজার ৮২৭ জন। পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৪৩ হাজার ৩৫ জন ও মেয়ে ৪৬ হাজার ৫৮১ জন। মোট ফেল করেছে ২৩ হাজার ৬৭৯ জন। এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে পাস ও জিপিএ’র হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৬ হাজার ৪৬৭ জন এবং ছাত্রী ৫৬ হাজার ৮২৭ জন। পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৪৩ হাজার ৩৫ জন ও মেয়ে ৪৬ হাজার ৫৮১ জন। প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে পাস ও জিপিএ’র হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে।
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে
রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে: এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও সন্তোষজনক বলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এবার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ৫০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৭ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১১ জন। দু’জন পরীক্ষার্থী অসুস্থতার জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। রংপুর জিলা স্কুলে ২৫০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬০ জন। রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৬ জন পরীক্ষা পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৫ জন। মিলেনিয়াম স্টারস্ স্কুল এন্ড কলেজে ১৩১ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮ জন। পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে ৪শ’ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৯৫ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ জন।
এবারো শীর্ষে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবারও পঞ্চগড় জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে এবার ২৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন। গত বছরের ফলাফলেও জেলার শীর্ষে ছিল এই বিদ্যালয়টি। পরের অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩২ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ১০৬ জন। পাসের হার শতকরা ৮১ দশমিক ০৫ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫৭ জন শিক্ষার্থী। এবার পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পরীক্ষায় ৬ হাজার ৮৪০ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ৬৭৯ জন। পাসের হার শতকরা ৮৩ দশমিক ০৩ ভাগ। পরীক্ষায় ৬ হাজার ৮৬৩ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ৪২৭ জন। ছেলেদের পাসের হার শতকরা ৭৯ দশমিক ০৮ ভাগ।
রাজশাহীতে কমেছে পাসের হার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: এবারের এসএসসি ফলাফলে দেশসেরা রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে আগের চেয়ে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এছাড়া বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ভার্চুয়ালি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনকারি শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে নিজ নিজ ফলাফল জানতে পেরেছেন। প্রকাশিত ফলাফলের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এবার পাসের হার ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৭৪ জন। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৬২১ জন ছাত্রী ও ১২ হজার ৫৪৬ জন ছাত্র রয়েছে। এবছর রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ২৬৫২টি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ছিল ২ লাখ ১ হাজার ২২৯ জন শিক্ষার্থী। বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ২ লাখ ১৮৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ১৪৩ জন। আর ছাত্রী ৯৬ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চলতি বছর বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাস করেছে ৩০৮টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। তবে এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন পাসের হার শূণ্য এমন কোনো স্কুল নেই।
যশোর বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ ৫
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ২০২০ সালের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ কম। এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র দাবি করেন, গত বছরের তুলনায় পাসের হার কিছুটা কমলেও ফলাফল সন্তোষজনক।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর যশোর বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের দশ জেলার দুই হাজার ৫২১টি বিদ্যালয় থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গত বছরের তুলনায় ২১ হাজার কম। এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৮০ হাজার ৩০৯ ও ছাত্রী ৮০ হাজার ৩২৬ জন। যার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৪৬ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৯৬ হাজার ৭৮৮ জন, বাণিজ্য বিভাগ থেকে ২৬ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এ বছর পাস করেছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। যা গত বছরের তুলনায় তিন হাজার ৮১৬ জন বেশি। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় পাসের হার ৩ শতাংশ কমেছে পরীক্ষার্থী কম হওয়ার কারণে। সার্বিক ফলাফল সন্তোষজনক। অষ্টম শ্রেণি থেকে ‘প্রশ্নব্যাংকের’ মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ ও পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত করতে পারায় ফলাফল ভালো হয়েছে।
ফলাফল যাতে আগামীতে আরো ভালো হয়, সে বিষয়ে বোর্ডের তদারকি অব্যাহত থাকবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, যশোর বোর্ডে এ বছর ২৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
তবে একজনও পাস করেনি- এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সাতক্ষীরার কলারোয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় ও দেবহাটা ধাপুখালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কন্ট্রোলার বলেন, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
