দেশ বিদেশ
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
খুলনায়
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। অমর একুশের প্রথম প্রহর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে মহান ভাষা শহীদদের। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটের পর) শুরু হয় মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ মিনার বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনার বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ও জেলা সংসদ প্রথমে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর খুলনা সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, সিভিল সার্জন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, বিএনপি খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা, যুবদল ও ছাত্রদল, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া সকালেও বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভাতফেরি বের করে এবং হাদিস পার্কে এসে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
এদিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও বাংলা ভাষায় হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা, বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল।
দিবস উপলক্ষে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাতফেরি এবং প্রভাতফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর ও জেলা বিএনপি দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে দু’দিনের বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দলটি। সকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া খুলনা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। অনুরূপভাবে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নও দিবসটি পালন করছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। এরপর পর্যায়ক্রমে শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, হলসমূহের প্রভোস্ট ও ছাত্র-ছাত্রীগণ (ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়েট শাখা, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ, হল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, স্বরে-অ, কুয়েট থিয়েটার, ধ্রুপদী, অচীন পাখি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এসোসিয়েশন, ইএসই এসোসিয়েশন, বগুড়া-জয়পুরহাট এসোসিয়েশন, ওকেএস, গ্রেটার কুমিল্লা এসোসিয়েশন, কল্পপট আর্ট সোসাইটি, ট্রাই, ড্রিম, চুয়াডাঙ্গা এসোসিয়েশন, নাটোর এসোসিয়েশন, কুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সকাল সাড়ে ১০টায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী। পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আতাউর রহমান, ড. এম. এ. রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আবদুল হাসিব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি. এম. মনিরুজ্জামান, কর্মচারী সমিতির (৩য় শ্রেণী) সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ জুয়েল, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরুল ইসলাম। এ ছাড়া, আসর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের শান্তি, কল্যাণ কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুরে
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে: ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে গাজীপুরে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। দিনের প্রথম প্রহরে গাজীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবার আগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, ভাষা শহীদ বরকতের পরিবার, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, গাজীপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রভাতফেরিসহ দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা সভায় বিএআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল ওহাব এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বারি বিজ্ঞানী সমিতি, বারি কর্মচারী সমিতি ও বারি শ্রমিক ক্লাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জেলার রাজেন্দ্রপুরে কচি-কাঁচা একাডেমি, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা কচি-কাঁচা শহিদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুর জেলা শহরে মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার।
মানিকগঞ্জে
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গোটা মানিকগঞ্জের সবগুলো শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন শহীদ মিনারগুলোতে। রাত ১২টা ১ মিনিটে মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এরপর জেলা প্রশাসক এম এম ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার। মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় তার নির্বাচনী এলাকায় কয়েকটি শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিনের নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহম্মদের জন্মভূমি সিংগাইরের পাড়িল গ্রামে শহীদ রফিকের বাড়ির শহীদ মিনারটি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও শহীদ রফিকের পরিবারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে মানিকগঞ্জের মুন্নু সিটিতে মুন্নু ইন্টান্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মিনারে মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান আফরোজা খান রিতার পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুন্নু মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মাহবুবুল হাসান। মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দা নাসরিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
নবাবগঞ্জে
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। রাতের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু ও থানা পুলিশের পক্ষে অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মহিলালীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, সেতু সংঘ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কলাকোপা কোকিলপ্যারী উচ্চ বিদ্যালয়, পিকেবি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম হাসিবা পোখ্রাজ উচ্চ বিদ্যালয়, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়, মুক্তি ক্লিনিক, প্যারাগন হাসপাতাল, ইছামতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, নাফা সাংস্কৃতিক সংগঠন, ইছামতি নদী বাঁচাও আন্দোলন, লাইসিয়াম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ফারিয়া, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাদ জুম্মা বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। উপজেলা শিল্পকলা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিকের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান কিসমত, শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা কে.এস. আলম পোখরাজ, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান রনি, এস.এম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কলাকোপা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
পাকুন্দিয়ায়
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান, পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার লোকজনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোরে খালি পায়ে র্যালি নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারগুলোতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সংগঠনের পক্ষ থেকে র্যালি ও পুষ্পস্তবর্ক অর্পণ করা হয়েছে।
লালমোহনে
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে লালমোহনে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, প্রভাতফেরি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তাই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন ও রক্ত ঝরেছে তা আজ সারা বিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাঙালিকে সামনের দিকে চলার পথে প্রেরণা জোগায় একুশ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় লালমোহন সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কে ইউএনও হাবিবুল হাসান রুমির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমনসহ আরো অনেকে।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবষ উপলক্ষে রাত ১২টা এক মিনিটে গোপালগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ ।
প্রথমে. ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, এরপর গোপালগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জের পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান । এরপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, প্রেস ক্লাব ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ মিনার। এদিকে, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কমকর্তা মাহবুবুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর শিক্ষকবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিজয় দিবস হল, স্বাধীনতা দিবস হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল, শেখ রাসেল হল, শেখ রেহানা হল, সকল বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
কিশোরগঞ্জ
স্টাফ রিপোর্র্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে: কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২টা এক মিনিট থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সরকারি গুরুদয়াল কলেজ, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ, গণতন্ত্রী পার্টি, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, পৌরসভা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে আয়োজিত বইমেলার মঞ্চে ভাষা আন্দোলনের ওপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হোসেনপুর
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: হোসেনপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার উপজেলা উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, হোসেনপুর পৌরসভা, হোসেনপুর থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হোসেনপুর প্রেসক্লাব, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্র লীগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হোসেনপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের প্রভাতফেরি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসাদুজ্জামান খান অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
প্রভাত ফেরি শেষে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আসাদুজ্জামান খান অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুবলীগ সভাপতি এম এ হালিম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস, প্রধান শিক্ষক কাজী আসমা বেগম, হোসেনপুর প্রেসক্লাব সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, কৃষকলী সভাপতি আক্তার হোসেন দুলাল প্রমুখ।
মাগুরায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত
মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় যথাযথ মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। তারপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, মাগুরা প্রেস ক্লাব, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জেলা ছাত্র দল, যুবদল, জেলা আইনজীবী সমিতি, সরকারি, বেসরকারি কার্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা এনজিও ফোরামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংঘ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট চত্বর থেকে প্রভাতফেরির র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রভাতফেরির র্যালিতে অংশ নেয় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ানসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।
শহীদ মিনার চত্বরে সকালে আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়া সকাল ১০টায় সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগারে জেলা একাডেমির আয়োজনে শিশুদের আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। অমর একুশের প্রথম প্রহর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে মহান ভাষা শহীদদের। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটের পর) শুরু হয় মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ মিনার বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনার বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ও জেলা সংসদ প্রথমে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর খুলনা সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, সিভিল সার্জন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, বিএনপি খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা, যুবদল ও ছাত্রদল, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া সকালেও বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভাতফেরি বের করে এবং হাদিস পার্কে এসে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
এদিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও বাংলা ভাষায় হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা, বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল।
দিবস উপলক্ষে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাতফেরি এবং প্রভাতফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর ও জেলা বিএনপি দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে দু’দিনের বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দলটি। সকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া খুলনা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। অনুরূপভাবে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নও দিবসটি পালন করছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। এরপর পর্যায়ক্রমে শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, হলসমূহের প্রভোস্ট ও ছাত্র-ছাত্রীগণ (ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়েট শাখা, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ, হল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, স্বরে-অ, কুয়েট থিয়েটার, ধ্রুপদী, অচীন পাখি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এসোসিয়েশন, ইএসই এসোসিয়েশন, বগুড়া-জয়পুরহাট এসোসিয়েশন, ওকেএস, গ্রেটার কুমিল্লা এসোসিয়েশন, কল্পপট আর্ট সোসাইটি, ট্রাই, ড্রিম, চুয়াডাঙ্গা এসোসিয়েশন, নাটোর এসোসিয়েশন, কুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সকাল সাড়ে ১০টায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী। পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আতাউর রহমান, ড. এম. এ. রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আবদুল হাসিব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি. এম. মনিরুজ্জামান, কর্মচারী সমিতির (৩য় শ্রেণী) সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ জুয়েল, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরুল ইসলাম। এ ছাড়া, আসর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের শান্তি, কল্যাণ কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুরে
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে: ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে গাজীপুরে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। দিনের প্রথম প্রহরে গাজীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবার আগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, ভাষা শহীদ বরকতের পরিবার, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, গাজীপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রভাতফেরিসহ দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা সভায় বিএআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল ওহাব এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বারি বিজ্ঞানী সমিতি, বারি কর্মচারী সমিতি ও বারি শ্রমিক ক্লাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জেলার রাজেন্দ্রপুরে কচি-কাঁচা একাডেমি, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা কচি-কাঁচা শহিদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুর জেলা শহরে মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার।
