শেষের পাতা
অবশেষে স্বস্তির জয়
ইশতিয়াক পারভেজ
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাড়ে তিন দিনে খেলা শেষ। জয় এসেছে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে। এই জয়ের অপর নাম ‘স্বস্তি’। ২০১৮’র নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষবার জিতেছিল বাংলাদেশ। মাঝে দেশে-বিদেশে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে। ৫টিতেই ইনিংস ব্যবধানে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা থেকে ইনিংস ব্যবধানে জয়। যে জয়কে অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ দেখছেন সামনের ম্যাচগুলোতে লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস হিসেবে। তার নেতৃত্বেও প্রথম জয়। সবমিলিয়ে উচ্ছ্বসিত টাইগার অধিনায়ক। গতকাল ম্যাচের পর সংবাদ সম্মলেন মুমিনুল বলেন, ‘যেকোনো জয়ই সামনে এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস দেয় দলকে। সামনে পাকিস্তানে টেস্ট আছে। এই জয় অবশ্যই দলকে উজ্জীবিত করবে।’
সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে করা ২৬৫ রানের জবাবে মুশফিকুর রহীমের ডাবল ও মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে ২৯৫ রানের লিড নিয়েছিল টাইগাররা। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিকেলে জিম্বাবুয়ে হারায় ২ উইকেট। চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্রেইগ আরভিনের দল। এই ইনিংসে অফস্পিনার নাঈম হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ফাইভার নাঈমের। সব মিলয়ে দুই ইনিংসে তার শিকার ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরেক স্পিনার তাইজুলের শিকার ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে ৬টি। তবে ব্যাট হাতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ১৩ ও ১৪তম জয়ের মাঝে ৪৫০ দিন গ্যাপ। তবে দুটি জয়ই এসেছে ইনিংস ব্যবধানে। টাইগারা সব শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারায় ইনিংস ও ১৮৪ রানে। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও এই জয় টাইগারদের অনেক ব্যর্থতা কাটিয়ে ফেরার ইঙ্গিত বলে মনে করেন অধিনায়ক। মিরপুরে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে টেস্টে নিজেদের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে (৫৬০/৪)। ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসাটাকে দেখা হচ্ছে বড় স্বস্তি হিসেবে। পেসাররাও দারুণ বল করেছেন। আবু জায়েদ রাহীর শিকার ৪ উইকেট। ইবাদত উইকেট না পেলেও বল হাতে বেশ কৃপণ ছিলেন। সবমিলিয়ে টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল এই জয়কে ‘টিম বাংলাদেশ’র অবদান মনে করেন।
গতকাল চতুর্থ দিনের সকালে আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও শুরু হয় দুপুর থেকে। কিন্তু তা জিম্বাবুয়েকে রক্ষা করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসের পর বল হাতে টাইগারদের নায়ক নাঈম হাসান। এই অফস্পিনার আগের শেষ বিকেলে ৯ রানে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দিনের প্রথম সাফল্য এসেছে স্পিনেই। কেভিন কাসুজাকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর দলের হাল ধরেছিলেন শক্ত হাতে। কিন্তু নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৭ রানে আউট হয়ে যান। তবে পরের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক আরভিন ও সিকান্দার রাজা। তবে দারুণ খেলতে খেলতে হঠাৎ খেই হারান আরভিন। তাড়াহুড়া করে রান নিতে গিয়ে বাংলাদেশি অধিনায়কের সরাসরি থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়েন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক করেন ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের শেষ ভরসা সিকান্দার রাজা মুশফিকের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরেছেন ৩৭ রান করে। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই তামিম ইকবালের ক্যাচে ফেরেন রেজিস চাকাভা (১৮)। প্রতিরোধ গড়া মারুমাকে (৪১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে নাঈম তুলে নেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তাইজুল। তুলে নিয়েছে নিজের চতুর্থ উইকেট।
অধিনায়ক মুমিনুল নাঈমের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও তার আরো উন্নতির জায়গা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করবো, আপনারা এই অনুরোধ রাখলে ভালো হবে। নাঈম মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছে, এখনও অনেক বাকি আছে। সে অনেক ভালো বোলিং করেছে, মাশা আল্লাহ। আশা করি আরো ভালো করবে। এটা নিয়ে আমি খুব বেশি বলতে চাই না, মানে আউটস্ট্যান্ডিং টাইপ কিছু বলতে চাই না। ওর অনেক কিছু করার বাকি আছে। ধীর ধীরে সে উন্নতি করবে, আরো করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে বোঝা যায় না। আমার কাছে মনে হয় ওকে আরো উন্নতি করতে হবে।’
