বাংলারজমিন
বাউফলে ৫শ’ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর বাউফলে প্রায় ৫শ’ কাঁচা-আধাপাকা ঘরবড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলার কালাইয়া, নাজিরপুর, বগা ও ধূলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে কয়েক হাজার মানুষের স্থান হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। ভেঙে পড়েছে প্রায় ২ শতাধিক গাছপালা। বিদ্যুতের ১৩টি খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদুৎ সংযোগ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের জন্য কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নি¤œাঞ্চলও চরাঞ্চলসমুহ। ফলে মরিচ, তীল, সূর্য্যমনি ও বোরো ধানসহ ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস বলেন, ঘূনিঝড় আম্পানের তান্ডবে প্রাথমিকভাবে ৪৭৩টি পাকা আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ১৪৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৪৫৫ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শতকারা আশি ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য বুধবার রাত থেকেই বাউফল উপজেলা নিয়ন্ত্রন কক্ষে আবস্থান করেছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন। উপজেলার চরাঞ্চলসহ তেতুঁলিয়া ও লোহালিয়া নদীর কুলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান জ্বলোচ্ছাসে সহ¯্রাধিক পকুরে কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেঁেস গেছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে আসলে তেতুঁলিয়া লোহালিয়া নদী এবং পাশ্ববর্তী খালের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেড়ে যায়। ওইসব এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় আবার কোনো জায়গায় বেড়িবাঁধ থাকলেও ছিড়ে গিয়ে প্রচ- বেগে পানি উঠতে থাকে। এ সময় পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে গিয়ে সমস্ত মাছ পানিতে ভেসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. অহেদুজ্জামান জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন(সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন মহোদয় ও আমি বৃহস্পতিবার সকালে বগা, কনকদিয়া ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। এ সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।