এক্সক্লুসিভ
বিধ্বস্ত ইতালিতে দুই মিনিটে ১ জনের মৃত্যু
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:২৯ পূর্বাহ্ন
ইতালির অবস্থায় গা শিউরে উঠবে যে কারো। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যেন এই দেশটিকে এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। যেখানে সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। তারই একটি বাস্তব চিত্র ধরা পড়েছে রাজধানী রোমের রাস্তায়। সেখানে মুখে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি অকস্মাৎ রাস্তায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে গেলেন। তাকে ধরার মতো কেউ নেই। বেঁচে আছেন, না মরে গেছেন কারো মালুম নেই। অবশেষে মেডিকেল বিভাগের স্টাফরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করলেন। তাকে স্ট্রেচারে তুলে একটি এম্বুলেন্সের পেছনে নেয়া হলো। তারপর তা ছুটলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। ওই ব্যক্তির ছবিসহ একটি সচিত্র প্রতিবেদনে এ কথা লিখেছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫১ জন। সব মিলে সেখানে মারা গেছেন ৫৪৭৬ জন। সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। সপ্তাহান্তে সেখানে মারা গেছেন ১৪৪৪ জন মানুষ। এর ফলে প্রতি দুই মিনিটে একজন করে রোগী মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ইতালিকে কীভাবে গ্রাস করেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে রাস্তায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির বিধ্বস্ত দেহ। এ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকে। ফলে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা বৃটেনকে। বলেছেন, একই রকম দৃশ্য হতে পারে বৃটেনে দু’সপ্তাহের মধ্যে। এখন বৃটেনে মৃতের সংখ্যা ২৩৩। পক্ষকাল আগে ইতালিতে ঠিক এমন সংখ্যায় ছিল মৃতের সংখ্যা। ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হওয়ায় সেখানে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্টেকে জানিয়ে দিয়েছেন তার সেনাবাহিনীর ভাইরাস বিষয়ক ১০০ বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল স্টাফ নিয়ে সেনাবাহিনীর ৯টি বিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন যাচ্ছে রোমে। পাশাপাশি কমিউনিস্ট কিউবা একইভাবে সেনাবাহিনীর চিকিৎসকদের ৫২ ব্রিগেড ও নার্সদের পাঠিয়েছে রোমে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ফ্রাঁসিস বলাক্স পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতালির মতো ভাগ্য বরণ করতে পারে বৃটেন। এখন পর্যন্ত বৃটেনে যে মহামারির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তা উত্তর ইতালির সঙ্গে মোটামুটিভাবে তুলনীয়। ফলে বৃটেনেও লকডাউন পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
বিপর্যস্ত ইতালিকে বাঁচাতে পাশে চীন
করোনা ভাইরাসের মূল প্রাণকেন্দ্র এখন ইউরোপ। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে মারা গেছেন মোট সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। পুরো দেশ ‘লকডাউন্থ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনার বিস্তার। এরইমধ্যে ইতালির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
গত ১৫ই মার্চ রাতে চীনা চিকিৎসকদের নয় সদস্যের প্রথম দল ইতালির রোমে পৌঁছায়। সঙ্গে নিয়ে যায় কয়েক টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। এরপর ১৮ই মার্চ চীনের ১২ সদস্যের আরেকটি চিকিৎসক দল ১৭ টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীসহ ইতালির আরেক শহর মিলানে পৌঁছায়। ইতালির আগে চীন ইরান ও ইরাকে চিকিৎসক দল এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি । ইতালি ও চীনের পর ইরানে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জন হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী ইরানে দুই হাজার জন মারা গেছেন।
এদিকে চীনের ‘জ্যাক মা ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আলিবাবা ফাউন্ডেশন’ থেকে ইতালির রেডক্রসকে মাস্ক, কিটস এবং ভাইরাস প্রতিরোধে নানা জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে সেগুলো রোমে পৌঁছায়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ইতালিকে কীভাবে গ্রাস করেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে রাস্তায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির বিধ্বস্ত দেহ। এ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকে। ফলে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা বৃটেনকে। বলেছেন, একই রকম দৃশ্য হতে পারে বৃটেনে দু’সপ্তাহের মধ্যে। এখন বৃটেনে মৃতের সংখ্যা ২৩৩। পক্ষকাল আগে ইতালিতে ঠিক এমন সংখ্যায় ছিল মৃতের সংখ্যা। ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হওয়ায় সেখানে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্টেকে জানিয়ে দিয়েছেন তার সেনাবাহিনীর ভাইরাস বিষয়ক ১০০ বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল স্টাফ নিয়ে সেনাবাহিনীর ৯টি বিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন যাচ্ছে রোমে। পাশাপাশি কমিউনিস্ট কিউবা একইভাবে সেনাবাহিনীর চিকিৎসকদের ৫২ ব্রিগেড ও নার্সদের পাঠিয়েছে রোমে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ফ্রাঁসিস বলাক্স পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতালির মতো ভাগ্য বরণ করতে পারে বৃটেন। এখন পর্যন্ত বৃটেনে যে মহামারির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তা উত্তর ইতালির সঙ্গে মোটামুটিভাবে তুলনীয়। ফলে বৃটেনেও লকডাউন পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
বিপর্যস্ত ইতালিকে বাঁচাতে পাশে চীন
করোনা ভাইরাসের মূল প্রাণকেন্দ্র এখন ইউরোপ। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে মারা গেছেন মোট সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। পুরো দেশ ‘লকডাউন্থ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনার বিস্তার। এরইমধ্যে ইতালির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
গত ১৫ই মার্চ রাতে চীনা চিকিৎসকদের নয় সদস্যের প্রথম দল ইতালির রোমে পৌঁছায়। সঙ্গে নিয়ে যায় কয়েক টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। এরপর ১৮ই মার্চ চীনের ১২ সদস্যের আরেকটি চিকিৎসক দল ১৭ টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীসহ ইতালির আরেক শহর মিলানে পৌঁছায়। ইতালির আগে চীন ইরান ও ইরাকে চিকিৎসক দল এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি । ইতালি ও চীনের পর ইরানে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জন হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী ইরানে দুই হাজার জন মারা গেছেন।
এদিকে চীনের ‘জ্যাক মা ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আলিবাবা ফাউন্ডেশন’ থেকে ইতালির রেডক্রসকে মাস্ক, কিটস এবং ভাইরাস প্রতিরোধে নানা জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে সেগুলো রোমে পৌঁছায়।