দেশ বিদেশ
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
সিলেটে চার্জশিটে নাম ঢুকিয়ে হয়রানি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন একটি চাঁদাবাজি মামলায় নিরীহ লোকদের চার্জশিটে ঢুকিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জালালাবাদের খাশেরগাঁওয়ের মৃত সমাদ আলীর ছেলে ক্বারী মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা জেনে আসছি, পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু জালাবাদ থানার এসআই মতিয়ার রহমানের এই ন্যক্কারজনক আচরণ পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। আশা করি, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হবে।’ ইতিপূর্বে এ ঘটনায় হয়রানির শিকার চারজন বাদী হয়ে জড়িত চক্র ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশি হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- পুরান কালারুকা গ্রামের মৃত হাজী আছলম খানের ছেলে আজমান খান, মৃত আবদাল খানের ছেলে আব্দুল লতিফ খান, অপহরণ মামলার বাদী খাশেরগাঁওয়ের আকবর আলীর ছেলে আরশ আলী ও ক্বারী মনির উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ই জুলাই একটি অপহরণের ঘটনায় ক্বারী মনির উদ্দিনের চাচাতো ভাই জালালাবাদ থানার খাশেরগাঁও গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আরশ আলী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই এই মামলার ঘটনার সত্যতা পায়। বিগত ২০১৯ সালের ২৪শে নভেম্বর পিবিআই অপহরণের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। লিখিত বক্তব্যে ক্বারী মনির উদ্দিন জানান, গত ২৯শে জানুয়ারি আসামিদের প্ররোচনায় জালালাবাদ থানার এসআই মতিয়ার রহমান গোপন আঁতাত করে কোনো তদন্ত ছাড়াই একটি চাঁদাবাজি মামলার চার্জশিটে এই নিরীহ লোকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। অথচ মামলার মূল এজাহারে তাদের নাম নেই। এই হয়রানির বিচার দাবি করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. আজমান খান, মো. আব্দুল লতিফ খান, মো. আরশ আলী. বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন, মাওলানা এরশাদ খান, আলা উদ্দিন খান, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, মকবুল খান ও শানুর আলী প্রমুখ।