প্রথম পাতা

গৃহহীন প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি করে দেবো

স্টাফ রিপোর্টার

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবে না। যাদের  ঘর বাড়ি নেই তাদের প্রত্যেককে ঘর এবং বাড়ি করে দেয়া হবে। গতকাল অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে বাঙালি জাতিকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার সাথে সাথে প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়ে সারাবিশ্বে একটা সম্মানিত জাতি হিসেবে আমরা একে গড়ে তুলে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা  দেখেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ একটা মর্যাদা পেয়েছে। আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এক সময় সকলেই আমাদের অবহেলার চোখে দেখতো। বাংলাদেশ নাম শুনলেই বলে উঠতো-ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দরিদ্রের দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আল্লাহর রহমতে আর কেউ তা বলতে পারবে না। আমরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি ২০২১ সালের মধ্যেই প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। আর একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যে যেখানেই আছেন, যে যার মতো পারেন সহযোগিতা করবেন যেন বাংলাদেশের একটা মানুষও আর গৃহহীন না থাকে। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামে খোঁজ নিতে বলেছি। নদী ভাঙ্গনে যারা ঘর-বাড়ি হারিয়েছে তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব। আর যারা ভূমিহীন, গৃহহীন প্রত্যেককেই আমরা ঘর-বাড়ি করে দেব। প্রত্যেকটি মানুষের একটা ঠিকানা হবে। সরকার তৃণমূল পর্যন্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভাবেই নয়, প্রযুক্তি শিক্ষাকেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আমরা মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তি ব্যবহারের আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল আর যাদের পদাংক অনুসরণ করেই আমরা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই ত্যাগ কখনো বৃথা যাবেনা।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, আজ সারা দুয়িনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃত দিয়েছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বৈরাচারি শাসক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। আজ একটি শিশু পর্যন্ত জানে যে বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দুটি স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, একটি হলো স্বাধীনতা আর একটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দানের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয় বঙ্গবন্ধু বলতেন আমার বাংলা হচ্ছে শস্য, শ্যামলা, সুজলা, সুফলা সোনার বাংলা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রাজনীতি এখন দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত বেগম খালদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে আছে। জনগণের বিষয় নিয়ে তাদের কোন বক্তৃতা বিবৃতি নেই।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক-গবেষক হায়দার আলী খান আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন। এছাড়াও দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানও আবু আহম্মেদ মান্নাফী আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status