এক্সক্লুসিভ

গণপরিবহন কতটা সুরক্ষিত?

স্টাফ রিপোর্টার

২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সর্বত্র। এই আতঙ্ক নিয়ে ঘরের বাইরে বের হতে হয় অনেককেই। আবার তাদের অধিকাংশই যাতায়াত করেন গণপরিবহনে। এসব পরিবহনে যাতায়াত করা অধিকাংশই ভীতি নিয়ে চলাচল করছেন।এখন প্রশ্ন কতোটা নিরাপদ এসব গণপরিবহন?
মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে কাবু গোটা বিশ্ব। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন। চারদিকে আতঙ্ক। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের আঁচ এসে লেগেছে। ইতিমধ্যে মুত্যুবরণ করেছেন ২ জন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
গতকাল সরজমিন দেখা যায়, রাজধানীর গণপরিবহন গুলোতে নেই করোনা প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা। পরিবহনের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক কম। কম যাত্রীর সংখ্যাও। অফিস সময়ে বাসগুলোতে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় দেখা যায়। বাসে উঠতে একজন আরেকজনের গায়ের উপর ভর করে উঠছেন। যাত্রীদের অনেকের মুখেই নেই সুরক্ষা মাস্ক। কয়েকজনকে দেখা গেছে বাসে বসেই বাদাম ও শসা খেতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব অরক্ষিত গণপরিবহনের কারণে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
ফার্মগেটে ভিআইপি পরিবহনের চালক মো. মিজান বলেন, বাসে সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো জীবাণুনাশক। মালিকপক্ষ বাসে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে চায় না। আমরা গরীব মানুষ, তাই পেট চালাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। তানজিল পরিবহনের একজন সহকারি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাসে একজন করোনা রোগী উঠলে তো সবাই শেষ। এমনিতে সারাদিন ধুলা-ময়লার মধ্যে থাকি। তার ওপর করোনা। মালিকদেরকে আমার বলছি, একটা দিন বাস বন্ধ রেখে ভালো করে পরিষ্কার করতে। তারা আমাদের কথা শুনে না।
যাত্রাবাড়িগামী যাত্রী মো. সুলায়মান বলেন, ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসের মধ্যেও অফিস ছুটি হয়নি। গণপরিবহনে উঠলে বিপদ আছে জেনেও এক প্রকার বাধ্য হচ্ছি। কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা বোঝার কোন বুদ্ধি নেই। বাসের অনেক যাত্রীর হাঁচি-কাশি থাকে। বিদেশ ফেরতও থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, বাস মালিকরা একটু সচেতন হয়ে কম যাত্রী ও বাসে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।
মহাখালী বাসস্টাণ্ড সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কালাম মানবজমিনকে বলেন, করোনা নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। রাজধানীতে অনেকে সেটাই করছে। আমারা সচেতনামূলক কাজ করছি। দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকেই মহাখালী বাসস্টান্ডে আমার হাত ধোয়ার, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করছি। বাস সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি বাসকে একদিন পর পর ক্লিন করার ব্যবস্থা করেছি। দুরপাল্লার বাসের সিটে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। হাত পরিষ্কার করিয়ে যাত্রীদের পরিবহনে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status