প্রথম পাতা
যেভাবে প্রস্তুত চট্টগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০ মে ২০২০, বুধবার, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি স¤পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে শুকনো খাবার। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া অন্যান্য সংস্থাগুলোও নানা প্রস্তুতি নিয়েছে।
এরমধ্যে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রামে ৩টি ও সেন্টমার্টিনে ২টি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম মোতায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সকল জাহাজ নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ায় নৌ-যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙরে ও কর্নফুলী নদীতে মোট ১৬০টি জাহাজ অবস্থান করছে। এরমধ্যে বড় জাহাজ (মার্চেন্ট শিপ) গুলোকে কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় চলাকালে জাহাজ গুলোর ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া লাইটারেজ ও মাছ ধরার ছোট জাহাজ গুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দওে খোলা হয়েছে তিনটি ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এর মধ্যে নৌ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-৭২৬৯১৬। পরিবহন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-২৫১০৮৭৮ এবং বন্দর সচিবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-২৫১০৮৬৯।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এর মধ্যে ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ৫ লাখ মানুষ। এছাড়া দুই হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক এবং এক হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আরো ৩ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল, ৬৮১ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ৫০০টি তাঁবু মজুদ রাখা হয়েছে। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ০৩১-৬১১৫৪৫, ০১৭০০-৭১৬৬৯১ এ যোগাযোগ করা যাবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, জেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১৯৪টি অ্যাম্বুলেন্স ২ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, দেড় লাখ খাবার স্যালাইন ও পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার করোনা আক্রান্ত রোগী এবং লকডাউন করা বাড়ির লোকজনদের নিকটবর্তী আইসোলেশন কেন্দ্রে নেওয়া হবে এবং আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এবার যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে কোভিড-১৯ এর কারণে, তাই আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কে কোন আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে তারও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিজস্ব জনবল ছাড়াও প্রস্তুত রেখেছে স্বেচ্ছাসেবকদের।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত জনসাধারনের মাঝে সচেতনতার জন্য মাইকিং শুরু করেছে। সম্ভাব্য দুর্যোগপরবর্তী সময়ের জন্য শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবাদানের জন্য মেডিকেল টিম ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র প্রস্তুত রেখেছে চসিক।
এছাড়া দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য উপকূলীয় এলাকায় চসিক পরিচালিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বদা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স¤পর্কিত যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চসিকের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান স¤পর্কিত যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক সেবা দিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত সোমবার মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে কন্ট্রোল রুমটি চালু করা হয়েছে। চসিকের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরগুলো হলো: ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯।
এরমধ্যে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রামে ৩টি ও সেন্টমার্টিনে ২টি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম মোতায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সকল জাহাজ নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ায় নৌ-যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙরে ও কর্নফুলী নদীতে মোট ১৬০টি জাহাজ অবস্থান করছে। এরমধ্যে বড় জাহাজ (মার্চেন্ট শিপ) গুলোকে কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় চলাকালে জাহাজ গুলোর ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া লাইটারেজ ও মাছ ধরার ছোট জাহাজ গুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দওে খোলা হয়েছে তিনটি ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এর মধ্যে নৌ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-৭২৬৯১৬। পরিবহন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-২৫১০৮৭৮ এবং বন্দর সচিবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০৩১-২৫১০৮৬৯।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এর মধ্যে ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ৫ লাখ মানুষ। এছাড়া দুই হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক এবং এক হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আরো ৩ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল, ৬৮১ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ৫০০টি তাঁবু মজুদ রাখা হয়েছে। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ০৩১-৬১১৫৪৫, ০১৭০০-৭১৬৬৯১ এ যোগাযোগ করা যাবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, জেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১৯৪টি অ্যাম্বুলেন্স ২ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, দেড় লাখ খাবার স্যালাইন ও পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার করোনা আক্রান্ত রোগী এবং লকডাউন করা বাড়ির লোকজনদের নিকটবর্তী আইসোলেশন কেন্দ্রে নেওয়া হবে এবং আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এবার যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে কোভিড-১৯ এর কারণে, তাই আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কে কোন আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে তারও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিজস্ব জনবল ছাড়াও প্রস্তুত রেখেছে স্বেচ্ছাসেবকদের।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত জনসাধারনের মাঝে সচেতনতার জন্য মাইকিং শুরু করেছে। সম্ভাব্য দুর্যোগপরবর্তী সময়ের জন্য শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবাদানের জন্য মেডিকেল টিম ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র প্রস্তুত রেখেছে চসিক।
এছাড়া দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য উপকূলীয় এলাকায় চসিক পরিচালিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বদা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স¤পর্কিত যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চসিকের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান স¤পর্কিত যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক সেবা দিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত সোমবার মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে কন্ট্রোল রুমটি চালু করা হয়েছে। চসিকের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরগুলো হলো: ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯।