দেশ বিদেশ
জার্মানিতে সিসা বারে গুলি, নিহত ৯
মানবজমিন ডেস্ক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
জার্মানির দুটি সিসা বারে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তুরস্কের নাগরিক রয়েছেন। হামলা হওয়া বার দুটির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। দুটি বারেই অভিবাসীদের আনাগোনা বেশি ছিল বলে জানা যায়। বুধবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হ্যানাউয়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টায় অস্ত্রধারী ব্যক্তি হামলা চালায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৫ জন। হামলায় একাধিক হামলাকারী জড়িত ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এক হামলাকারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, হামলার পর পরই সন্দেহভাজন হামলাকারী পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ৪৩ বছর এবং তিনি জার্মানির নাগরিক। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা যায়, বারে হামলার পর তিনি সম্ভবত তার নিজের মাকেও হত্যা করেছিল। তদন্তকারী দল তার বাড়িতে গিয়ে তার মা’র গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পান।
প্রথমে গুলি চালানো হয় শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় একটি সিসা বারে। এরপর গুলি করা হয় হ্যানাউয়ের কেসেলস্টাডট এলাকায়। সেখানে গুলি করে হত্যা করে কয়েকজনকে। এরপর গাড়ি চালিয়ে গিয়ে দুই কিলোমিটার দূরে অ্যারিনা বার অ্যান্ড ক্যাফেতে গুলি করা হয়। এখানেও চলে টার্গেট করে করে হত্যাযজ্ঞ। সেখান থেকে বেরিয়ে ধূসর রঙের একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়। হামলার উদ্দেশ্য কি ছিল তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রক্ষণশীল ডানপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসীরাই এ হামলা চালিয়েছে। জার্মানির হেসে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর মধ্যে বিদেশিভীতি ছিল এবং এটিই ছিল তার হামলার উদ্দেশ্য। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলা হওয়া বার দুটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ কর্মকর্তারা। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে তল্লাশি। আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। ঘটনাস্থলের কাছেই কাজ করছিলেন ক্যান-লুকা ফ্রিসেনা। তিনি বলেছেন, এটা যেন ছিল একটি সিনেমার দৃশ্য। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ৪৯ বছরের আলি মেনগুসেক জানান, ঘটনার খানিকক্ষণ আগে ওই রাস্তা দিয়েই দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই সিসা বারের সামনে চারজন দাঁড়িয়েছিল। সবাই ছিল লম্বা এবং তরুণ। ৩০ মিটারের ব্যবধানে দু’টি দলে ভাগ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। আমরা ওদের মাঝখান দিয়েই যাই। ওদের দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তাই সন্তানদের বলেছিলাম দ্রুত পা চালাতে। বাড়িতে ঢোকার খানিকক্ষণের মধ্যেই গুলির আওয়াজ পাই আমরা। জানালা খুলে দেখি ফুটপাথ দিয়ে সকলে দৌড়াচ্ছে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
শাসক দল সিডিইউয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি কাটিয়া লাইকার্ট ঘটনার পরেই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। হ্যানাওয়ের মেয়র জানিয়েছেন, বহুদিনের মধ্যে এমন ভয়াবহ সন্ধ্যার সাক্ষী হয়নি শহর। এই ঘটনা বহুদিন মনে থাকবে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেফ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা তুরস্ক থেকে জার্মানিতে গিয়েছেন। একে বর্ণবাদী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি। কালিন টুইটারে বলেন, আমরা আশা করবো জার্মানি এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। বর্ণবাদ একটি সামগ্রিক ক্যান্সার।
জার্মানির সব থেকে বেশি বিকৃত ট্যাবলয়েড বিল্ড জানিয়েছে, গুলির পর সেখানে দায় স্বীকার করে চিঠি ও ভিডিও বার্তা রেখে গেছে হামলাকারী। এতে দায় স্বীকার ছাড়াও ছিল রক্ষণশীল চিন্তা-ভাবনার পক্ষে সাফাই। এতে আরো জানানো হয়, সন্দেহভাজনের গাড়িতে বন্দুক ও গুলি পাওয়া গেছে। তার ওই অস্ত্রের লাইসেন্স করা ছিল।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, হামলার পর পরই সন্দেহভাজন হামলাকারী পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ৪৩ বছর এবং তিনি জার্মানির নাগরিক। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা যায়, বারে হামলার পর তিনি সম্ভবত তার নিজের মাকেও হত্যা করেছিল। তদন্তকারী দল তার বাড়িতে গিয়ে তার মা’র গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পান।
প্রথমে গুলি চালানো হয় শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় একটি সিসা বারে। এরপর গুলি করা হয় হ্যানাউয়ের কেসেলস্টাডট এলাকায়। সেখানে গুলি করে হত্যা করে কয়েকজনকে। এরপর গাড়ি চালিয়ে গিয়ে দুই কিলোমিটার দূরে অ্যারিনা বার অ্যান্ড ক্যাফেতে গুলি করা হয়। এখানেও চলে টার্গেট করে করে হত্যাযজ্ঞ। সেখান থেকে বেরিয়ে ধূসর রঙের একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়। হামলার উদ্দেশ্য কি ছিল তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রক্ষণশীল ডানপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসীরাই এ হামলা চালিয়েছে। জার্মানির হেসে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর মধ্যে বিদেশিভীতি ছিল এবং এটিই ছিল তার হামলার উদ্দেশ্য। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলা হওয়া বার দুটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ কর্মকর্তারা। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে তল্লাশি। আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। ঘটনাস্থলের কাছেই কাজ করছিলেন ক্যান-লুকা ফ্রিসেনা। তিনি বলেছেন, এটা যেন ছিল একটি সিনেমার দৃশ্য। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ৪৯ বছরের আলি মেনগুসেক জানান, ঘটনার খানিকক্ষণ আগে ওই রাস্তা দিয়েই দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই সিসা বারের সামনে চারজন দাঁড়িয়েছিল। সবাই ছিল লম্বা এবং তরুণ। ৩০ মিটারের ব্যবধানে দু’টি দলে ভাগ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। আমরা ওদের মাঝখান দিয়েই যাই। ওদের দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তাই সন্তানদের বলেছিলাম দ্রুত পা চালাতে। বাড়িতে ঢোকার খানিকক্ষণের মধ্যেই গুলির আওয়াজ পাই আমরা। জানালা খুলে দেখি ফুটপাথ দিয়ে সকলে দৌড়াচ্ছে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
শাসক দল সিডিইউয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি কাটিয়া লাইকার্ট ঘটনার পরেই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। হ্যানাওয়ের মেয়র জানিয়েছেন, বহুদিনের মধ্যে এমন ভয়াবহ সন্ধ্যার সাক্ষী হয়নি শহর। এই ঘটনা বহুদিন মনে থাকবে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেফ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা তুরস্ক থেকে জার্মানিতে গিয়েছেন। একে বর্ণবাদী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি। কালিন টুইটারে বলেন, আমরা আশা করবো জার্মানি এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। বর্ণবাদ একটি সামগ্রিক ক্যান্সার।
জার্মানির সব থেকে বেশি বিকৃত ট্যাবলয়েড বিল্ড জানিয়েছে, গুলির পর সেখানে দায় স্বীকার করে চিঠি ও ভিডিও বার্তা রেখে গেছে হামলাকারী। এতে দায় স্বীকার ছাড়াও ছিল রক্ষণশীল চিন্তা-ভাবনার পক্ষে সাফাই। এতে আরো জানানো হয়, সন্দেহভাজনের গাড়িতে বন্দুক ও গুলি পাওয়া গেছে। তার ওই অস্ত্রের লাইসেন্স করা ছিল।