বাংলারজমিন
একরাম হত্যার রায় কার্যকর নিয়ে শঙ্কা, ধরা-ছোয়ার বাইরে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি
ফেনী প্রতিনিধি
২০ মে ২০২০, বুধবার, ৫:২০ পূর্বাহ্ন
ফেনীর আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যার ছয় বছর আজ (২০ মে)। ২০১৪ সালের এই দিনে ফেনী শহরের একাডেমী এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে, গুলি করে ও তার ব্যবহৃত পাজারো গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডটি শুধু দেশে নয়, বিশ্ব মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল।
ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদ জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ততকালীন বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুুরী মিনারকে প্রধান আসামী করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দয়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ বিচার কাজ শেষে ২০১৮ সালেল ১৩ মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক রায় ঘোষনা করেছিলো। রায়ে দেশের ইতিহাসে সর্ব্বোচ্য ৩৯ আসামীকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করে বিচারক। রায়ে প্রধান আসামী বিএনপির নেতা মিনার চৌধুরী, যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার, একরামের একান্ত সহযোগী ততকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন পাটোয়ারী ওরফে টুপি বেলালসহ খালাস পায় ১৬ জন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আহাসান কবীর বেঙ্গল জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ততকালীন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ফেনী পৌরসভার ততকালীন কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলুসহ ২২ জন আসামী কারাগারে থাকলেও পলাতক রয়েছে ১৭ আসামী। নিম্ন আদালতে রায় ঘোষনার কয়েক দিন পর উচ্চ আদালতে আপিল করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা।
আইনজীবী আহাসান কবীর বেঙ্গল আরো জানান, রায়ের পর আসামীদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে ঢাকার কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তবে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ততকালীন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির আদেল সহ বেশ কয়েকজন আসামী ফেনী কারাগারে রয়েছে। এসব আসামীরা অন্যান্য আরো কয়েকটি মামালার আসামী হওয়ায় মামলার নিয়মিত হাজিরা দিতে তারা ফেনী কারাগারে রয়েছে। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামী আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু কুমিল্লা জেলা কারাগারে রয়েছে।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত যেসব পলাতক আসামী ধরা-ছোয়ার বাহিরে তারা হল : ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ততকালীন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জিহাদ, ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারির মামাতো ভাই আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন ওরফে আকরাম, শফিকুর রহমান ওরফে ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলে উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু, টিটু।
নিম্ন আদালতে রায় ঘোষনার ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানী না হওয়ায় রায় কার্যকর নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বজনরা। তবে রায়ের পর থেকে নিহতের স্ত্রীসহ পরিবারের তেমন কোন সদস্য গণমাধ্যমের সাথে রায় নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।
নিহত একরামের ভাই মোজাম্মেল হক জানান, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পেলেও পর্দার আড়ালে থেকে গেছে ঘটনার মুল হোতা। তবে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা যেন উচ্চ আদালত থেকে কোন ভাবে রেহাই না পায় সেদিকে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। একই সাথে রায় দ্রুত কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
একরামের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে নিহতের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস ও ঘূণিঝড় আম্পানের কারণে একরামের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কোন কর্মসূচী নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম। তবে এলাকার মসজিদগুলোতে নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদ জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ততকালীন বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুুরী মিনারকে প্রধান আসামী করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দয়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ বিচার কাজ শেষে ২০১৮ সালেল ১৩ মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক রায় ঘোষনা করেছিলো। রায়ে দেশের ইতিহাসে সর্ব্বোচ্য ৩৯ আসামীকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করে বিচারক। রায়ে প্রধান আসামী বিএনপির নেতা মিনার চৌধুরী, যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার, একরামের একান্ত সহযোগী ততকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন পাটোয়ারী ওরফে টুপি বেলালসহ খালাস পায় ১৬ জন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আহাসান কবীর বেঙ্গল জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ততকালীন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ফেনী পৌরসভার ততকালীন কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলুসহ ২২ জন আসামী কারাগারে থাকলেও পলাতক রয়েছে ১৭ আসামী। নিম্ন আদালতে রায় ঘোষনার কয়েক দিন পর উচ্চ আদালতে আপিল করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা।
আইনজীবী আহাসান কবীর বেঙ্গল আরো জানান, রায়ের পর আসামীদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে ঢাকার কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তবে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ততকালীন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির আদেল সহ বেশ কয়েকজন আসামী ফেনী কারাগারে রয়েছে। এসব আসামীরা অন্যান্য আরো কয়েকটি মামালার আসামী হওয়ায় মামলার নিয়মিত হাজিরা দিতে তারা ফেনী কারাগারে রয়েছে। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামী আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু কুমিল্লা জেলা কারাগারে রয়েছে।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত যেসব পলাতক আসামী ধরা-ছোয়ার বাহিরে তারা হল : ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ততকালীন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জিহাদ, ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারির মামাতো ভাই আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন ওরফে আকরাম, শফিকুর রহমান ওরফে ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলে উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু, টিটু।
নিম্ন আদালতে রায় ঘোষনার ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানী না হওয়ায় রায় কার্যকর নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বজনরা। তবে রায়ের পর থেকে নিহতের স্ত্রীসহ পরিবারের তেমন কোন সদস্য গণমাধ্যমের সাথে রায় নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।
নিহত একরামের ভাই মোজাম্মেল হক জানান, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পেলেও পর্দার আড়ালে থেকে গেছে ঘটনার মুল হোতা। তবে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা যেন উচ্চ আদালত থেকে কোন ভাবে রেহাই না পায় সেদিকে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। একই সাথে রায় দ্রুত কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
একরামের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে নিহতের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস ও ঘূণিঝড় আম্পানের কারণে একরামের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কোন কর্মসূচী নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম। তবে এলাকার মসজিদগুলোতে নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।