হার এড়াতে পারেনি জুভেন্টাস

একের পর এক আক্রমণ করে গেল জুভেন্টাস। কিন্তু সেভাবে গোলরক্ষককে চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালারা। দারুণ চেষ্টার পরও হার এড়াতে পারল না ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় তাদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পেল লিঁও। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে লিঁও। ৩১তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস তুজা। আগামী ১৭ মার্চ ফিরতি লেগে জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
চতুর্থ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটি পায় জুভেন্টাস । ডি বক্স থেকে রোনালদোর চমৎকার ক্রসে একটুর জন্য পা ছোঁয়াতে পারেন হুয়ান কুয়াদরাদো। প্রথমার্ধে গোলের জন্য চারটি শট নেয় জুভেন্টাস । এর একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। অন্য দিকে একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া লিঁও গোলের জন্য নেয় ১০ শট। ৩১তম মিনিটে দারুণ ভলিতে জাল খুঁজে নেন তুজা। সিরি’আয় টানা ১১ ম্যাচে গোল করে গাব্রি বাতিস্তুতার রেকর্ড স্পর্শ করা রোনালদো মাঝে মধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন তবে তিনিও পরীক্ষা নিতে পারেনি গোলরক্ষকের। দ্বিতীয়ার্ধে ফরাসি ক্লাবটি নিজেদের অনেকটাই গুটিয়ে নেয়। ৬৮তম মিনিটে সমতা আনার দারুণ একটি সুযোগ এসে যায় দিবালার সামনে। আলেক্স সান্দ্রোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গঞ্জালো হিগুইন পান আরেকটি ভালো সুযোগ। দিবালার দারুণ ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। খুব কাছ থেকে তিনিও শট নেন বাইরে।
৮৭তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিলেন দিবালা। তবে তিনি ছিলেন অফ সাইডে। বাকি সময়ে জাল অক্ষত রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিঁও। ইউরোপের প্রতিযোগিতায় জুভেন্টাসের বিপক্ষে আগের তিনটিতে হেরেছিল তারা। অন্য ম্যাচটি হয়েছিল ড্র। এবার জিতে আশা জাগাল কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার।