খেলা
লীগ আরো পেছানোর কথা বলছে ক্লাবগুলো
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে বিশ্ববাসীর। এই অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে ৩ জন মারা গেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খেলাধুলা স্থগিত করা হয়েছে। সমস্যায় পড়েছে প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ক্লাবগুলো। লীগের খেলা ৩১শে মার্চ পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্থগিতের সময় কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা কেউ জানে না। বড় ক্লাবগুলো মানিয়ে নিতে পারলেও আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে বাফুফের কাছে খেলা স্থগিতের নির্দিষ্ট সময় চায় ক্লাবগুলো।
প্রিমিয়ার লীগ স্থগিতের নির্ধারিত সময় না থাকায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম। কারণ খেলা না থাকলেও ক্যাম্পের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাফুফে আমাদের বলেছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লীগ স্থগিত। দু’সপ্তাহ স্থগিত থাকায় অনেক ফুটবলার ক্লাবে রয়েছে। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের যে পরিস্থিতি, তাতে স্থগিতাদেশ আরো বাড়তে পারে। সেটা আগেভাগে বললে আমাদের জন্য ভালো হতো। কারণ ক্যাম্পে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খাবারের খরচ দিতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে যা প্রায় ৪০ হাজারে গিয়ে ঠেকে। মাসিক খরচ হয় ৪০ লাখ টাকার মতো। যদি সিদ্ধান্ত আসে লীগ হবে না, তাহলে অন্য বিষয়। আর যদি এক মাস বা দু’মাস বলে তাহলে আরেক কথা। লীগ দু’মাসের জন্য স্থগিত করলে আমরা সেভাবেই ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতাম। করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে রূপ নিয়েছে। তাই বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। কতদিন আর খেলা ছাড়া তাদেরকে রাখা যায়। আমরা আর পারছি না। দেশের এই পরিস্থিতি থাকলে তাদেরকে ছেড়ে দেব। কারণ ক্লাবে ৪০ থেকে ৫০ জন লোকের থাকাটাও ঝুঁকি। তাই বাফুফের উচিত স্থগিতাদেশের সময় নির্ধারণ করা।’ ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান দু’মাসের জন্য স্থগিত চান প্রিমিয়ার লীগ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দু’মাসের জন্য লীগ স্থগিত চাই। শিগগিরই খেলা শুরুর সম্ভাবনা খুবই কম। যদিও আমরা ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু বিদেশিদের বেতন তো দিতে হবে। যদি ফেডারেশন থেকে বলা হতো দু’মাসের জন্য খেলা বন্ধ, তাহলে নিশ্চিন্ত হতাম। ফুটবলারদের অর্থ নিষ্পত্তি করতে পারতাম। বাস্তব প্রেক্ষাপটে লীগ দু’মাস বন্ধ করে দেয়া হোক।’ আমের খানের সঙ্গে সুর মেলালেন উত্তর বারিধারা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমও। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে বসে দিন গুনছি। কবে শেষ হবে বাফুফের স্থগিতাদেশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, খেলা আরও পেছানো হতে পারে। দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। হয়তো ২৭ কিংবা ২৮শে মার্চ ১৩ ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করবে বাফুফে। ওই সভায় আরও দু’তিন মাস খেলা স্থগিত রাখলে আমরা বেঁচে যাই। যদিও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না বাফুফের পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুশের্দী। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি দেখছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সপ্তাহেই আমরা সভায় বসবো। সেখানেই লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’
প্রিমিয়ার লীগ স্থগিতের নির্ধারিত সময় না থাকায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম। কারণ খেলা না থাকলেও ক্যাম্পের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাফুফে আমাদের বলেছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লীগ স্থগিত। দু’সপ্তাহ স্থগিত থাকায় অনেক ফুটবলার ক্লাবে রয়েছে। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের যে পরিস্থিতি, তাতে স্থগিতাদেশ আরো বাড়তে পারে। সেটা আগেভাগে বললে আমাদের জন্য ভালো হতো। কারণ ক্যাম্পে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খাবারের খরচ দিতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে যা প্রায় ৪০ হাজারে গিয়ে ঠেকে। মাসিক খরচ হয় ৪০ লাখ টাকার মতো। যদি সিদ্ধান্ত আসে লীগ হবে না, তাহলে অন্য বিষয়। আর যদি এক মাস বা দু’মাস বলে তাহলে আরেক কথা। লীগ দু’মাসের জন্য স্থগিত করলে আমরা সেভাবেই ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতাম। করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে রূপ নিয়েছে। তাই বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। কতদিন আর খেলা ছাড়া তাদেরকে রাখা যায়। আমরা আর পারছি না। দেশের এই পরিস্থিতি থাকলে তাদেরকে ছেড়ে দেব। কারণ ক্লাবে ৪০ থেকে ৫০ জন লোকের থাকাটাও ঝুঁকি। তাই বাফুফের উচিত স্থগিতাদেশের সময় নির্ধারণ করা।’ ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান দু’মাসের জন্য স্থগিত চান প্রিমিয়ার লীগ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দু’মাসের জন্য লীগ স্থগিত চাই। শিগগিরই খেলা শুরুর সম্ভাবনা খুবই কম। যদিও আমরা ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু বিদেশিদের বেতন তো দিতে হবে। যদি ফেডারেশন থেকে বলা হতো দু’মাসের জন্য খেলা বন্ধ, তাহলে নিশ্চিন্ত হতাম। ফুটবলারদের অর্থ নিষ্পত্তি করতে পারতাম। বাস্তব প্রেক্ষাপটে লীগ দু’মাস বন্ধ করে দেয়া হোক।’ আমের খানের সঙ্গে সুর মেলালেন উত্তর বারিধারা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমও। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে বসে দিন গুনছি। কবে শেষ হবে বাফুফের স্থগিতাদেশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, খেলা আরও পেছানো হতে পারে। দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। হয়তো ২৭ কিংবা ২৮শে মার্চ ১৩ ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করবে বাফুফে। ওই সভায় আরও দু’তিন মাস খেলা স্থগিত রাখলে আমরা বেঁচে যাই। যদিও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না বাফুফের পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুশের্দী। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি দেখছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সপ্তাহেই আমরা সভায় বসবো। সেখানেই লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’