বাংলারজমিন
লাগাম আসেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালের বাজারে
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালের বাজার লাগাম ছাড়াই আছে । গতকাল মণ প্রতি ৩/৪শ’ টাকা বেশিতে চাল বিক্রি হয়। শহরের দাতিয়ারা এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া বিআর-২৮ জাতের একমণ চাল কিনেছেন ২১শ’ টাকায়। এর আগের মাসে এই চাল ১৬শ’ টাকায় কিনেছিলেন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ভাই-ভগ্নিপতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালের বাজার। চালের দামের চড়াই-উৎরাই তাদের হাতে। জেলা শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজারের নিয়ন্ত্রণ তারাই করেন। করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এখানকার চালের বাজার যখন চড়া তখন আলোচনায় আসে সহোদর-স্বজনদের নাম। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার খোঁজখবরেও চালের বাজারে আগুন ধরানোর হোতা হিসেবে উঠে আসে তাদের নাম। তারা হচ্ছেন আপন দু-ভাই জালাল উদ্দিন ও জয়নাল, তাদের চাচাতো ভাই সফিউল্লাহ, তার আপন ভগ্নিপতি ইব্রাহিম । এদের সবার বাড়ি শহরতলীর নাটাই গ্রামে। সেখানকার বড় গোষ্ঠীর লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে বাজারে মুখ খোলার সাহস পান না কেউ। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদও জালালের দখলে। ২২শে মার্চ দুপুরে ওই পরিবারের ব্যবসায়ীদের একজন মেসার্স ইব্রাহীম ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহীম মিয়াকে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অবৈধভাবে ২৬৪৭ বস্তা চাল মজুদ করায় শহরতলীর ঘাটুরা ও নাটাই গ্রামে তার দুটি গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়। আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া জানান- মজুদ করে রাখা চালের কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ মিলেছে আনন্দবাজারের এই চাল ব্যবসায়ীরা মওকা বুঝে সিন্ডিকেট করে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। এরপর ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করেন। তাদের বিষয়ে এরআগে ২১শে মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভাতেও অভিযোগ উঠে। সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন আনন্দবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জালাল। চালের মুল্য নিয়ে অভিযোগ উঠলে জালাল উদ্দিন দাঁড়িয়ে বলেন- ‘বাজারে চালের মূল্য বেশি রাখা হচ্ছে না। দাম বেড়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’। তার এবক্তব্যে সরকারি কর্মকর্তারাসহ সকলেই প্রতিবাদ জানান। এসময় অনেকে জানান- চালের বাজার লাগামছাড়া। ১৪শ’ টাকা মনের চাল ১৯শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে। এদিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ৪ ব্যবসায়ী ছাড়াও মেসার্স আবুল খায়ের ট্রেডার্সের আবুল খায়ের, মেসার্স শামীম ট্রেডার্সের মো. শামীম, মেসার্স সুমা ট্রেডার্সের মো. কবির মিয়া, মেসার্স ফরিদ আহম্মদ ট্রেডার্সের ফরিদ মেম্বারের নাম উঠে আসে। এরমধ্যে মেসার্স শফিউল্লাহ ট্রেডার্সের মো. শফিউল্লাহ এবং খায়ের ট্রেডার্সের খায়ের দোকানে ও গোডাউনে আগেই চাল মজুদ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ভাই-ভগ্নিপতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালের বাজার। চালের দামের চড়াই-উৎরাই তাদের হাতে। জেলা শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজারের নিয়ন্ত্রণ তারাই করেন। করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এখানকার চালের বাজার যখন চড়া তখন আলোচনায় আসে সহোদর-স্বজনদের নাম। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার খোঁজখবরেও চালের বাজারে আগুন ধরানোর হোতা হিসেবে উঠে আসে তাদের নাম। তারা হচ্ছেন আপন দু-ভাই জালাল উদ্দিন ও জয়নাল, তাদের চাচাতো ভাই সফিউল্লাহ, তার আপন ভগ্নিপতি ইব্রাহিম । এদের সবার বাড়ি শহরতলীর নাটাই গ্রামে। সেখানকার বড় গোষ্ঠীর লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে বাজারে মুখ খোলার সাহস পান না কেউ। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদও জালালের দখলে। ২২শে মার্চ দুপুরে ওই পরিবারের ব্যবসায়ীদের একজন মেসার্স ইব্রাহীম ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহীম মিয়াকে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অবৈধভাবে ২৬৪৭ বস্তা চাল মজুদ করায় শহরতলীর ঘাটুরা ও নাটাই গ্রামে তার দুটি গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়। আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া জানান- মজুদ করে রাখা চালের কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ মিলেছে আনন্দবাজারের এই চাল ব্যবসায়ীরা মওকা বুঝে সিন্ডিকেট করে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। এরপর ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করেন। তাদের বিষয়ে এরআগে ২১শে মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভাতেও অভিযোগ উঠে। সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন আনন্দবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জালাল। চালের মুল্য নিয়ে অভিযোগ উঠলে জালাল উদ্দিন দাঁড়িয়ে বলেন- ‘বাজারে চালের মূল্য বেশি রাখা হচ্ছে না। দাম বেড়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’। তার এবক্তব্যে সরকারি কর্মকর্তারাসহ সকলেই প্রতিবাদ জানান। এসময় অনেকে জানান- চালের বাজার লাগামছাড়া। ১৪শ’ টাকা মনের চাল ১৯শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে। এদিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ৪ ব্যবসায়ী ছাড়াও মেসার্স আবুল খায়ের ট্রেডার্সের আবুল খায়ের, মেসার্স শামীম ট্রেডার্সের মো. শামীম, মেসার্স সুমা ট্রেডার্সের মো. কবির মিয়া, মেসার্স ফরিদ আহম্মদ ট্রেডার্সের ফরিদ মেম্বারের নাম উঠে আসে। এরমধ্যে মেসার্স শফিউল্লাহ ট্রেডার্সের মো. শফিউল্লাহ এবং খায়ের ট্রেডার্সের খায়ের দোকানে ও গোডাউনে আগেই চাল মজুদ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।