মানিকগঞ্জে
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গোটা মানিকগঞ্জের সবগুলো শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন শহীদ মিনারগুলোতে। রাত ১২টা ১ মিনিটে মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এরপর জেলা প্রশাসক এম এম ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার। মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় তার নির্বাচনী এলাকায় কয়েকটি শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিনের নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহম্মদের জন্মভূমি সিংগাইরের পাড়িল গ্রামে শহীদ রফিকের বাড়ির শহীদ মিনারটি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও শহীদ রফিকের পরিবারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে মানিকগঞ্জের মুন্নু সিটিতে মুন্নু ইন্টান্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মিনারে মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান আফরোজা খান রিতার পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুন্নু মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মাহবুবুল হাসান। মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দা নাসরিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
নবাবগঞ্জে
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। রাতের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু ও থানা পুলিশের পক্ষে অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মহিলালীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, সেতু সংঘ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কলাকোপা কোকিলপ্যারী উচ্চ বিদ্যালয়, পিকেবি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম হাসিবা পোখ্রাজ উচ্চ বিদ্যালয়, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়, মুক্তি ক্লিনিক, প্যারাগন হাসপাতাল, ইছামতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, নাফা সাংস্কৃতিক সংগঠন, ইছামতি নদী বাঁচাও আন্দোলন, লাইসিয়াম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ফারিয়া, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাদ জুম্মা বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। উপজেলা শিল্পকলা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিকের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান কিসমত, শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা কে.এস. আলম পোখরাজ, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান রনি, এস.এম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কলাকোপা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
পাকুন্দিয়ায়
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান, পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার লোকজনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোরে খালি পায়ে র্যালি নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারগুলোতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সংগঠনের পক্ষ থেকে র্যালি ও পুষ্পস্তবর্ক অর্পণ করা হয়েছে।
লালমোহনে
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে লালমোহনে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, প্রভাতফেরি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তাই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন ও রক্ত ঝরেছে তা আজ সারা বিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাঙালিকে সামনের দিকে চলার পথে প্রেরণা জোগায় একুশ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় লালমোহন সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কে ইউএনও হাবিবুল হাসান রুমির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমনসহ আরো অনেকে।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবষ উপলক্ষে রাত ১২টা এক মিনিটে গোপালগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ ।
প্রথমে. ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, এরপর গোপালগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জের পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান । এরপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, প্রেস ক্লাব ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ মিনার। এদিকে, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কমকর্তা মাহবুবুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর শিক্ষকবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিজয় দিবস হল, স্বাধীনতা দিবস হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল, শেখ রাসেল হল, শেখ রেহানা হল, সকল বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
কিশোরগঞ্জ
স্টাফ রিপোর্র্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে: কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২টা এক মিনিট থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সরকারি গুরুদয়াল কলেজ, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ, গণতন্ত্রী পার্টি, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, পৌরসভা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে আয়োজিত বইমেলার মঞ্চে ভাষা আন্দোলনের ওপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হোসেনপুর
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: হোসেনপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার উপজেলা উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, হোসেনপুর পৌরসভা, হোসেনপুর থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হোসেনপুর প্রেসক্লাব, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্র লীগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হোসেনপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের প্রভাতফেরি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসাদুজ্জামান খান অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
প্রভাত ফেরি শেষে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আসাদুজ্জামান খান অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুবলীগ সভাপতি এম এ হালিম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস, প্রধান শিক্ষক কাজী আসমা বেগম, হোসেনপুর প্রেসক্লাব সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, কৃষকলী সভাপতি আক্তার হোসেন দুলাল প্রমুখ।
মাগুরায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত
মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় যথাযথ মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। তারপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, মাগুরা প্রেস ক্লাব, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জেলা ছাত্র দল, যুবদল, জেলা আইনজীবী সমিতি, সরকারি, বেসরকারি কার্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা এনজিও ফোরামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংঘ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট চত্বর থেকে প্রভাতফেরির র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রভাতফেরির র্যালিতে অংশ নেয় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ানসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।
শহীদ মিনার চত্বরে সকালে আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়া সকাল ১০টায় সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগারে জেলা একাডেমির আয়োজনে শিশুদের আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।