শিক্ষাঙ্গন

মারধরকারীকে দিয়েই কুবিতে শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠনের অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি

১০ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে দলের দুই নেতাকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা। আবার মারধর করা এক নেতাকে তদন্তকারী কমিটিতে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে।  ফলে তদন্ত কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মারধরের পর ভুক্তভোগীদের হল থেকে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগ।

রোববার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য  গেল রোববার হাসান বিদ্যুৎ, মোঃবায়েজিদ ইসলাম গল্প ও আবু সাদাত মোঃ সায়েমকে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মারধরের অংশগ্রহণ করা বায়োজিদ ইসলাম গল্পকে সেখানে রাখা হয়।

মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসাইন মাহী এবং একই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিন শুভ।

মারধরের বিষয়ে মোঃবায়েজিদ ইসলাম গল্প বলেন, 'বুড়ো বয়সে মারধরের প্রশ্নও আসেনা। আমি কাউকে মারিনি।'

জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই এলাহীর ফোন পেয়ে তাঁর ভাইকে দেখতে বরুড়ায় বাড়িতে যান মমিন। এসময় মাহীসহ ৫-৬ জন নেতা-কর্মী সেখানে যান। গিয়ে দেখেন, রেজার ভাইয়ের সাথে এলাকায় একটি ঝামেলা চলছিলো। তবে ঝামেলার কথা শুনে চলে আসেন তাঁরা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাত নয়টার দিকে এ দুই নেতাকে জিমনেশিয়ামে ডাকেন শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ অন্য নেতারা। সেখানে গেলে সভাপতি ও সম্পাদকের সামনেই এ দুই নেতাকে এলোপাথাড়ি চড়, লাত্থি, ঘুষি দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ বায়োজিদ ইসলাম গল্প, নজরুল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আশিক আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত, যুগ্ম সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা মাসুম, ফিন্যান্স বিভাগের সালমান চৌধুরী, দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের সিফাতসহ হল শাখার অন্তত ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী। যাদের অনেকেই মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের জুনিয়র ছিলেন। এসময় জিমনেশিয়ামের যন্ত্র দিয়েও তাদের শরীরে আঘাত করে।  মারধরের পরে এ দুই নেতাকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন,' বায়েজিদ ইসলাম গল্প ঘটনার শেষের দিকে ছিল তবে মারধরের অংশগ্রহণ করেনি। মাহি আরও মমিন রেজার এলাকায় গিয়ে বাড়ি ঘর কোপাইসে। সংগঠনের অনুমতি ব্যাতীত তাঁরা এলাকায় মারামারি করছে। ঐ এলাকার মানুষ আমাদের বলেছে। বিষয়টি নিয়ে পোলাপাইন ক্ষুব্ধ ছিল।। পোলাপাইন যদি রাতে আবার হলে মারধর না করে এজন্য তাদেরকে আপাতত হলে না থাকার জন্য বলেছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status