প্রথম পাতা

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ

জেডব্লিউজি’র বৈঠক হচ্ছে মন্ত্রীর সফর অনিশ্চিত

মিজানুর রহমান

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন

দফায় দফায় সফরের দিন-তারিখ পরিবর্তন হলেও শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান বাংলাদেশে আসছেন এমন তথ্য কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি। বরং তার সফরটি এখনো অনিশ্চিত বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার  দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা মানবজমিনকে বলেন, মালয়েশিয়ান মন্ত্রীর সফর ফের অনিশ্চিত হয়ে গেছে! আমরা যেটা জেনেছি ওই সময়ে শ্রমমন্ত্রী কেবল বাংলাদেশ-ই নয়, কোথাও সফর করছেন না। এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রম ও মানব সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী  এম কুলাসেগারানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণ হিসাবে ‘সিন্ডিকেট’ সংক্রান্ত অস্বস্তিকে দায়ী করেছেন অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক পার্লামেন্টারি কোকাসের চেয়ারম্যান ইসরাফিল আলম এমপি। তার মতে, মালয়েশিয়া যেসব দেশ থেকে জনশক্তি নেয় কেথাও কোনো সিন্ডিকেট নেই। কিন্তু বাংলাদেশে তারা সিন্ডিকেটের বাইরে যেতে পারছে না। একটি প্রভাবশালী চক্র খোদ মন্ত্রণালয় সিন্ডিকেটকে প্রমোট করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখানে প্রচার আছে মালয়েশিয়া না-কী সিন্ডিকেট চায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা সিন্ডিকেট চায় না। এ নিয়ে তারা অস্বস্তিতে। আর এ কারণেই তারিখ করেও মন্ত্রীর সফর হয়না। তবে মন্ত্রীর সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলেও আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের মধ্যকার জয়েন্ট  ওয়ার্কিং গ্রুপ বা জেডব্লিউজি’র বৈঠক হচ্ছে বলে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, কর্মকর্তা পর্যায়ের দু’দিনের ওই বৈঠকে শ্রমশক্তি নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। সেই আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হলে পরবর্তীতে মন্ত্রী পর্যায়ের সফর এবং চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল মতে, গতকাল বুধবার এবং পূণনির্ধারিত সুচি মতে, আগামী শনিবার থেকে মালয়েশিয়ান মন্ত্রীর ঢাকা সফর হওয়ার কথা ছিলো। তারিখ যাই হোক তিনি তার পরবর্তী বাংলাদেশ সফরে কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকে আগ্রহী মালয়েশিয়ান মন্ত্রী। স্মরণ করা যায়- মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার। ২০১২ সালে দু’দেশের মধ্যে জি টু জি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর চুক্তি হয়েছিল। শুরুতে এ নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও সিন্ডিকেট যন্ত্রণায় শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৬ সালে ‘জিটুজি প্লাাস’ পদ্ধতিতে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর। এ পদ্ধতিতে পাঁচ খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। তবে এ চুক্তির আওতায় মাত্র ১০টি জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। এসব এজেন্সির কাছ থেকে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি কর্মী নিতে পারত। জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে সরকারি খরচ ৪০ হাজারের কম নির্ধারিত হলেও জনপ্রতি কর্মীদের কাছ থেকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি সিন্ডিকেট। এ নিয়ে উভয় পক্ষে অসন্তোষ ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সমস্ত চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দেয় মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status