বাংলারজমিন
শাশুড়ির জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের কক্ষ আটকে রাখলেন ইউপি সদস্য
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজের শাশুড়ির জন্য সরকারি সাইক্লোন শেল্টারের (আশ্রয় কেন্দ্র) একটি কক্ষ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাইলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন শেল্টারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ রাঙ্গাবালী উপজেলার নবগঠিত মৌডুবী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য।
জানাগেছে, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের কারণে-১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হলে স্থানীয় জনগণ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে যায়। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ভবন খুলে দিলে সেখানে তোশক বিছিয়ে শাশুড়িসহ পরিবারের চার-পাঁচজন সদস্যের জন্য একটি কক্ষ দখল করে নেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে তিনি ওই কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মো.ঈসা ভূইয়া ও মশিউর রহমান নামে দুই যুবক ওই কক্ষটি সবার জন্য খুলে দেন। এতে অভিযুক্ত আবুল কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ঈসা ভূইয়ার ওপর চড়াও হয়। ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় কয়েকজন তার বিরুদ্ধে দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের শুকনা খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো. শফিউদ্দিন জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ভবনটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার অবর্তমানে এ ধরণের অবৈধ দখল অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মৌডুবী ইউনিয়নের প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে ওইখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল কিন্তু তারা কেউ আমাকে জানায়নি। তবে কেন এমন হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জানাগেছে, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের কারণে-১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হলে স্থানীয় জনগণ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে যায়। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ভবন খুলে দিলে সেখানে তোশক বিছিয়ে শাশুড়িসহ পরিবারের চার-পাঁচজন সদস্যের জন্য একটি কক্ষ দখল করে নেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে তিনি ওই কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মো.ঈসা ভূইয়া ও মশিউর রহমান নামে দুই যুবক ওই কক্ষটি সবার জন্য খুলে দেন। এতে অভিযুক্ত আবুল কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ঈসা ভূইয়ার ওপর চড়াও হয়। ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় কয়েকজন তার বিরুদ্ধে দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের শুকনা খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো. শফিউদ্দিন জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ভবনটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার অবর্তমানে এ ধরণের অবৈধ দখল অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মৌডুবী ইউনিয়নের প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে ওইখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল কিন্তু তারা কেউ আমাকে জানায়নি। তবে কেন এমন হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।