প্রথম পাতা
সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে এক ‘বাংলাদেশির’ বিচার চলছে
মানবজমিন ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে একটি কৌতূহলোদ্দীপক শুনানি চলছে। তিনি একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রেস্তরাঁ কর্মী। প্রতারণায় দায়ে তার বিচার চলছে। অভিযোগ, অবৈধভাবে বৃটেনে থেকে যেতে তিনি বার্মিংহামের এক ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করেছিলেন। এখন তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য কখনো তিনি তার সাক্ষাৎই পাননি। তবে বৃটেনে থাকতে সহায়তা পেতে একজন সলিসিটরকে তিনি দু’হাজার পাউন্ড দিয়েছিলেন। ১৯শে ফেব্রুয়ারি বার্মিংহাম মেইল ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বার্মিংহামের সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে নুরুল ইসলাম বলেছেন যে, ইংরেজি পড়তে বা লেখার অক্ষমতার কারণে তিনি বুঝতে পারেননি যে, সলিসিটরকে অর্থ দেয়ার ঘটনার মধ্যদিয়ে তিনি অন্য কারো পরিচয় ব্যবহার করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
৩৯ বছর বয়সী ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে যুক্তরাজ্যে থাকার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে এখন তার বিচার চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৫ সালের ২৬শে মে থেকে ১৬ই জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হোম অফিসে তিনি আবেদন করেন। আর তাতে তিনি আলাউর রহমান নামে একজন বার্মিংহাম বাসিন্দার নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করেছিলেন।
৩৯ বছর বয়সী এই যুবকের বিরুদ্ধে আরো একটি অনুচিত ঘটনার বিবরণ এসেছে। তার কাছে একটি অযথাযথ দলিল পাওয়া যায় ২৭শে মে, ২০১৫। এদিন তার কাছ থেকে অন্য একজন বাংলাদেশির পাসপোর্টেরও সন্ধান মেলে।
ওয়েলস অনলাইন রিপোর্ট করেছে যে, তার বিচারের দ্বিতীয় দিন, তিনি একজন দোভাষীর সহায়তায় সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত হন। তিনি আদালতের উইটনেস বক্সে গিয়ে দাঁড়ান।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি কীভাবে বাংলাদেশে বেড়ে ওঠেন এবং ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ইংরেজি বলতে, বা সে ভাষায় পড়তে বা লিখতে অক্ষম।
ডিফেন্স সলিসিটার ডাইফিড থমাসের প্রশ্নের জবাবে ইসলাম যুক্তরাজ্যে আসার কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক ছিলেন। এবং দলের ডাকা সভা-সমাবেশে তিনি অংশ নিতেন।
নুরুল আদালতকে বলেন, তার এই ক্রিয়াকলাপে তিনি সচেতন হয়েছিলেন যে, পুলিশ তার গ্রামে তাকে খুঁজছে, তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। সে কারণে তিনি তার আন্ট ও আন্টির সঙ্গে বাস করতে সোয়ানসিতে এসেছিলেন।
২০শে মে, ২০১০-এ তাকে ছয় মাস যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য ভিসা দেয়া হয়েছিল, তবে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। তিনি জানতেন তার এই থাকাটা অবৈধ।
এ সময় তিনি পশ্চিম ক্রস তান্দুরি রেস্তরাঁয় ‘সামান্য কাজ’ করেছিলেন বলে তার দাবি।
কিন্তু আদালত অবহিত হন যে, ২০১৫ সালে তিনি মি. রহমানের নামে একটি আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই আবেদনটির সঙ্গে তিনি তার নিজের ছবি এবং সোয়ানসির ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।
ক্রাউন কোর্টে বিচারের প্রথম দিন জুরিকে বলা হয়েছিল যে, মি. রহমান একজন সত্যিকারের ব্যক্তি, তিনি বার্মিংহামে থাকেন। যিনি ইতিপূর্বে সফলভাবে এবং বৈধতার সঙ্গে ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকালীন থাকার অনুমতি লাভ করেছিলেন। এবং ছয় বছর পরে সাফল্যের সঙ্গে একটি বৈধ আবেদনে তিনি বৃটিশ নাগরিকত্ব পান। পরবর্তীকালে তার নামে একটি সনদও জারি করা হয়েছিল।
মি. টমাস গতকাল বুধবার যখন আদালতে জানতে চান যে, তিনি কি সচেতন ছিলেন যে যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকাল থাকার আবেদনে মি. রহমানের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল? নুরুলের উত্তর: ‘আমি জানতাম না। আমার পরিচিত এক ব্যক্তি আমাকে সলিসিটারের কাছে নিয়েছিলেন।’
আদালত এসময় অবহিত হন যে, তার সেই পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন সুজন আলী চৌধুরী। তার দাবি রেস্তরাঁয় কাজ করার সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এবং তার সঙ্গে তার ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিল। পরে তিনি তাকে ‘চাচাত ভাই’ (কাজিন) হিসেবে উল্লেখ করেন।