চট্টগ্রামে এগিয়ে ছাত্রীরা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এবার ৯ হাজার ৮ জন। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ১ হাজার ২২ জন বেশি। আর এরা সবাই ছাত্রী। একইভাবে এবার ৮৪.৭৫ শতাংশের মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ২৪৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৭৬৩ জন। যেখানে ৫১৮ জন ছাত্রী বেশি। রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে ছাত্রীরা। তাদের জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ২২টি। যাকে মেয়ে শিক্ষার অভাবনীয় সাফল্য বলা যেতে পারে। ফলাফল ভালো হওয়ার প্রথম কারণ- সরকারের গৃহীত শিক্ষামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে চট্টগ্রামে সেরা ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ৪৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬৯ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৮ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.২২ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তিনটি বিভাগে গড় পাসের হার ৮৫.২২ শতাংশ। এ বছর ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬০ জন। ৩টি বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে পাসের হার, কিন্তু বেড়েছে জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ বিভাগে ৪৪ হাজার ৭১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৩ হাজার ২৬৪ জন। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৭৬.৩৩ শতাংশ। এ বিভাগে ৫৫ হাজার ৪২৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪২ হাজার ৩০৪ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ বিভাগে ৫৮ হাজার ৯৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৯ হাজার ৯৯২ জন। এ বোর্ডে এবার ফলাফলে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৮৬.৩১ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ বছর ১ হাজার ৭৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য নেই। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৭.১৬ শতাংশ এবং জিপিএ পেয়েছিল ৮ হাজার ৭৬৪ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১.৯৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ বেড়েছে ১ হাজার ৪৮১ জন। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, গণিতে গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৭৭ শতাংশ এবং এবার পাস করেছে ৮৮.৯৩ শতাংশ। অন্য বিষয়ে ধারাবাহিকতা থাকলেও গণিতে তুলনামূলক পাসের হার কিছুটা কমেছে, তবে এটাকে খারাপ বলা যাবে না।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪৩৪ জন
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে: এসএসসি ২০২০ পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩। এই বোর্ডের অধীনে এবার ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১ লাখ ১২৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৭ হাজার ৪৩৪ জন। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ২৪০ জন মানবিক শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬৭ জন ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪টি জেলার মধ্যে শেরপুর জেলায় পাসের হার সর্বোচ্চ ৮৩.১৭। ময়মনসিংহ জেলা ৮০.০৫। নেত্রকোনা জেলায় ৭৯.৭৪। ও সর্বনিম্ন পাসের হার জামালপুর জেলা ৭৮.৯৯। জিপিএ-৫ পাওয়া ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ২৩ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে: এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ দশমিক ২১ ভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। সংখ্যায় ২৩ হাজারের ও বেশি। গাণিতিক নিয়মে মোট পরীক্ষার্থীর এক-পঞ্চমাংশ ফেল। মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের চেয়ে ২৯৬টি বেশি। গতকাল সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবারের এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণমাধ্যমে পাঠানো বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন স্বাক্ষরিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৬ হাজার ৪৬৭ জন এবং ছাত্রী ৫৬ হাজার ৮২৭ জন। পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৪৩ হাজার ৩৫ জন ও মেয়ে ৪৬ হাজার ৫৮১ জন। মোট ফেল করেছে ২৩ হাজার ৬৭৯ জন। এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে পাস ও জিপিএ’র হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৬ হাজার ৪৬৭ জন এবং ছাত্রী ৫৬ হাজার ৮২৭ জন। পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৪৩ হাজার ৩৫ জন ও মেয়ে ৪৬ হাজার ৫৮১ জন। প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে পাস ও জিপিএ’র হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে।
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে
রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে: এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও সন্তোষজনক বলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এবার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ৫০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৭ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১১ জন। দু’জন পরীক্ষার্থী অসুস্থতার জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। রংপুর জিলা স্কুলে ২৫০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬০ জন। রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৬ জন পরীক্ষা পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৫ জন। মিলেনিয়াম স্টারস্ স্কুল এন্ড কলেজে ১৩১ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮ জন। পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে ৪শ’ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৯৫ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ জন।
এবারো শীর্ষে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবারও পঞ্চগড় জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে এবার ২৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন। গত বছরের ফলাফলেও জেলার শীর্ষে ছিল এই বিদ্যালয়টি। পরের অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩২ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ১০৬ জন। পাসের হার শতকরা ৮১ দশমিক ০৫ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫৭ জন শিক্ষার্থী। এবার পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পরীক্ষায় ৬ হাজার ৮৪০ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ৬৭৯ জন। পাসের হার শতকরা ৮৩ দশমিক ০৩ ভাগ। পরীক্ষায় ৬ হাজার ৮৬৩ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ৪২৭ জন। ছেলেদের পাসের হার শতকরা ৭৯ দশমিক ০৮ ভাগ।
রাজশাহীতে কমেছে পাসের হার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: এবারের এসএসসি ফলাফলে দেশসেরা রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে আগের চেয়ে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এছাড়া বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ভার্চুয়ালি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনকারি শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে নিজ নিজ ফলাফল জানতে পেরেছেন। প্রকাশিত ফলাফলের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এবার পাসের হার ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৭৪ জন। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৬২১ জন ছাত্রী ও ১২ হজার ৫৪৬ জন ছাত্র রয়েছে। এবছর রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ২৬৫২টি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ছিল ২ লাখ ১ হাজার ২২৯ জন শিক্ষার্থী। বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ২ লাখ ১৮৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ১৪৩ জন। আর ছাত্রী ৯৬ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চলতি বছর বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাস করেছে ৩০৮টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। তবে এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন পাসের হার শূণ্য এমন কোনো স্কুল নেই।