ভারত

লকডাউন লাইব্রেরি: ঘরের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে বই

কলকাতা প্রতিনিধি

২৫ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ১:২২ পূর্বাহ্ন

লকডাউনের একঘেয়েমিতে মানুষ রীতিমত বিরক্ত। এই বিরক্তি দূর করতে বইকেই অস্ত্র করার কথা ভেবেছে মিজোরামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। তারা ঘরে ঘরে বই পৌঁছে দেবার এক অভিনব ব্যবস্থা চালু করেছে মিজেরামে। দু’তিন দিনের মধ্যেই অভুতপূর্ব সাড়া পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা বি লালমালসাওমা। তিনি জানিয়েছেন, আইজলের যে এলাকায় এই উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে তার বাইরের এলাকা থেকেও বই চেয়ে অনুরোধ আসছে। তাই অন্যত্রও এই ব্যবস্থা চালু করার ভাবনা চলছে। সারাদেশের মতো মিজোরামেও চলছে লকডাউন। ভারতে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় মিজোরামে শিক্ষিতের হার ৯০ শতাংশের বেশি। আর মিজোরামে  এলাকায় এলাকায় রয়েছে লাইব্রেরি। কিন্তু লাইব্রেরি থাকলে কি হবে লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লাইব্রেরিতে যাওয়া সহজ নয়। তাই লকডাউন লাইব্রেরি চালু করে ঘরে ঘরে বই পৌঁছে দেয়া শুরু হয়েছে। মিজো ভাষায় এর নাম কাওয়াটকাই লাইব্রেরি। পাঠকের পছন্দ মতো বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা বি লালমালসাওমা জানিয়েছেন, আমরা বুঝেছি যে, মানুষ লকডাউনে ঘরবন্দী থাকতে থাকতে একঘেয়েমির শিকার হচ্ছেন। তাই এই একঘেয়েমি কাটাতে বইয়ের মাধ্যমে বিরক্তি উপশমের চেষ্টা করা হয়েছে। এই লাইব্রেরি কীভাবে কাজ করছে সে সম্পর্কে  তিনি বলেছেন, আমরা এলাকার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বইয়ের ছবি দিচ্ছি। বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে বইগুলিকে। মিজো ভাষাতেও অনেক বই রাখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বই রয়েছে তাদের কাছে।  আগ্রহী পাঠক বইয়ের ছবিতে ক্লিক করে জানালেই আমরা পৌঁছে দিয়ে আসছি। বই পড়ার জন্য ১০ দিন সময় দেয়া হলেও অধিকাংশ পাঠক এই লকডাউনের সময়ে ২ দিনেই বই পড়া শেষ করে নতুন বইয়ের জন্য অনুরোধ পাঠাচ্ছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status