প্রথম পাতা
প্রিন্স চার্লস করোনায় আক্রান্ত
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এবার আক্রান্ত হলেন প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স চার্লস। তিনি বৃটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বৃটিশ রাজ সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার। ৭১ বছর বয়স্ক এই প্রিন্সের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ক্লেয়ারেন্স হাউস। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে তার দেহে করোনা সংক্রমণের কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি এখন সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন।
রানীর সঙ্গে তিনি সর্বশেষ দেখা করেছিলেন ১২ই মার্চ। এরপর তিনি বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন অনেকের সঙ্গে। তার করোনা শনাক্তের পর পরীক্ষা করা হয়েছে তার স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলাকেও। তবে তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। প্রিন্স চার্লস বৃটিশ রানী ও তার ৯৮ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপের বড় ছেলে। গবেষকরা বলছেন, কারো বয়স যদি ৭০ বছরের বেশি হয় তাহলে করোনায় তার ঝুঁকি সব থেকে বেশি।
এদিকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মক্কা, মদিনা ও রিয়াদে কারফিউ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এর অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। একইসঙ্গে অন্য অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদি আরবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর সংক্রমণ থামাতে ইতিমধ্যে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে দেশটি। তবে মক্কা ও মদিনার ক্ষেত্রে এই অবরোধ আরো কঠিন করা হয়েছে। কারফিউ জারির এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকরা এই কারফিউর বাইরে থাকবে। করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এ ছাড়া একইদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন ২০৫ জন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। এরপরই নতুন করে অবরোধ কঠিন করার এ ঘোষণা এলো।
বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের হার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর হার। প্রথমে এটি শুধু চীনের মধ্যে সংক্রমিত হলেও এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে ইতালি ও সেপনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চীনের মৃত্যুর সংখ্যাকে। মঙ্গলবারই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশে পরিণত হয়েছে সেপন। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন ৭৩৮ জন মারা গেছেন। সেখানে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জনে। অপরদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনায় মারা গেছেন ৩২৮৪ জন।
করোনা সব থেকে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে ইতালিতে। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি জর্জরিত দেশ ইতালি। সেখানে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৮২০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার। যে হারে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে শিগগিরই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। ইতালির পরে মৃতের দিক দিয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেপন। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৩ হাজার মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বুধবারে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। সেখানে মারা গেছেন প্রায় ১১০০ জনের বেশি।
ইউরোপের বাইরে বর্তমানে সব থেকে বেশি গুরুতর অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৫৯ জন। এরফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজারে এবং মোট মারা গেছেন ৭১৩ জন। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো। এ জন্য দ্রুত মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পর্যাপ্ত সাড়া না পেয়ে তিনি ফেডারেল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। গভর্নর অ্যানড্রু কুমো সতর্ক করে বলেছেন, সেখানে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ তারচেয়ে অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাছাড়া এই ভয়াবহতা খুব তাড়াতাড়িই দেখা দিতে পারে বলে তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন।
রানীর সঙ্গে তিনি সর্বশেষ দেখা করেছিলেন ১২ই মার্চ। এরপর তিনি বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন অনেকের সঙ্গে। তার করোনা শনাক্তের পর পরীক্ষা করা হয়েছে তার স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলাকেও। তবে তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। প্রিন্স চার্লস বৃটিশ রানী ও তার ৯৮ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপের বড় ছেলে। গবেষকরা বলছেন, কারো বয়স যদি ৭০ বছরের বেশি হয় তাহলে করোনায় তার ঝুঁকি সব থেকে বেশি।
এদিকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মক্কা, মদিনা ও রিয়াদে কারফিউ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এর অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। একইসঙ্গে অন্য অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদি আরবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর সংক্রমণ থামাতে ইতিমধ্যে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে দেশটি। তবে মক্কা ও মদিনার ক্ষেত্রে এই অবরোধ আরো কঠিন করা হয়েছে। কারফিউ জারির এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকরা এই কারফিউর বাইরে থাকবে। করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এ ছাড়া একইদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন ২০৫ জন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। এরপরই নতুন করে অবরোধ কঠিন করার এ ঘোষণা এলো।
বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের হার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর হার। প্রথমে এটি শুধু চীনের মধ্যে সংক্রমিত হলেও এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে ইতালি ও সেপনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চীনের মৃত্যুর সংখ্যাকে। মঙ্গলবারই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশে পরিণত হয়েছে সেপন। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন ৭৩৮ জন মারা গেছেন। সেখানে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জনে। অপরদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনায় মারা গেছেন ৩২৮৪ জন।
করোনা সব থেকে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে ইতালিতে। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি জর্জরিত দেশ ইতালি। সেখানে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৮২০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার। যে হারে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে শিগগিরই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। ইতালির পরে মৃতের দিক দিয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেপন। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৩ হাজার মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বুধবারে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। সেখানে মারা গেছেন প্রায় ১১০০ জনের বেশি।
ইউরোপের বাইরে বর্তমানে সব থেকে বেশি গুরুতর অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৫৯ জন। এরফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজারে এবং মোট মারা গেছেন ৭১৩ জন। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো। এ জন্য দ্রুত মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পর্যাপ্ত সাড়া না পেয়ে তিনি ফেডারেল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। গভর্নর অ্যানড্রু কুমো সতর্ক করে বলেছেন, সেখানে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ তারচেয়ে অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাছাড়া এই ভয়াবহতা খুব তাড়াতাড়িই দেখা দিতে পারে বলে তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন।