শেষের পাতা
ক্ষতিপূরণ চান চুড়িহাট্টায় নিহতদের স্বজনরা
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
এক বছর আগে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তাদের স্বজনরা। সে সঙ্গে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদামগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেয়ারও দাবি জানা তারা। গতকাল ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে পাঁচটি সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ সকল সামাজিক সংগঠনের’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। গত বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টায় আগুনে ঘটনাস্থলে ৬৭ জন মারা যান। পরে আহতদের মধ্যে থেকে আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংগঠনটির আহ্বায়ক ও নিহতদের দুজনের স্বজন এম এ রহিম বলেন, চুড়িহাট্টা ট্রাজেডির এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেল, অথচ নিহত, আহত, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কীভাবে আছে খোঁজ নেয়ার লোক পাইনি, পাইনি কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।
কিন্তু অসহায় পরিবারগুলো দিন দিন ভিটা-বাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব। আর্থিকসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আগুনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতদের পরিবারের চিকিৎসা ও পড়াশোনার ব্যয় বহন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াহেদ ম্যানশন মেরামতের সুযোগ দিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার ব্যবস্থা করার দাবি সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়। রহিম বলেন, ৩১ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা এবং কোনো পরিবারের যোগ্য ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলেছেন মেয়র। আমরা মেয়রের এই আশ্বাসে বিশ্বাস করেছি। কিন্তু অন্যান্য পরিবারগুলো সহায়তা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা এখনও হয়নি। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি নিহতদের পরিবারগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করেছে বলে তিনি জানান। এম এ রহিম বলেন, ওই ঘটনায় যারা আহত হয়েছিলেন তাদেরকে তাৎক্ষণিক যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, তারপর আর সরকারি সহায়তায় কোনো চিকিৎসা হয়নি। আগুনে নিহত ওয়াসি উদ্দিন মাহিদের চাচাতো ভাই আশিক উদ্দিন সৈনিক বলেন, আমরা যারা এখানে আছি তারা কেউ কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ না। এই ভবনের ক্ষতিকর কী কেমিক্যাল ছিল তা আমরা জানি না। তবে আমি দেখেছি বিস্ফোরণে এই ভবনের দেয়াল উড়ে আশেপাশের ভবনগুলোতে পড়েছে। বেশি টাকার লোভে কেমিক্যালের গুদামের আর কোনো বাড়ি ভাড়া না দিতে এলাকার বাড়িওয়ালাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। ওয়াহেদ ম্যানশনের আগুনে নিহত মো. জুম্মনের ছেলে ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলার বাদী মো. আসিফ বলেন, আমি বাবা হারিয়েছি, এর যে কত ব্যাথা কেবল আমিই বুঝি। যে কারণে আমার বাবাসহ আরও অন্যান্যরা মারা গেছেন, সেই কেমিক্যালের কোনো মজুদ এখানে যাতে রাখা না হয় সেই বিষয়ে সরকার থেকে যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সংবাদ সম্মেলনের পর নিহত-আহতদের পরিবার-স্বজনসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে একটি মানববন্ধন করা হয়।
কিন্তু অসহায় পরিবারগুলো দিন দিন ভিটা-বাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব। আর্থিকসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আগুনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতদের পরিবারের চিকিৎসা ও পড়াশোনার ব্যয় বহন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াহেদ ম্যানশন মেরামতের সুযোগ দিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার ব্যবস্থা করার দাবি সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়। রহিম বলেন, ৩১ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা এবং কোনো পরিবারের যোগ্য ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলেছেন মেয়র। আমরা মেয়রের এই আশ্বাসে বিশ্বাস করেছি। কিন্তু অন্যান্য পরিবারগুলো সহায়তা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা এখনও হয়নি। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি নিহতদের পরিবারগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করেছে বলে তিনি জানান। এম এ রহিম বলেন, ওই ঘটনায় যারা আহত হয়েছিলেন তাদেরকে তাৎক্ষণিক যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, তারপর আর সরকারি সহায়তায় কোনো চিকিৎসা হয়নি। আগুনে নিহত ওয়াসি উদ্দিন মাহিদের চাচাতো ভাই আশিক উদ্দিন সৈনিক বলেন, আমরা যারা এখানে আছি তারা কেউ কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ না। এই ভবনের ক্ষতিকর কী কেমিক্যাল ছিল তা আমরা জানি না। তবে আমি দেখেছি বিস্ফোরণে এই ভবনের দেয়াল উড়ে আশেপাশের ভবনগুলোতে পড়েছে। বেশি টাকার লোভে কেমিক্যালের গুদামের আর কোনো বাড়ি ভাড়া না দিতে এলাকার বাড়িওয়ালাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। ওয়াহেদ ম্যানশনের আগুনে নিহত মো. জুম্মনের ছেলে ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলার বাদী মো. আসিফ বলেন, আমি বাবা হারিয়েছি, এর যে কত ব্যাথা কেবল আমিই বুঝি। যে কারণে আমার বাবাসহ আরও অন্যান্যরা মারা গেছেন, সেই কেমিক্যালের কোনো মজুদ এখানে যাতে রাখা না হয় সেই বিষয়ে সরকার থেকে যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সংবাদ সম্মেলনের পর নিহত-আহতদের পরিবার-স্বজনসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে একটি মানববন্ধন করা হয়।