খেলা

আটকে পড়া বিদেশি ফুটবলারদের সময় কাটছে যেভাবে

স্পোর্টস রিপোর্টার

১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীময় নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সারা দুনিয়া কার্যত লকডাউন হয়ে আছে এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। সব খেলাধুলা বন্ধ। বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলও। আর সবার মতো এখন ঘরবন্দি ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়দের রুটিন বদলে গেছে। ফিটনেস ধরে রাখতে ঘরে বসেই নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। এক্ষেত্রে বিদেশিরা আছেন তালিকার শুরুতে। ক্লাব কিংবা নিজেদের ফ্ল্যাটে ‘বন্দি’ জীবন কাটাচ্ছেন তারা। সেখানে বসে ফিটনেস ধরার রাখার পাশাপাশি অনেকে হয়ে উঠছেন পাকা রাঁধুনী।
এবারের প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে ১৩ দলে ২৩ দেশের ৬৪ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলছেন। এদের মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের হার্নান বার্কোস, শেখ রাসেলের ক্রিস্টোফার হার্ড, সাইফের বেইসেঙ্গে আগেই দেশ ছেড়েছেন। পুলিশের যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় সিডনি রিভেরাও ঢাকা ছেড়েছেন। বাকি যারা আছেন, তারা ক্লাব কিংবা নিজেদের বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। অবসর সময়ে তারা রান্নার হাত পরখ করে দেখছেন।
এই যেমন রহমতগঞ্জের দুই ফুটবলার- তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার আখপপোভ আশররোভ ও উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড তুরায়েভ আখোবির ক্লাবের কাছেই একটা ফ্লাটে থাকেন। তাদের রান্নাটা অবশ্য শুধু শখের বসে নয়, নিয়মিতই খাবার তৈরি করেন তারা।
রহমতগঞ্জের ম্যানেজার জামাল সর্দার জানালেন তেমনটাই, ‘বিদেশিরা অনেকেই বাইরে যায় না। ক্লাবের স্টাফরা তাদের খাদ্যসামগ্রী কিনে দিয়ে আসে। তারা নিজেরাই রান্না করে খেতে পছন্দ করে। মুরগী, গরু, আলু, টমেটো- তাদের বেশি পছন্দ।’
আবাহনীর দুই ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা ও হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্ট ক্লাবেই থাকেন। রান্না করে খাওয়াটাই তাদের পছন্দ। এজন্য অবশ্য ক্লাব থেকে সব রকমের সাহায্য পান তারা। জানা গেছে, ভাত তাদের প্রিয় খাবার। তবে ক্লাবের অন্য বিদেশি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেলসন আলভেজ, কিরগিজ মিডফিল্ডার এডগার বার্নহার্ড ও মিশরের আলা নাসের ফ্লাটে থাকেন পরিবারকে নিয়ে।
বসুন্ধরা ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসও শখের বসে রান্না করে থাকেন। এছাড়া বই পড়ে কিংবা ছবি দেখে সময় কাটছে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা এই কোস্টারিকান ফরোয়ার্ডের।
সাইফের খেলোয়াড়রাও নিজেদের বাসায় বন্দি। দলটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিদিন ১৫০০ টাকা বরাদ্দ। আমাদের স্টাফ খাদ্য সামগ্রী কিনে দেয়। বিদেশি খেলোয়াড়েরা নিজেরাই রান্না করতে পছন্দ করেন।’ কার কী ধরনের খাবার পছন্দ, সেটাও জানালেন মাহবুবুর, ‘কলম্বিয়ার দেইনার কর্দোবা পছন্দ করেন মাছ। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। (কিরগিজস্তানের) মুরোলিমজন আখমেদভ ঝাল জাতীয় খাবার খেতে চান না।’ দলের কোচ দ্রাগো মামিচও মাঝেমধ্যে রান্নাঘরে যেতে পছন্দ করেন।
শেখ জামালের খেলোয়াড়দের জন্য আছে আলাদা পাচক। বিষয়টি জানিয়ে দলটির ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল বললেন, ‘আমাদের নিজস্ব পাচক আছে। তারাই সবার জন্য রান্না করে দেয়। বিদেশিরা মাঝেমধ্যে বাইরে থেকে খাবার এনে খায়। আবার মাঝেমধ্যে রান্নাও করে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status