বাংলারজমিন

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ মানুষ, বইছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া

বাগেরহাট প্রতিনিধি

২০ মে ২০২০, বুধবার, ৬:১৬ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেরর প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই  থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বইছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির খবরে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষ গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাগেরহাটের ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে নারী-শিশুসহ ২ লাখ মানুষ ও ২৫ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বাগেরহাটের নদী-খালে দ্রুত গতিতে বাড়ছে জোয়ারের পানি। ইতিমধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আম্ফানে ১০/১৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর ও পানি বৃদ্ধির খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। এ দিকে শরণখোলা উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডার বেড়িবাঁধের সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা ও বগি এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পাড়ের বগী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাই বলেন, বলেশ্বর নদীর পাড়ে আমাদের বসবাস। বন্যার খবর পেয়ে রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছি। সেখানে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করছি। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় মালামালসহ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে। ইতিমধ্যেই ২ লাখ মানুষ ও ২৫ হাজার গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছি। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করছি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ও ১ লাখ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া জনসাধারণের মাঝে মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১৩ মে. টন চাল নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ, গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ৮৪টি মেডিকেল টিম ও ৭টি ফায়ার সার্ভিস টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপি’র মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেবক ও  ৮৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্ট্রোল রুম।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status