শেখ উসমান নামে এক সলিসিটরের কাছে নুরুল ইসলামকে নিয়েছিলেন সুজন। আদালতকে বলা হয়, এক সম্পূর্ণ পৃথক মামলায় একজন নন ইউরোপীয় ব্যক্তি কর্তৃক ইউকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের এক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে উক্ত শেখ উসমানের সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
ইসলাম আরো দাবি করেছেন, মি. চৌধুরীই তার আবেদনে সহায়তা করার অভিপ্রায়ে সলিসিটরের কাছে নিয়ে যেতে ভূমিকা পালন করেছিলেন।
‘তিনিই (মি. চৌধুরী) বলেছিলেন যে তিনি আমাকে সমস্যা থেকে বেরুতে সাহায্য করবেন এবং আমাকে সলিসিটরের কাছে নিয়ে যাবেন। আমি যা করেছিলাম, সেটা হলো একটি ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করা।
‘আমি সেটা ভুল বলে মনে করিনি। কারণ আমাকে একজন বৃটিশ সলিসিটরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং আমি মনে করিনি যে, কোনো আইনজীবী প্রতারণামূলক কিছু করবেন।’
ইসলাম তথ্য দেন যে, এই সাহায্যের জন্য প্রকাশিত, তিনি পাঁচ বা ছয় কিস্তিতে দুই হাজার পাউন্ড শোধ করেছিলেন।
তারা যা করেছিল, সেটা হলো আমাকে ডকুমেন্টটি দেখিয়েছিল এবং বলেছিল, এখানে সাইন করো, এখানে সাইন করো।
‘আমি ইংরেজি পড়তে পারি না, তাই আমাকে যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, আমি তা করেছি।
আমি সলিসিটরদের ওপর আমার আস্থা রেখেছি এবং ভেবেছিলাম যে তারা সবকিছুই সঠিকভাবে করবেন।
২০১৬ সালের ১০ই জুনে ইমিগ্রেশন অফিসাররা ওয়েস্টক্রস তান্দুরী রেস্তরাঁ পরিদর্শন করেছিলেন। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি তখন নিজেকে মি. রহমান বলে দাবি করেছিলেন।
তিনি কেন এমনটি করেছিলেন তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন: ‘আমি সেটা করেছিলাম, কারণ তারা আমাকে বলেছিল যে আবেদনটি সত্যিকারের উপায় করা হচ্ছে, এবং যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে আমি যেন নিজকে আলাউর রহমান পরিচয় দেই। আমি বুঝতে পারিনি যে, সেটি ছিল একটি সাজানো দরখাস্ত।’
২০১৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর নুরুলকে পুনরায় দানভান্ত তান্দুরী নামের আরেকটি রেস্তরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এইবার তিনি নিজকে ‘নাদিন মোহাম্মদ’ পরিচয় দিয়েছিলেন।
‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। সেই নামটি (আলাউর রহমান) তখন আমার স্মৃতি থেকে ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল।’
প্রসিকিউটর টম স্ক্যাপেন্স আদালতে তথ্য প্রকাশ করেছেন যে, মি. চৌধুরীকে খুঁজে বের করতে সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহায়তায় চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এই নামে কেউই শনাক্ত করতে পারেনি।
নুরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘তিনি কোথায় আছেন আমি জানি না। তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’
৩৯ বছর বয়সী ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে যুক্তরাজ্যে থাকার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে এখন তার বিচার চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৫ সালের ২৬শে মে থেকে ১৬ই জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হোম অফিসে তিনি আবেদন করেন। আর তাতে তিনি আলাউর রহমান নামে একজন বার্মিংহাম বাসিন্দার নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করেছিলেন।
৩৯ বছর বয়সী এই যুবকের বিরুদ্ধে আরো একটি অনুচিত ঘটনার বিবরণ এসেছে। তার কাছে একটি অযথাযথ দলিল পাওয়া যায় ২৭শে মে, ২০১৫। এদিন তার কাছ থেকে অন্য একজন বাংলাদেশির পাসপোর্টেরও সন্ধান মেলে।
ওয়েলস অনলাইন রিপোর্ট করেছে যে, তার বিচারের দ্বিতীয় দিন, তিনি একজন দোভাষীর সহায়তায় সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত হন। তিনি আদালতের উইটনেস বক্সে গিয়ে দাঁড়ান।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি কীভাবে বাংলাদেশে বেড়ে ওঠেন এবং ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ইংরেজি বলতে, বা সে ভাষায় পড়তে বা লিখতে অক্ষম।
ডিফেন্স সলিসিটার ডাইফিড থমাসের প্রশ্নের জবাবে ইসলাম যুক্তরাজ্যে আসার কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক ছিলেন। এবং দলের ডাকা সভা-সমাবেশে তিনি অংশ নিতেন।
নুরুল আদালতকে বলেন, তার এই ক্রিয়াকলাপে তিনি সচেতন হয়েছিলেন যে, পুলিশ তার গ্রামে তাকে খুঁজছে, তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। সে কারণে তিনি তার আন্ট ও আন্টির সঙ্গে বাস করতে সোয়ানসিতে এসেছিলেন।
