ভারত
পশ্চিমবঙ্গে নাইট কারফিউ চালু করা হচ্ছে না
কলকাতা প্রতিনিধি
১৮ মে ২০২০, সোমবার, ৭:৩০ পূর্বাহ্ন
ভারত সরকার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন ভোর ৭টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চালু করার যে ঘোষণা দিয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানছে না। সোমবার বিকালে নবান্নতে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নাইট কারফিউ মানুষের ভোগান্তিই বাড়াবে। তাছাড়া খুব এমার্জেন্সি ছাড়া কারফিউ ঘোষণা করা যায় না। তাই পশ্চিমবঙ্গে আমরা নাইট কারফিউ ঘোষণা করছি না। এদিন থেকে ভারত জুড়ে চতুর্থ দফায় ৩১শে মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গেও কেন্দ্রীয সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১শে মে পর্যন্ত লকডাউন চালু থাকবে। তবে তিনি বলেছেন, আগের লকডাউনের সঙ্গে এবারের লকডাউনের ফারাক রয়েছে। অবশ্য জনজীবন স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনকে তিনটি (এ, বি, সি) ভাগে ভাগ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'এ' জোন হল সংক্রমিত (এফেক্টেড) এলাকা। 'বি' জোন হল বাফার জোন। 'সি' হল ক্লিন জোন। এছাড়া বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্যে সব ধরনের জমায়েত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে মমতা বলেছেন, খেলাধূলা করা যাবে। বি ও সি জোন এলাকায় ২১শে মে থেকেই খুলবে সব বড়, মাঝারি ও ছোট দোকান। খোলা হবে সেলুন ও পার্লারও। দূরত্ববিধি মেনে হোটেল খোলায় সম্মতি দিলেও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭শে মে থেকে হকার্স মার্কেটও খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি। মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রত্যেক দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেসরকারি বাস চালানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে জেলায় জেলায় এবং আন্তজেলা সরকারি বাস চলবে।
২৭শে মে থেকে দু’জন করে যাত্রী নিয়ে অটো (সিএনজি) চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানিযেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঈদের সময় ঘরে বসেই ঈদ পালনের কথা বলেছেন।
সেই সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৩৫টি ট্রেনে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আরো ১২০টি ট্রেন চাইব। ট্রেনে আসার জন্য শ্রমিকদের টিকিট কাটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারই নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের থেকে টাকা নিচ্ছে, লজ্জা করে না। তিনি বলেছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া তিন লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন।
মমতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গেও কেন্দ্রীয সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১শে মে পর্যন্ত লকডাউন চালু থাকবে। তবে তিনি বলেছেন, আগের লকডাউনের সঙ্গে এবারের লকডাউনের ফারাক রয়েছে। অবশ্য জনজীবন স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনকে তিনটি (এ, বি, সি) ভাগে ভাগ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'এ' জোন হল সংক্রমিত (এফেক্টেড) এলাকা। 'বি' জোন হল বাফার জোন। 'সি' হল ক্লিন জোন। এছাড়া বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্যে সব ধরনের জমায়েত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে মমতা বলেছেন, খেলাধূলা করা যাবে। বি ও সি জোন এলাকায় ২১শে মে থেকেই খুলবে সব বড়, মাঝারি ও ছোট দোকান। খোলা হবে সেলুন ও পার্লারও। দূরত্ববিধি মেনে হোটেল খোলায় সম্মতি দিলেও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭শে মে থেকে হকার্স মার্কেটও খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি। মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রত্যেক দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেসরকারি বাস চালানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে জেলায় জেলায় এবং আন্তজেলা সরকারি বাস চলবে।
২৭শে মে থেকে দু’জন করে যাত্রী নিয়ে অটো (সিএনজি) চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানিযেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঈদের সময় ঘরে বসেই ঈদ পালনের কথা বলেছেন।
সেই সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৩৫টি ট্রেনে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আরো ১২০টি ট্রেন চাইব। ট্রেনে আসার জন্য শ্রমিকদের টিকিট কাটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারই নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের থেকে টাকা নিচ্ছে, লজ্জা করে না। তিনি বলেছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া তিন লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন।