বাংলারজমিন
মুরাদনগরে দুই মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বাবা ও সৎমা আটক
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২৪ মে ২০২০, রবিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পায়ের নুপুর ও মেহেদী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ২ মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘুম করার অভিযোগে পুলিশ বাবা ও সৎ মাকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। উক্ত ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার নবীপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সুমন মিয়া (৪১) নবীপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে ও সুমন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা বেগম (২৬)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে পায়ের নুপুর ও মেহেদী দেওয়ার কথা বলে স্বর্ণা আক্তার (১১) ও ফারিয়া আক্তারকে (৫) ডেকে নেয় তাদের সৎ মা রুনা বেগম (২৫)। ইফতারের পরও তারা বাড়িতে না আসায় তাদের মা সোনিয়া বেগম সতিন রুনা বেগমের বাড়িতে যায়। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তারা অনেক আগেই চলে গেছে। ওই সময় সতিন রুনা বেগমের শরীরের কাপড় ভিজা দেখে সন্দেহ হয়। পরে বিভিন্ন পুকুরে খোঁজা খুঁজির পর রব্বান মিয়ার ডোবায় জুতা জোড়া ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন এলাকাবাসী ওই ডোবাতে নেমে তাদের উদ্ধারপূর্বক মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করে। বিষয়টি সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ঘটনাটি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে নিহতদের বাবা সুমন মিয়া ও সৎ মা রুনা বেগমকে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে।
নিহতদের মা সোনিয়া বেগম বলেন, বিগত ৩ বছর পূর্বে আমার অজান্তে রুনা বেগমকে বিয়ে করে বাতেন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে সুমন মিয়া। তারপর থেকে আমার ও আমার সন্তানদের কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয় না সে। আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে মুরগীর ফার্ম দিয়ে সাংসার চালাই। মেয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে আমার মা ঢাকা নিয়ে স্কুলে ভর্তি করায়। লকডাউনের কারণে স্কুল ছুটি দেওয়ায় মেয়ে দু’টি আমার কাছে চলে আসে। আসার পর থেকেই মেয়ে গুলোর পিছনে লাগে সে। আমি আমার মতো করে থাকলেও আমার সতিন রুনা বেগম আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করছে। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলে শুভ মিয়াকে (১৩) নবীপুর তামিরুল উম্মাহ এতিমখানা ও মাদরাসা থেকে মা পরিচয় দিয়ে আনতে যায় রুনা বেগম। তখন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন দিলে আমি বলি সে আমার সতিন, তার কাছে আমার ছেলেকে দিয়েন না, দিলে মেরে ফেলবে। প্রথম পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার আমার মেয়ে দু’টিকে মেরে ফেলে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জানা যায়, সুমন মিয়ার সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে রুনা বেগমের আরো ৪টি বিবাহ হয়। বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রী দু’জনে মিলে মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। সক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসিও রুনা বেগমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। নিহতদের লাশ ডোবা থেকে তোলার পর তাদের থোতনীর নীচে আঘাতের চিহ্ন থাকায় স্থানীয়দের ধারণা পরিকল্পিত ভাবে মেয়ে দু’জনকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, দুই মেয়ের লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিক সূরতহালে দু’জনেরই থুতনীর নীচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সৎ মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত চলছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে পায়ের নুপুর ও মেহেদী দেওয়ার কথা বলে স্বর্ণা আক্তার (১১) ও ফারিয়া আক্তারকে (৫) ডেকে নেয় তাদের সৎ মা রুনা বেগম (২৫)। ইফতারের পরও তারা বাড়িতে না আসায় তাদের মা সোনিয়া বেগম সতিন রুনা বেগমের বাড়িতে যায়। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তারা অনেক আগেই চলে গেছে। ওই সময় সতিন রুনা বেগমের শরীরের কাপড় ভিজা দেখে সন্দেহ হয়। পরে বিভিন্ন পুকুরে খোঁজা খুঁজির পর রব্বান মিয়ার ডোবায় জুতা জোড়া ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন এলাকাবাসী ওই ডোবাতে নেমে তাদের উদ্ধারপূর্বক মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করে। বিষয়টি সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ঘটনাটি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে নিহতদের বাবা সুমন মিয়া ও সৎ মা রুনা বেগমকে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে।
নিহতদের মা সোনিয়া বেগম বলেন, বিগত ৩ বছর পূর্বে আমার অজান্তে রুনা বেগমকে বিয়ে করে বাতেন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে সুমন মিয়া। তারপর থেকে আমার ও আমার সন্তানদের কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয় না সে। আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে মুরগীর ফার্ম দিয়ে সাংসার চালাই। মেয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে আমার মা ঢাকা নিয়ে স্কুলে ভর্তি করায়। লকডাউনের কারণে স্কুল ছুটি দেওয়ায় মেয়ে দু’টি আমার কাছে চলে আসে। আসার পর থেকেই মেয়ে গুলোর পিছনে লাগে সে। আমি আমার মতো করে থাকলেও আমার সতিন রুনা বেগম আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করছে। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলে শুভ মিয়াকে (১৩) নবীপুর তামিরুল উম্মাহ এতিমখানা ও মাদরাসা থেকে মা পরিচয় দিয়ে আনতে যায় রুনা বেগম। তখন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন দিলে আমি বলি সে আমার সতিন, তার কাছে আমার ছেলেকে দিয়েন না, দিলে মেরে ফেলবে। প্রথম পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার আমার মেয়ে দু’টিকে মেরে ফেলে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জানা যায়, সুমন মিয়ার সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে রুনা বেগমের আরো ৪টি বিবাহ হয়। বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রী দু’জনে মিলে মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। সক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসিও রুনা বেগমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। নিহতদের লাশ ডোবা থেকে তোলার পর তাদের থোতনীর নীচে আঘাতের চিহ্ন থাকায় স্থানীয়দের ধারণা পরিকল্পিত ভাবে মেয়ে দু’জনকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, দুই মেয়ের লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিক সূরতহালে দু’জনেরই থুতনীর নীচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সৎ মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত চলছে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]