২০শে মে, ২০১০-এ তাকে ছয় মাস যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য ভিসা দেয়া হয়েছিল, তবে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। তিনি জানতেন তার এই থাকাটা অবৈধ।
এ সময় তিনি পশ্চিম ক্রস তান্দুরি রেস্তরাঁয় ‘সামান্য কাজ’ করেছিলেন বলে তার দাবি।
কিন্তু আদালত অবহিত হন যে, ২০১৫ সালে তিনি মি. রহমানের নামে একটি আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই আবেদনটির সঙ্গে তিনি তার নিজের ছবি এবং সোয়ানসির ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।
ক্রাউন কোর্টে বিচারের প্রথম দিন জুরিকে বলা হয়েছিল যে, মি. রহমান একজন সত্যিকারের ব্যক্তি, তিনি বার্মিংহামে থাকেন। যিনি ইতিপূর্বে সফলভাবে এবং বৈধতার সঙ্গে ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকালীন থাকার অনুমতি লাভ করেছিলেন। এবং ছয় বছর পরে সাফল্যের সঙ্গে একটি বৈধ আবেদনে তিনি বৃটিশ নাগরিকত্ব পান। পরবর্তীকালে তার নামে একটি সনদও জারি করা হয়েছিল।
মি. টমাস গতকাল বুধবার যখন আদালতে জানতে চান যে, তিনি কি সচেতন ছিলেন যে যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকাল থাকার আবেদনে মি. রহমানের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল? নুরুলের উত্তর: ‘আমি জানতাম না। আমার পরিচিত এক ব্যক্তি আমাকে সলিসিটারের কাছে নিয়েছিলেন।’
আদালত এসময় অবহিত হন যে, তার সেই পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন সুজন আলী চৌধুরী। তার দাবি রেস্তরাঁয় কাজ করার সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এবং তার সঙ্গে তার ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিল। পরে তিনি তাকে ‘চাচাত ভাই’ (কাজিন) হিসেবে উল্লেখ করেন।
শেখ উসমান নামে এক সলিসিটরের কাছে নুরুল ইসলামকে নিয়েছিলেন সুজন। আদালতকে বলা হয়, এক সম্পূর্ণ পৃথক মামলায় একজন নন ইউরোপীয় ব্যক্তি কর্তৃক ইউকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের এক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে উক্ত শেখ উসমানের সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
ইসলাম আরো দাবি করেছেন, মি. চৌধুরীই তার আবেদনে সহায়তা করার অভিপ্রায়ে সলিসিটরের কাছে নিয়ে যেতে ভূমিকা পালন করেছিলেন।
‘তিনিই (মি. চৌধুরী) বলেছিলেন যে তিনি আমাকে সমস্যা থেকে বেরুতে সাহায্য করবেন এবং আমাকে সলিসিটরের কাছে নিয়ে যাবেন। আমি যা করেছিলাম, সেটা হলো একটি ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করা।
‘আমি সেটা ভুল বলে মনে করিনি। কারণ আমাকে একজন বৃটিশ সলিসিটরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং আমি মনে করিনি যে, কোনো আইনজীবী প্রতারণামূলক কিছু করবেন।’
ইসলাম তথ্য দেন যে, এই সাহায্যের জন্য প্রকাশিত, তিনি পাঁচ বা ছয় কিস্তিতে দুই হাজার পাউন্ড শোধ করেছিলেন।
তারা যা করেছিল, সেটা হলো আমাকে ডকুমেন্টটি দেখিয়েছিল এবং বলেছিল, এখানে সাইন করো, এখানে সাইন করো।
‘আমি ইংরেজি পড়তে পারি না, তাই আমাকে যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, আমি তা করেছি।
আমি সলিসিটরদের ওপর আমার আস্থা রেখেছি এবং ভেবেছিলাম যে তারা সবকিছুই সঠিকভাবে করবেন।
২০১৬ সালের ১০ই জুনে ইমিগ্রেশন অফিসাররা ওয়েস্টক্রস তান্দুরী রেস্তরাঁ পরিদর্শন করেছিলেন। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি তখন নিজেকে মি. রহমান বলে দাবি করেছিলেন।
তিনি কেন এমনটি করেছিলেন তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন: ‘আমি সেটা করেছিলাম, কারণ তারা আমাকে বলেছিল যে আবেদনটি সত্যিকারের উপায় করা হচ্ছে, এবং যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে আমি যেন নিজকে আলাউর রহমান পরিচয় দেই। আমি বুঝতে পারিনি যে, সেটি ছিল একটি সাজানো দরখাস্ত।’
২০১৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর নুরুলকে পুনরায় দানভান্ত তান্দুরী নামের আরেকটি রেস্তরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এইবার তিনি নিজকে ‘নাদিন মোহাম্মদ’ পরিচয় দিয়েছিলেন।
‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। সেই নামটি (আলাউর রহমান) তখন আমার স্মৃতি থেকে ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল।’
প্রসিকিউটর টম স্ক্যাপেন্স আদালতে তথ্য প্রকাশ করেছেন যে, মি. চৌধুরীকে খুঁজে বের করতে সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহায়তায় চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এই নামে কেউই শনাক্ত করতে পারেনি।
নুরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘তিনি কোথায় আছেন আমি জানি না। তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’