বিশ্বজমিন
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বিচার, সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদন্ড
মানবজমিন ডেস্ক
২০ মে ২০২০, বুধবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিচারে সিঙ্গাপুরে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। এটাই সিঙ্গাপুরে এ ধরনের বিচারে প্রথম মৃত্যুদন্ড। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ার ৩৭ বছর বয়সী পুনিথান গণেশের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হলেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছে বিলম্বে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০১১ সালে মাদকদ্রব্য হেরোইন হাতবদলের সঙ্গে গণেশের ভূমিকা ছিল। আদালতের নথি বলছে, এ জন্য তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সুপ্রিম কোর্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য দেশে বিধিনিষেধ আরোপ আছে। তাই সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মামলার শুনানি হয়েছে পাবলিক প্রসিকিউটর বনাম পুনিথান গণেশের আইনজীবীর মধ্যে। গণেশের আইনজীবী পিটার ফার্দিনান্দো বলেছেন, তার মক্কেলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুম কলের মাধ্যমে ওই রায় দেয়া হয়েছে। তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বিবেচনা করছেন।
জুম কলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। ফার্দিনান্দো বলেছেন, যেহেতু শুক্রবারের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচারে শুধু বিচারকের রায় ঘোষণা হয়েছে, তাই তিনি এই মাধ্যম ব্যবহারের বিরোধিতা করেন না। কারণ, ওই শুনানিতে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ ছিল না। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মন্তব্য চাওয়া হলে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জুম তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, অবৈধ মাদক দ্রব্যের বিষয়ে শূণ্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করে সিঙ্গাপুর। এ কারণে কয়েক ডজন বিদেশী সহ কয়েক শত মানুষকে গত কয়েক দশকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে তারা। তবে এর সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এর এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, মৃত্যুদ-ের বিধান একটি নিষ্ঠুর ও অমানবিকতা। এই শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে জুম-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার একে আরো নিষ্ঠুর করে তুলেছে। এর আগে নাইজেরিয়াতেও জুম ব্যবহার করে একজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। তারও সমালোচনা করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
জুম কলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। ফার্দিনান্দো বলেছেন, যেহেতু শুক্রবারের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচারে শুধু বিচারকের রায় ঘোষণা হয়েছে, তাই তিনি এই মাধ্যম ব্যবহারের বিরোধিতা করেন না। কারণ, ওই শুনানিতে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ ছিল না। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মন্তব্য চাওয়া হলে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জুম তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, অবৈধ মাদক দ্রব্যের বিষয়ে শূণ্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করে সিঙ্গাপুর। এ কারণে কয়েক ডজন বিদেশী সহ কয়েক শত মানুষকে গত কয়েক দশকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে তারা। তবে এর সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এর এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, মৃত্যুদ-ের বিধান একটি নিষ্ঠুর ও অমানবিকতা। এই শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে জুম-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার একে আরো নিষ্ঠুর করে তুলেছে। এর আগে নাইজেরিয়াতেও জুম ব্যবহার করে একজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। তারও সমালোচনা করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।