শিক্ষাঙ্গন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
কম্পাস ও রশি দিয়ে ছাত্রীর ওপর হামলা
ববি প্রতিনিধি
৫ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:২৬ পূর্বাহ্ন
পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গনিত বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত মুখোশধারী যুবকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৪ঠা মার্চ) সকালে জান্নাতুল নওরিন উর্মি নামে আহত ওই ছাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১লা মার্চ) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝামাঝি সিড়িতে তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত শিক্ষার্থীর মা আফরোজা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, ১লা মার্চ বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে পরীক্ষা শেষে একাডেমিক ভবনের পাঁচতলা থেকে নীচে নামার সময় মুখোশধারী কতিপয় যুবক নওরিনের পথরোধ করে। পরবর্তীতে নওরিনের মুখে কাপড় গুজে দেয় এবং মারধর করে। এসময় তারা জ্যামিতিক কম্পাস দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে এবং রশি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে সে সেখান থেকে কোনভাবে বাসায় চলে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হলে বুধবার ৪ঠা মার্চ সকালে নওরিনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে শিক্ষার্থীর বড় বোন ফাতেমা-তুজ জোহরা মিতু বলেন, এর আগেও অনেক অনাকাক্ষ্মিত ঘটনা ঘটেছে। আমাদেরকে ফোন দিয়ে অনেক হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এরপর আমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিয়ে বাধ্য করা হয়।
অন্যদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসের আয়তন ছোট হওয়ায় এবং ভিক্টিম যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে অন্তত টের পাওয়ার কথা। তাছাড়া মুখোশ পড়ে এ ধরণের ঘটনা ঐ সময়ে ঘটিয়ে কোনোভাবেই ছাড় পাওয়ার কথা না। তাদের দাবি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখে স্বচ্ছ করা হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে গনিত বিভাগের প্রধান হেনা রানী বিশ্বাস জানান, বিষয়টি মৌখিক কিংবা লিখিত কোন ভাবেই এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এছাড়া এরকম কোন ঘটনা ঘটলে কারো না কারো দেখা বা জানার কথা, কিন্তু কেউই কিছু বলেনি। প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, এরকম কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। আমাদের কাছে কিছু সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী বিষয়টি জানিয়েছ। কিন্তু কোন ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ই অক্টোবর নওরিনকে ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিলো, যে ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান মৃধা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
যে ঘটনায় নানানভাবে হয়রানি হওয়ার পরে নতুন করে অভিযোগ দিতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (৪ঠা মার্চ) সকালে জান্নাতুল নওরিন উর্মি নামে আহত ওই ছাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১লা মার্চ) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝামাঝি সিড়িতে তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত শিক্ষার্থীর মা আফরোজা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, ১লা মার্চ বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে পরীক্ষা শেষে একাডেমিক ভবনের পাঁচতলা থেকে নীচে নামার সময় মুখোশধারী কতিপয় যুবক নওরিনের পথরোধ করে। পরবর্তীতে নওরিনের মুখে কাপড় গুজে দেয় এবং মারধর করে। এসময় তারা জ্যামিতিক কম্পাস দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে এবং রশি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে সে সেখান থেকে কোনভাবে বাসায় চলে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হলে বুধবার ৪ঠা মার্চ সকালে নওরিনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে শিক্ষার্থীর বড় বোন ফাতেমা-তুজ জোহরা মিতু বলেন, এর আগেও অনেক অনাকাক্ষ্মিত ঘটনা ঘটেছে। আমাদেরকে ফোন দিয়ে অনেক হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এরপর আমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিয়ে বাধ্য করা হয়।
অন্যদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসের আয়তন ছোট হওয়ায় এবং ভিক্টিম যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে অন্তত টের পাওয়ার কথা। তাছাড়া মুখোশ পড়ে এ ধরণের ঘটনা ঐ সময়ে ঘটিয়ে কোনোভাবেই ছাড় পাওয়ার কথা না। তাদের দাবি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখে স্বচ্ছ করা হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে গনিত বিভাগের প্রধান হেনা রানী বিশ্বাস জানান, বিষয়টি মৌখিক কিংবা লিখিত কোন ভাবেই এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এছাড়া এরকম কোন ঘটনা ঘটলে কারো না কারো দেখা বা জানার কথা, কিন্তু কেউই কিছু বলেনি। প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, এরকম কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। আমাদের কাছে কিছু সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী বিষয়টি জানিয়েছ। কিন্তু কোন ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ই অক্টোবর নওরিনকে ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিলো, যে ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান মৃধা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
যে ঘটনায় নানানভাবে হয়রানি হওয়ার পরে নতুন করে অভিযোগ দিতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।