খেলা
আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশ দলের ‘দুষ্টু ও পরোপকারী’ একজন
স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
মাত্র দুই বছর বয়সে ক্রিকেটের হাতে-খড়ি নিগার সুলতানা জ্যোতির। ভাইদের উৎসাহেই এসেছেন পেশাদার ক্রিকেটে। আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এসব জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আর ভিডিও সাক্ষাৎকারে জ্যোতির মূল্যায়ন করেছেন সতীর্থ দুই খেলোয়াড় জাহানারা আলম এবং রোমানা আহমেদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ম্যাচ পূর্ণ হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৯ রান করেন জ্যোতি। আইসিসিকে দেয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে জ্যোতি বলেছেন, ‘আসলে যেহেতু আমি উইকেটরক্ষক, তাই মাঠ ও মাঠের বাইরে আমি বেশ দুষ্টু। কেননা (উইকেটরক্ষক হিসেবে) পুরোটা সময় মেয়েদের উজ্জীবিত রাখার দায়িত্বটা তো আমারই। আর মানুষ হিসেবে বলতে পারেন, আমি খুবই উপকারী একজন মানুষ। যে কারো যেকোনো দরকারে আমার কাছে আসলে, সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করি।’
নিজের ক্রিকেট জীবন শুরুর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি যখন আমার বয়স ২। আমি আমার ভাইদের সঙ্গে খেলতাম। আমার ভাই আমাকে সবসময় বলতো যে, তোমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হবে। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করো। এভাবেই আমার ক্রিকেটে আসা, এখন ক্রিকেটই আমার ধ্যানজ্ঞান।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বাধিক ৫৪ রান সংগ্রহ নিগার সুলতানা জ্যোতির। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন নিগার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও তার। নেপালে সাউথ এশিয়ান গেমসে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৬৪ বলে হার না মানা ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন জ্যোতি। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন ফারজানা হকও (১১০)। ভিডিও সাক্ষাতকারে জ্যোতি বলেন, ‘এটা আমার তৃতীয় বিশ্বকাপ। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখতাম যে একদিন আমি আমার দেশের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে নামবো। সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এ দিনটার জন্য আমি অনেক অপেক্ষা করেছি।’
২০১৮তে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে শক্তিধর ভারতকে হারিয়ে শিরোপা কুড়ায় বাংলাদেশ। সে দলের গর্বিত সদস্য জ্যোতিও। এশিয়া কাপ শিরোপা জয়ে বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেটেও জাগরণ এসেছে বলে মনে করেন জ্যোতি। নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা যখন এশিয়া কাপ জিতলাম, এরপর থেকে সবকিছু বদলে গিয়েছে। এখন মেয়েরাও ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিতে শুরু করেছে। তাই আমরা যদি এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে দেশে মেয়েদের ক্রিকেটে এর দারুণ প্রভাব পড়বে।’
ভিডিওতে জ্যোতির ব্যাপারে নিজেদের মূল্যায়ন জানান জাহানারা এবং রোমানা। পেস তারকা জাহানারা বলেন, ‘আমাদের দলে এমন ২-৩ জন খেলোয়াড় আছে যারা সবসময় পরিবেশটাকে হাসি-খুশি রাখতে পারে। এদের মধ্যে জ্যোতি অন্যতম। সে যেকোনো সময় যে কাউকে খুশি করে ফেলতে পারে। খেলোয়াড় হিসেবেও দারুণ। ভবিষ্যতে বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জ্যোতির মধ্যে।’ আর অলরাউন্ডার রোমানা বলেন, ‘জ্যোতি খুবই বন্ধুবৎসল একজন মানুষ। আসলে সে পুরোপুরি পাগলাটে। সবসময় আমাদের সঙ্গে মজা করে, হাসিখুশি থাকে। সবাইকে অনুপ্রাণিত করার গুণ রয়েছে ওর মাঝে।’
নিজের ক্রিকেট জীবন শুরুর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি যখন আমার বয়স ২। আমি আমার ভাইদের সঙ্গে খেলতাম। আমার ভাই আমাকে সবসময় বলতো যে, তোমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হবে। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করো। এভাবেই আমার ক্রিকেটে আসা, এখন ক্রিকেটই আমার ধ্যানজ্ঞান।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বাধিক ৫৪ রান সংগ্রহ নিগার সুলতানা জ্যোতির। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন নিগার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও তার। নেপালে সাউথ এশিয়ান গেমসে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৬৪ বলে হার না মানা ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন জ্যোতি। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন ফারজানা হকও (১১০)। ভিডিও সাক্ষাতকারে জ্যোতি বলেন, ‘এটা আমার তৃতীয় বিশ্বকাপ। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখতাম যে একদিন আমি আমার দেশের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে নামবো। সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এ দিনটার জন্য আমি অনেক অপেক্ষা করেছি।’
২০১৮তে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে শক্তিধর ভারতকে হারিয়ে শিরোপা কুড়ায় বাংলাদেশ। সে দলের গর্বিত সদস্য জ্যোতিও। এশিয়া কাপ শিরোপা জয়ে বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেটেও জাগরণ এসেছে বলে মনে করেন জ্যোতি। নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা যখন এশিয়া কাপ জিতলাম, এরপর থেকে সবকিছু বদলে গিয়েছে। এখন মেয়েরাও ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিতে শুরু করেছে। তাই আমরা যদি এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে দেশে মেয়েদের ক্রিকেটে এর দারুণ প্রভাব পড়বে।’
ভিডিওতে জ্যোতির ব্যাপারে নিজেদের মূল্যায়ন জানান জাহানারা এবং রোমানা। পেস তারকা জাহানারা বলেন, ‘আমাদের দলে এমন ২-৩ জন খেলোয়াড় আছে যারা সবসময় পরিবেশটাকে হাসি-খুশি রাখতে পারে। এদের মধ্যে জ্যোতি অন্যতম। সে যেকোনো সময় যে কাউকে খুশি করে ফেলতে পারে। খেলোয়াড় হিসেবেও দারুণ। ভবিষ্যতে বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জ্যোতির মধ্যে।’ আর অলরাউন্ডার রোমানা বলেন, ‘জ্যোতি খুবই বন্ধুবৎসল একজন মানুষ। আসলে সে পুরোপুরি পাগলাটে। সবসময় আমাদের সঙ্গে মজা করে, হাসিখুশি থাকে। সবাইকে অনুপ্রাণিত করার গুণ রয়েছে ওর মাঝে।’