অন্যদিকে, এ হারকে হাতাশার মনে করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন তিনি। আরভিন বলেন, আমার মনে হয় ভুলটা প্রথম ইনিংসেই করেছি আমরা। টসে জিতে ব্যাট করে ২৬৫ রান এই উইকেট পর্যাপ্ত ছিল না। বাংলাদেশের বোলাররাও দারুণভাবে তাদের পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করেছে।
সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে করা ২৬৫ রানের জবাবে মুশফিকুর রহীমের ডাবল ও মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে ২৯৫ রানের লিড নিয়েছিল টাইগাররা। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিকেলে জিম্বাবুয়ে হারায় ২ উইকেট। চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্রেইগ আরভিনের দল। এই ইনিংসে অফস্পিনার নাঈম হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ফাইভার নাঈমের। সব মিলয়ে দুই ইনিংসে তার শিকার ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরেক স্পিনার তাইজুলের শিকার ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে ৬টি। তবে ব্যাট হাতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ১৩ ও ১৪তম জয়ের মাঝে ৪৫০ দিন গ্যাপ। তবে দুটি জয়ই এসেছে ইনিংস ব্যবধানে। টাইগারা সব শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারায় ইনিংস ও ১৮৪ রানে। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও এই জয় টাইগারদের অনেক ব্যর্থতা কাটিয়ে ফেরার ইঙ্গিত বলে মনে করেন অধিনায়ক। মিরপুরে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে টেস্টে নিজেদের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে (৫৬০/৪)। ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসাটাকে দেখা হচ্ছে বড় স্বস্তি হিসেবে। পেসাররাও দারুণ বল করেছেন। আবু জায়েদ রাহীর শিকার ৪ উইকেট। ইবাদত উইকেট না পেলেও বল হাতে বেশ কৃপণ ছিলেন। সবমিলিয়ে টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল এই জয়কে ‘টিম বাংলাদেশ’র অবদান মনে করেন।
গতকাল চতুর্থ দিনের সকালে আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও শুরু হয় দুপুর থেকে। কিন্তু তা জিম্বাবুয়েকে রক্ষা করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসের পর বল হাতে টাইগারদের নায়ক নাঈম হাসান। এই অফস্পিনার আগের শেষ বিকেলে ৯ রানে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দিনের প্রথম সাফল্য এসেছে স্পিনেই। কেভিন কাসুজাকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর দলের হাল ধরেছিলেন শক্ত হাতে। কিন্তু নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৭ রানে আউট হয়ে যান। তবে পরের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক আরভিন ও সিকান্দার রাজা। তবে দারুণ খেলতে খেলতে হঠাৎ খেই হারান আরভিন। তাড়াহুড়া করে রান নিতে গিয়ে বাংলাদেশি অধিনায়কের সরাসরি থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়েন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক করেন ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের শেষ ভরসা সিকান্দার রাজা মুশফিকের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরেছেন ৩৭ রান করে। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই তামিম ইকবালের ক্যাচে ফেরেন রেজিস চাকাভা (১৮)। প্রতিরোধ গড়া মারুমাকে (৪১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে নাঈম তুলে নেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তাইজুল। তুলে নিয়েছে নিজের চতুর্থ উইকেট।
অধিনায়ক মুমিনুল নাঈমের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও তার আরো উন্নতির জায়গা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করবো, আপনারা এই অনুরোধ রাখলে ভালো হবে। নাঈম মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছে, এখনও অনেক বাকি আছে। সে অনেক ভালো বোলিং করেছে, মাশা আল্লাহ। আশা করি আরো ভালো করবে। এটা নিয়ে আমি খুব বেশি বলতে চাই না, মানে আউটস্ট্যান্ডিং টাইপ কিছু বলতে চাই না। ওর অনেক কিছু করার বাকি আছে। ধীর ধীরে সে উন্নতি করবে, আরো করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে বোঝা যায় না। আমার কাছে মনে হয় ওকে আরো উন্নতি করতে হবে।’
অন্যদিকে, এ হারকে হাতাশার মনে করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন তিনি। আরভিন বলেন, আমার মনে হয় ভুলটা প্রথম ইনিংসেই করেছি আমরা। টসে জিতে ব্যাট করে ২৬৫ রান এই উইকেট পর্যাপ্ত ছিল না। বাংলাদেশের বোলাররাও দারুণভাবে তাদের পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করেছে।