প্রথম পাতা

ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির শিকার দাউদ হায়দার

মানবজমিন ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

নির্বাসিত বাংলাদেশি কবি দাউদ হায়দার ভারতে বেড়াতে এসে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির খপ্পরে পড়েছেন। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি টাইমসনাউনিউজডটকমের রিপোর্টে বলা হয়, কঠোর সাইবার আইন ও তদারকি সত্ত্বেও ভারতে অনলাইন জালিয়াতির কোনো কমতি নেই বলেই মনে হয়। কারণ সবেমাত্র এর শিকার হলেন নির্বাসিত এক বাংলাদেশি কবি। তিনি    
ভারতে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি জার্মানিতে পার্শ্বেল করে বই পাঠাতে উদ্যোগী হলে এভাবে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির শিকার হন। দাউদ হায়দার একজন কলাম লেখক ও কবি। তিনি সমপ্রতি বেশ কয়েকটি বই কিনেছিলেন এবং তিনি বর্তমানে জার্মানিতে থাকেন।  সেখানেই সে সব পাঠাতে চেয়েছিলেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভুক্তভোগী দাউদ প্রথমে তার পার্শ্বেলটি পাঠাতে ইন্ডিয়া পোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তবে ডাক কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন যে, এই বিভাগটি বিদেশে বই পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। দাউদ হায়দার বলেন, ডাক বিভাগের কর্মচারীরা আমাকে বলেছিল যে তারা বই পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে এবং এই কাজের জন্য একটি বেসরকারি কুরিয়ার এজেন্সি ভাড়া করাই শ্রেয়। বিদেশি পার্শ্বেলের ব্যয় অবশ্য অনেক  বেশি। পরে, আমি এই উদ্দেশে একটি  বেসরকারি কুরিয়ার এজেন্সিকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দাউদ বলেন, তিনি গুগলে অনুসন্ধান করেন এবং ডিটিডিসি নামে একটি কুরিয়ার সংস্থার ‘ফোন নম্বর’ পান। এরপরে তিনি কথিত ডিটিডিসি সংস্থার অফিসে ফোন করেন।

দাউদ আরও বলেন, যখন কেউ ফোন তুলেছিল, সে আমাকে পাঁচ টাকা অনলাইন ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে বলে এবং আমার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিশদ বলার জন্য আমাকে চাপ দেয়। আমি তাকে জানিয়েছিলাম যে, আমার কাছে কোনোটিই নেই। তখন ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভিকটিম হায়দারকে পাঁচ টাকা অনলাইন ফি দিয়ে ওয়েবসাইটে নিজেকে নিবন্ধিত করার জন্য প্রলুব্ধ করেন। দাউদ তার অভিজ্ঞতা তার বন্ধুদের বলেন এবং তারা তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন।  তারা তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। উক্ত কল গ্রহণকারীর অনুরোধ অনুযায়ী, তারা তাদের ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য ৫ টাকা শোধ করতে গিয়ে অনলাইনে ব্যবহার করেছিল। রিপোর্টে বলা হয়, কয়েক মিনিটের মধ্যেই একাধিক  লেনদেনের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড থেকে দুই লাখ টাকা হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত লেনদেনের অর্থ গিয়ে জমা পড়েছিল ‘ক্লাবফ্যাক্টরি ইন্ডিয়া প্রাইভেট’ নামের প্রতিষ্ঠানটির নামে। (ই-কমার্স ওয়েবসাইট ক্লাব কারখানার সঙ্গে এর  কোনো যোগসূত্র নেই)।

‘এই পরিমাণ টাকা কেটে নেয়ার পরে আমি একই নম্বরে কল করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউ তা ধরেনি। পরে আমি একটি ভিন্ন নম্বর থেকে কল করলাম এবং কলকারী এবারে বলেছিল যে, কলকাতায় এই কোম্পানির নামে কোনো অফিস  নেই এবং কেবলমাত্র চণ্ডীগড়ে তাদের একটি অফিস রয়েছে। এর আগে কলারের দেয়া কলকাতা অফিসের ঠিকানাও নকল বলে প্রমাণিত হয়েছিল। এদিকে, ভুক্তভোগী এবং তার বন্ধুরা কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা সাইবার ক্রাইম সেলের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status