বিশ্বজমিন
সাও পাওলোতে হাসপাতাল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম (ভিডিও)
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ মে ২০২০, সোমবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলো। সেখানকার মেয়র ব্রুনো কোভাস সতর্ক করেছেন যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেখানকার হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে জরুরি বেডের চাহিদা। এই চাহিদা সামাল দেয়া যাচ্ছে না। শহরে সরকারি হাসপাতালগুলোর শতকরা ৯০ ভাগ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীতে ভরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আর কোনো রোগীকে ঠাঁই দেয়া সম্ভব হবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সাও পাওলোতে। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৩০০০ মানুষ। শনিবার করোনা সংক্রমণ ও মৃতের দিক দিয়ে স্পেন ও ইতালিকে অতিক্রম করেছে ব্রাজিল। এর মধ্য দিয়ে বিশে^ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের দিক দিয়ে চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওইদিন রিপোর্ট করেছে যে, ২৪ ঘন্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৩৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ২ লাখ ৪১ হাজার। এর চেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও বৃটেনে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে ওই ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪৮৫ জন। সব মিলিয়ে সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৬,১১৮ জন। মৃতের দিক দিয়ে বিশে^ পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্রাজিল। তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। সেখানে করোনা পরীক্ষায় রয়েছে সঙ্কট। অনেক মানুষের পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে ক্রমবর্ধমান করোনা সঙ্কট যেভাবে মোকাবিলা করছে ব্রাজিল সে জন্য দেশের ভিতরে এবং বাইরে কড়া সমালোচনার শিকার উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো। বিশ^জুড়ে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে তিনি তার প্রতি থোড়াই কেয়ার করেন। সামাজিক দূরত্বের আহ্বান ভঙ্গ করে রোবববার তিনি রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে সমর্থক ও শিশুদের সঙ্গে ফটো তোলার জন্য পোজ দেন।
অন্যদিকে সাও পাওলোর মেয়র হাসপাতালগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে কঠোর লকডাউন দেয়ার বিষয়ে রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ব্রুনো কোভাস। এই রাজ্যের গভর্নরের নিয়ন্ত্রণ আছে পুলিশের ওপর। ফলে যদি লকডাউন দেয়া হয় তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করানোর জন্য গভর্নরের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, সাও পাওলোর জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাতে বলা হচ্ছে, অধিবাসীরা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানছেন না।
প্রায় দু’মাস আগে সাও পাওলোতে কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল, সরকারি স্থাপনা। লোকজনকে বাসার ভিতর থাকতে বলা হয়। কিন্তু যারা এই নিয়ম মানছেন না তাদেরকে বড় কোনো শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। শহরের বিপুল পরিমাণ মানুষ এখনও সপ্তাহান্তে গাড়ি হাঁকিয়ে ছুটে যান সমুদ্র সৈকতে। ওদিকে সাও পাওলোর সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্রে একের পর এক কবর খুঁড়ে রাখতে দেখা গেছে কর্মীদের। পাশাপাশি অসংখ্য কবর খোড়া হচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে, এসব কবর নিশ্চয় করোনা আক্রান্তদের সমাহিত করার জন্য।
অন্যদিকে সাও পাওলোর মেয়র হাসপাতালগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে কঠোর লকডাউন দেয়ার বিষয়ে রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ব্রুনো কোভাস। এই রাজ্যের গভর্নরের নিয়ন্ত্রণ আছে পুলিশের ওপর। ফলে যদি লকডাউন দেয়া হয় তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করানোর জন্য গভর্নরের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, সাও পাওলোর জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাতে বলা হচ্ছে, অধিবাসীরা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানছেন না।
প্রায় দু’মাস আগে সাও পাওলোতে কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল, সরকারি স্থাপনা। লোকজনকে বাসার ভিতর থাকতে বলা হয়। কিন্তু যারা এই নিয়ম মানছেন না তাদেরকে বড় কোনো শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। শহরের বিপুল পরিমাণ মানুষ এখনও সপ্তাহান্তে গাড়ি হাঁকিয়ে ছুটে যান সমুদ্র সৈকতে। ওদিকে সাও পাওলোর সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্রে একের পর এক কবর খুঁড়ে রাখতে দেখা গেছে কর্মীদের। পাশাপাশি অসংখ্য কবর খোড়া হচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে, এসব কবর নিশ্চয় করোনা আক্রান্তদের সমাহিত করার জন্য।