এক্সক্লুসিভ
সাক্ষাৎকারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা
করোনা ভাইরাসে ঝুঁকির মধ্যে শিশুরাও
রুদ্র মিজান
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। শিশুদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে অভিভাবকসহ পরিবারের সদস্যদের সচেতন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান, বতর্মানে বারডেম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
এ বিষয়ে মানবজমিনকে তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যুবদের মধ্যে বেশি থাকে। তুলনামূলকভাবে বয়স্কদের মধ্যে এই ক্ষমতা কম থাকে। শিশুদের মধ্যে এই ক্ষমতা সুন্দরভাবে উন্নতি ঘটেছে যে কারণে তারা করোনা মোকাবিলা করতে পারছে। করোনাক্রান্তদের পরিসংখ্যানে শিশুদের বিষয়টি সেভাবে নেই। তার মানে এই না যে তারা আক্রান্ত হবে না। তারা অব্যশয়ই ঝুঁকির মধ্যে আছে।
প্রতিদিনই অনেক বাচ্চা রোগী ডাক্তারদের কাছে যাচ্ছে জানিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, প্রতিদিন ৬০ ভাগ রোগী জ্বর, হাঁচি. কাশির সমস্যা নিয়ে আসেন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত আছে কি-না, তা বলা মুশকিল। তা পরীক্ষা করার মতো সুযোগ আমাদের নেই। তবে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বেশি থাকে, নাক দিয়ে পানি পড়ে। এই দুটি লক্ষণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এরকম হলে অবশ্যই আইইডিসিআর-এর সহযোগিতা চাইবো।
তিনি অভিভাবদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাচ্চা খাচ্ছে না, ওজন কম, উচ্চতা ঠিক আছে কি-না, এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা না। যদি মনে হয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় ভুগছে না, তাহলে শিশুদের নিয়ে এই সময়ে বাসার বাইরে, হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। বাইরে, জনসমাগমে নিয়ে তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না।
অন্যান্যদের মতোই শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে অন্যান্যদের প্রতি যে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি তা বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও গ্রহণ করবো। অবশ্যই জনসমাগমে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সবাইকে। এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট হলো একজন মানুষের কাছ থেকে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। অর্থাৎ যতো বেশি জনসমাগম হবে তত বেশি ঝুঁকি। বড়দের জন্য যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যেমন মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার রাখা। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও।
পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, সারাদিন মা-বাবা বা বাসার সদস্যরা বাইরে ঘোরাফেরা করেছেন। তিনি যদি বাসায় গিয়ে এই অবস্থায় বাচ্চার সঙ্গে মিশেন তাহলে ওই বাচ্চা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাসায় পৌঁছে প্রথমেই হাত-মুখ পরিস্কার করতে হবে। কাপড় পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন রেখে তা ব্যবহার করা ভালো। করোনা ভাইরাসটি ছোঁয়াছে, তাই বলবো জনসমাগমে যাবেন না। পরিবারের সদস্যরা বাসায় যাওয়ার পরপরই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে শিশুদের সঙ্গে মিশবেন। বাইরে বের হওয়ার সময় সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের আহবান জানান তিনি।
মাস্ক ব্যবহার প্রসঙ্গে ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রভাব আছে। কোনো কোনো ভাইরাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে ভেতরে যেতে পারে। মাস্ক দিয়ে যদি নাক, মুখটা বন্ধ করে রাখি। নাক, মুখ দিয়ে ঢুকার ক্ষেত্রে ভাইরাসটি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে কোন ধরনের মাস্ক কার্যকর তা বলা মুশকিল। এ নিয়ে এ দেশে কোনে গবেষণা হয়নি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মানবজমিনকে তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যুবদের মধ্যে বেশি থাকে। তুলনামূলকভাবে বয়স্কদের মধ্যে এই ক্ষমতা কম থাকে। শিশুদের মধ্যে এই ক্ষমতা সুন্দরভাবে উন্নতি ঘটেছে যে কারণে তারা করোনা মোকাবিলা করতে পারছে। করোনাক্রান্তদের পরিসংখ্যানে শিশুদের বিষয়টি সেভাবে নেই। তার মানে এই না যে তারা আক্রান্ত হবে না। তারা অব্যশয়ই ঝুঁকির মধ্যে আছে।
প্রতিদিনই অনেক বাচ্চা রোগী ডাক্তারদের কাছে যাচ্ছে জানিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, প্রতিদিন ৬০ ভাগ রোগী জ্বর, হাঁচি. কাশির সমস্যা নিয়ে আসেন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত আছে কি-না, তা বলা মুশকিল। তা পরীক্ষা করার মতো সুযোগ আমাদের নেই। তবে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বেশি থাকে, নাক দিয়ে পানি পড়ে। এই দুটি লক্ষণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এরকম হলে অবশ্যই আইইডিসিআর-এর সহযোগিতা চাইবো।
তিনি অভিভাবদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাচ্চা খাচ্ছে না, ওজন কম, উচ্চতা ঠিক আছে কি-না, এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা না। যদি মনে হয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় ভুগছে না, তাহলে শিশুদের নিয়ে এই সময়ে বাসার বাইরে, হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। বাইরে, জনসমাগমে নিয়ে তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না।
অন্যান্যদের মতোই শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে অন্যান্যদের প্রতি যে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি তা বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও গ্রহণ করবো। অবশ্যই জনসমাগমে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সবাইকে। এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট হলো একজন মানুষের কাছ থেকে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। অর্থাৎ যতো বেশি জনসমাগম হবে তত বেশি ঝুঁকি। বড়দের জন্য যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যেমন মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার রাখা। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও।
পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, সারাদিন মা-বাবা বা বাসার সদস্যরা বাইরে ঘোরাফেরা করেছেন। তিনি যদি বাসায় গিয়ে এই অবস্থায় বাচ্চার সঙ্গে মিশেন তাহলে ওই বাচ্চা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাসায় পৌঁছে প্রথমেই হাত-মুখ পরিস্কার করতে হবে। কাপড় পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন রেখে তা ব্যবহার করা ভালো। করোনা ভাইরাসটি ছোঁয়াছে, তাই বলবো জনসমাগমে যাবেন না। পরিবারের সদস্যরা বাসায় যাওয়ার পরপরই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে শিশুদের সঙ্গে মিশবেন। বাইরে বের হওয়ার সময় সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের আহবান জানান তিনি।
মাস্ক ব্যবহার প্রসঙ্গে ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রভাব আছে। কোনো কোনো ভাইরাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে ভেতরে যেতে পারে। মাস্ক দিয়ে যদি নাক, মুখটা বন্ধ করে রাখি। নাক, মুখ দিয়ে ঢুকার ক্ষেত্রে ভাইরাসটি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে কোন ধরনের মাস্ক কার্যকর তা বলা মুশকিল। এ নিয়ে এ দেশে কোনে গবেষণা হয়নি বলে জানান তিনি।