বিশ্বজমিন
‘উন্মুক্ত আকাশ চুক্তি’ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মানবজমিন ডেস্ক
২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
উন্মুক্ত আকাশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিটির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ২০০২ সালে এই দুই দেশের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। পরবর্তীতে এতে যোগ দেয় কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ প্রায় ৩৫টি দেশ। এর আওতায়, সদস্য দেশগুলো একে অপরের আকাশে নিরস্ত্র উড়োযান দিয়ে নজরদারি করতে পারে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়া বারবার চুক্তিটির শর্ত লঙ্ঘন করায় এ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানায় তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এ অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তি করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমার মনে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রাশিয়া চুক্তির শর্ত মেনে চলে না। তারা চুক্তির শর্ত না মানা পর্যন্ত আমরা নিজেদের বের করে নিচ্ছি।
এদিকে, চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক। মন্ত্রণালয়টি অভিযোগ করে, ট্রাম্প প্রশাসন সকল ধরণের অস্ত্র চুক্তি ভেঙে ফেলতে কাজ করছে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার গ্রুশকো স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই মৌলিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সকল অজুহাত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। যুক্তরাষ্ট্র যেসব প্রযুক্তিগত সমস্যাকে রাশিয়ার লঙ্ঘন হিসেবে উপস্থাপন করছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলতে থাকার পথে কোনো বাধা নেই।
২০০২ সালে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বচ্ছতা বাড়াতেই স্বাক্ষর হয়েছিল উন্মুক্ত আকাশ চুক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় লোকসান হবে। এর আওতায়, সদস্য দেশগুলো অল্প সময়ে নোটিশে অন্য দেশের কোনো অঞ্চলে বা জায়গায় নিরস্ত্র উড়োযান দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নজরদারি করতে পারে। এর আওতায় সামরিক স্থাপনা ও সেনা মোতায়েন বিষয়ক তথ্যও রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চুক্তিটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া কিছু অঞ্চলে নজরদারির অনুমতি দিচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। কালিনিনগ্রাদ শহরের উপর দিয়ে রাশিয়া সকল ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার পর ওই অভিযোগ আনেন এসপার।
রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোনো চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে দুই দেশের মধ্যকার মধ্যম-পাল্লার পারমাণনিক শক্তি চুক্তি থেকেও বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক ও অপারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়া বারবার চুক্তিটির শর্ত লঙ্ঘন করায় এ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানায় তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এ অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তি করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমার মনে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রাশিয়া চুক্তির শর্ত মেনে চলে না। তারা চুক্তির শর্ত না মানা পর্যন্ত আমরা নিজেদের বের করে নিচ্ছি।
এদিকে, চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক। মন্ত্রণালয়টি অভিযোগ করে, ট্রাম্প প্রশাসন সকল ধরণের অস্ত্র চুক্তি ভেঙে ফেলতে কাজ করছে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার গ্রুশকো স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই মৌলিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সকল অজুহাত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। যুক্তরাষ্ট্র যেসব প্রযুক্তিগত সমস্যাকে রাশিয়ার লঙ্ঘন হিসেবে উপস্থাপন করছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলতে থাকার পথে কোনো বাধা নেই।
২০০২ সালে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বচ্ছতা বাড়াতেই স্বাক্ষর হয়েছিল উন্মুক্ত আকাশ চুক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় লোকসান হবে। এর আওতায়, সদস্য দেশগুলো অল্প সময়ে নোটিশে অন্য দেশের কোনো অঞ্চলে বা জায়গায় নিরস্ত্র উড়োযান দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নজরদারি করতে পারে। এর আওতায় সামরিক স্থাপনা ও সেনা মোতায়েন বিষয়ক তথ্যও রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চুক্তিটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া কিছু অঞ্চলে নজরদারির অনুমতি দিচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। কালিনিনগ্রাদ শহরের উপর দিয়ে রাশিয়া সকল ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার পর ওই অভিযোগ আনেন এসপার।
রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোনো চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে দুই দেশের মধ্যকার মধ্যম-পাল্লার পারমাণনিক শক্তি চুক্তি থেকেও বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক ও অপারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়।