রাজারহাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের তালুক আষাঢ়ু গ্রামের হাসেন আলী মণ্ডলের পুত্র সোমেদ আলীর (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের মৃত শহীদ আলীর পুত্র সুলতান (৫৫) এর পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জের ধরে গত  মঙ্গলবার বিকালে ওই এলাকার আরেক সুলতানের পুত্র কাপড়ের ফেরিওয়ালা আঃ বাতেন বাড়ি যাওয়ার সময় সোমেদ আলীর লোকজন হুমকি দেয়। ওইদিন বিকালেই সোমেদ আলী তার ধানক্ষেতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর করে। এরই জের ধরে সোমেদ আলীও তার লোকজন সুলতান আলীকে মারধর করে। এক পর্যায়ে সোমেদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে সুলতান আলীর লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হবিবর রহমান (৩৪) এর মাথায় দেশীয় কাস্তে দিয়ে কোপ মারে। এতে হবিবর ও আসমত আলী প্রামাণিক (৬০) রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসীরা তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার হবিবর রহমান (৩৪) মারা যায়। হবিবরের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হবিবর রহমান ওই এলাকার দুলাল মিয়ার পুত্র ও সুলতানের শ্যালক বলে জানা গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে  হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো পালিয়ে যায়। এ সময় শহিদুল ইসলাম (৩৫) কে পুলিশ কুড়িগ্রাম সদর এলাকা থেকে আটক করে। এ ছাড়া ঘটনার পরদিন বুধবার পুলিশ হাসপাতালে হবিবর রহমান আশঙ্কাজনক থাকায় সোমেদ আলী মণ্ডল (৪৫) ও এরশাদ আলী মণ্ডল (৪০) কে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। গতকাল রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার নিশ্চিত করে বলেন, অপর আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।